‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ কল্পনাতীত জায়গায় পৌঁছে গেছে। দেশের কোনো প্রান্তে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাবে আছেন এমন একজন মানুষ পাওয়া যাবে না’, বলেন তিনি।
সকালে ঢাকার শাহবাগস্থ জাতীয় যাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে মাসিক মানবাধিকার খবর- এর ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার সমুন্নতে সোচ্চার ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে সরকারের ন্যূনতম কোনো বাধা নেই। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে চাই একজন নাগরিকেরও মানবাধিকার যেনো লঙ্ঘন না হয়।
তিনি বলেন, পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে সারাদেশ বার্ণ ইউনিটে পরিণত করে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল। সে জায়গা থেকে আজকে আমাদের উত্তরণ হয়েছে।
শ ম রেজাউল করীম বলেন, আমরা সকলকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হবার ব্যথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন। তার পরিবারের সকলকে হত্যা করা হলো, তিনি বিচার পাননি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকে, সামাজিক সূচকে আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে, অথচ এই বাংলাদেশই ছিল দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটা মডেল। সেখান থেকে নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত করার জন্য বর্তমান সরকার অর্থাৎ শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে চলেছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হচ্ছে তার মানবাধিকার। সংবিধান নাগরিককে যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকার থেকে তিনি যদি বঞ্চিত থাকেন, তাহলে তিনি মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হন।’
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৩১ ডিসেম্বর সকল যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে বের করে দেয়া হয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের দাম্ভিকতা চূর্ণ করে তাদের বিচার করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বাংলাদেশ মানবাধিকারকে সমুন্নত করেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার খবর-এর সম্পাদক ও প্রকাশক মো. রিয়াজ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও উম্মে ফাতেমা নাজমা, প্রেস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রহিম খান, প্রখ্যাত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ প্রমুখ।