এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বিস্তারিত স্ট্যাডির পর বুধবার বিমস্টেক মন্ত্রীরা অন্ততপক্ষে নীতিগতভাবে প্রকল্পগুলোতে একমত হন। খবর কাঠমন্ডু পোস্ট’র।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গাইওয়ালী দেশটির ইংরেজি দৈনিককে বলেন, বিমস্টেক ট্রান্সপোর্ট কানেকটিভিটি মাস্টার প্ল্যান ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে সদস্য দেশগুলো কাজ করছে।
বিভিন্ন ব্হুপাক্ষিক দাতাগোষ্ঠী এসব মাস্টার প্ল্যানে টাকা দিতে চেয়েছে জানিয়ে গাইওয়ালী বলেন, এডিবি, বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক দাতাগোষ্ঠী এখানে আগ্রহ দেখিয়েছে।
এডিবি স্টাডির মধ্যে রয়েছে- ক্রস বর্ডার সুবিধাদি, মাল্টিমডাল পরিবহন ও সরবরাহ, অবকাঠামো উন্নয়ন, এভিয়েশন, সমূদ্র পরিবহন, মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্কের উন্নয়ন।
২০১৪ সালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক কর্তৃক ‘বিমসটেক পরিবহন অবকাঠামো এবং লজিস্টিক স্টাডির পরে ১৬৭টি প্রকল্পের মধ্যে ৬৬টি প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নেপারের মন্ত্রী গাইওয়ালী সদস্য দেশগুলোকে কানেকটিখিভটি, বাণিজ্য, পর্যটন, বিদ্যুৎ এবং কৃষিতে গুরত্ব দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
এছাড়ারে বুধবারের ওই বৈঠকে বাংলাদেশে বিমস্টেকের স্থায়ী সচিবালয়, ভুটানে সাংস্কৃতিক শিল্প মানমন্দির এবং ভারতে আবহাওয়া ও জলবায়ু কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
বিমস্টেকের নিয়ামানুযায়ী, মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরবর্তী বছরে ১৭তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজনকারী দেশ শ্রীলংকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সভাপতিত্বের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।