মঙ্গলবার এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মোখলেছুর রহমান। ডেইলি স্টার পত্রিকার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম।
রিটকারী ব্যারিস্টার সুমন বলেন, গত ৫ নভেম্বর ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ‘বয় গেটস টেন ইয়ার্স ফর কিলিং ক্লাসমেটস’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে। সে খবরে শিশু অপরাধীর পরিচিতি প্রকাশ করা হয়েছে; যা স্পষ্টত শিশু আইন, ২০১৩ এর ২৮ ধারার লঙ্ঘন। এ কারণে রিট করা হয়।
এ রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর শিশু আইন, ২০১৩ এর ২৮ ধারা অনুসারে শিশু অপরাধীর নাম, ঠিকানা, ছবিসহ তার পরিচিতি সংবাদপত্র, ম্যাগাজিনসহ যেকোনো সংবাদ মাধ্যমে প্রচার-প্রকাশ বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে রুল দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে ইংরেজি পত্রিকাটির সম্পাদককে বলা হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আইনে স্পষ্টভাবে আছে শিশু আসামির নাম ব্যবহার করতে পারবেন না। ডেইলি স্টার একটি নিউজে একজন শিশুর নাম ঠিকানা ব্যবহার করেছে। বিষয়টি হাইকোর্টে আনার পর শুনানির পর আজ এই আদেশ দেয় আদালত।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, নাম ঠিকানা এবং শব্দ চয়নের কারণে ডেইলি স্টার অবৈধ কাজ করেছে। পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়েছেন।।
পাশাপাশি ভবিষ্যতে ডেইলি স্টারসহ সকল গণমাধ্যমকে বলা হয়েছে এটা মেনে চলার জন্য, যেন মামলা বা বিচারাধীন শিশু-কিশোরের নাম ঠিকানা প্রকাশ না পায়।