শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেবিচকের নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। এ সময় তিনি অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত বর্ধিতাংশও পরিদর্শন করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এ সময় নির্মাণ কাজের বিভিন্ন দিকের অগ্রগতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
পরিদর্শনকালে মাহবুব আলী বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের পর থেকেই কোনো ধরনের বিরতি ছাড়াই তা চলমান রয়েছে। দেশে করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও এ কাজ চলমান ছিল। কাজের অগ্রগতি সন্তোষজন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
গত ২৮ মে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১ জুন থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর রুটে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল আবার শুরু হবে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান ইউএনবিকে বলেন, ‘তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিষেধাজ্ঞা ১৫ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে চারটি দেশীয় ফ্লাইট স্বল্প পরিসরে পরিচালিত হবে এবং পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য রুটে ফ্লাইটগুলো আবার শুরু হবে।
এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও আগামী ১ জুন থেকে বিমান পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমানগুলো চলাচল স্থগিত থাকবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।