সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে দেড়শ’রও বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালটিতে রয়েছে শয্যা (বেড) ও চিকিৎসকের সংকটও। এতে রোগীদের রাখার স্থান সংকুলান ও চিকিৎসা দিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা হিমসিম খাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চৈত্রের কাঠফাটা গরমে দ্বীপ জেলা ভোলায় ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই চিকিৎসা নিতে সাধারণ মানুষ ভোলা সদর হাসপাতালে ভিড় করছেন। কিন্তু ১০০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চাইতে তিনগুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় অনেকেই হাসপাতালে বেড পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে তাদের মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
ভোলা ঘুইংগার হাট এলাকার রোগী কামরুল ইসলাম জানান, তাদের পরিবারের ১২ জন একসাথে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হলেও কোনো বেড না পাওয়ায় মেঝেতে বিছানা পেতে কষ্ট করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার মতো অনেক রোগী হাসপাতালে একই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডাক্তার মো. আবদুল কাদের জানান, এই সময় এখানে ১০-১৫ জন রোগী ডায়রিয়া ওয়ার্ডে থাকতো। কিন্তু এখন ৫০ জন রোগী ভর্তি। গরম পড়ার পর থেকে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। শিশু ওয়ার্ডে শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। ৫০ ভাগের বেশি শ্বাস কষ্টের রোগী। তিনি শিশুদের সুস্থ রাখতে এই সময় খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পরামর্শ দেন।
ভোলা সিভিল সার্জন জানান, ভোলা সদর হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছে মাত্র ১১ জন। সোমবার ডায়রিয়া রোগী ছিল ৬২ জন। এবং শিশু ওয়ার্ডে ছিল একশ’রও বেশি রোগী। এতে করে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা হিমসিম খাচ্ছে। তারপরও তারা যথা সাধ্য চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।