বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মাহমুদ হোসেন জানান, সকাল ৮টার দিকে শহরের বিকেপি এলাকা থেকে চন্দন নামে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।
ওসি বলেন, নিহত রিফাত শরীফের (২২) বাবা বৃহস্পতিবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত রিফাত বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা-লবনগোলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কয়েকজন যুবক রিফাতকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বিকেল চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।
নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ জানান, দুইমাস আগে রিফাত বরগুনার পুলিশ লাইন এলাকার কিশোরের মেয়ে আয়শা আক্তার মিন্নিকে বিয়ে করে। নিজের সাবেক স্ত্রী দাবি করে পশ্চিম কলেজ সড়কের নয়ন নামের এক যুবক মিন্নিকে উত্যক্ত করতে শুরু করে এবং ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে। এ নিয়ে রিফাতের সাথে নয়নের চরম বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে সকালে নয়ন, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও রাব্বি আকন রিফাতকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
এদিকে নৃশংস এই হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাতকে বাঁচানোর জন্য তার স্ত্রী চিৎকার করলেও আশপাশের কেউ এগিয়ে আসেনি। হামলাকারীরা রিফাতকে রক্তাক্ত করে সবার সামনে দিয়েই চলে যায়।