শিশু
লোহাগাড়ায় সড়কে নিহত বেড়ে ১১, শিশু আরাধ্যাকে ঢাকায় স্থানান্তর
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়া চুনতি বন রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জন হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রেমা ইসলাম নামের একজন মারা যান। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হল।’
এর আগে বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মারা যান ১০ জন।
এছাড়া বর্তমানে এ ঘটনায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই জনের মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন শিশু আরাধ্যা ও হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে আছেন দুর্জয় কুমার বিশ্বাস।
এদিকে লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বাবাকে হারিয়ে আহত শিশু আরাধ্যা বিশ্বাসকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-মিনিবাস সংঘর্ষে নিহত ৭, আহত ১২
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়।
চমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. ধীমান চৌধুরী বলেন, ‘শিশুটির মাথায় আঘাত লেগেছে, শরীরের অন্যান্য স্থানেও জখম হয়েছে। দুই পায়ে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে।’
‘তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,’ বলেন তিনি।
৯ দিন আগে
ঈদমেলায় ফুচকা খেয়ে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু হাসপাতালে
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ঈদমেলায় ফুচকা খেয়ে সহস্রাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামে ঈদমেলার একটি অস্থায়ী দোকানের ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হন তারা।
তাদের মধ্যে ১০০ জনকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ফুচকা দোকানি মনির হোসেন পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ভৈরব নদের সেতুর ওপারে প্রতিবছর ঈদের দিন মেলা বসে। গ্রাম ও দুরদুরান্ত থেকে মানুষ ভৈরব সেতু দেখতে এবং শিশুদের বিনোদনের জন্য এ মেলায় আসেন। ঈদের দিন অনেকে সেখানে আসেন। মেলায় হরেকরকম খাবারের দোকান বসে। এখানেই মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি অস্থায়ী ফুচকার দোকান বসিয়েছিলেন। মেলায় বেড়াতে আসা শতশত মানুষ এ দোকানের ফুচকা খেয়েছিলেন।
নড়াইল সদর উপজেলার তপনবাগ গ্রাম থেকে ইব্রাহিম শেখের দুই মেয়ে রিমা খাতুন (২৮) ও আয়শা খাতুন (২৪) মেলায় আসেন। আয়শা খাতুনের সঙ্গে এসেছিল তার দুই ছেলে মোহাম্মদ আলী (৭) ও ওমর সরকার (৫)। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা সবাই ওই দোকান থেকে ফুচকা খান। রাতে বাড়ি যাওয়ার পর পেটে যন্ত্রণা, পাতলা পায়খানা, বমি ও খিচুনি শুরু হয়। অনেকে সেদিন রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: টানা ছুটিতে কীভাবে চলছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো
মঙ্গলবার (১এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। অসুস্থদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অসুস্থ বাদশা মিয়ার ভাই সাইফুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে সোমবার ঈদমেলায় গিয়ে ওই দোকান থেকে ফুচকা খেয়ে বাড়ি আসার পর থেকে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি ফুচকা খাইনি। সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ৪ জনকে খুলনায় ভর্তি করেছি।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রঘুরাম চন্দ্র বলেন, ‘খাবারে জীবাণু থাকার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। বেশিরভাগ রোগীর পেটব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
১১ দিন আগে
ছাতার কাঠি দিয়ে আতশবাজি ফুটাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
পটুয়াখালীতে বন্ধুদের নিয়ে আতশবাজি ফুটাতে গিয়ে রাফি নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার পর বাসার সামনের একটি মাঠে ছাতার কাঠি দিয়ে আতশবাজি ফুটাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ মনির হোসেন ছেলে এবং পটুয়াখালী চরপাড়ায় ওইজিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল রাফি। তার বাবা নিউমার্কেটে মৎস্য ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা জানায়, রাফি কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আতশবাজি ফুটাচ্ছিল। এ সময় একটি আতশবাজি বিস্ফোরিত হয়ে তার গলায় শ্বাসনালীতে আঘাত করে।
সঙ্গে সঙ্গে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দুপক্ষের মারামারি, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারির মৃত্যু
পরিবার-পরিজন ও স্থানীয়রা এই ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন এবং এমন দুর্ঘটনা এড়াতে আতশবাজি ব্যবহারে আরও সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৩ দিন আগে
ভাঁড়ামির মাধ্যমে শিশুদের ইসালামি শিক্ষা দিচ্ছেন তিনি
রঙিন পোশাক, লাল নাক ও মাথায় পাগড়ি পরে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভাঁড়ামির অভিনয় করেন ইয়াহইয়া হেন্দ্রোয়ান। শিশু-কিশোরদের বিনোদন দেওয়ার ফাঁকে ইসলামের বিধিবিধান ও মূল্যবোধ শিক্ষা দেন তিনি।
অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন সময় জন্মদিনের পার্টিতে কাজ করতেন ইয়াহইয়া। সেখানে অভিনয় করে মানুষকে মুগ্ধ করতেন। কিন্তু ২০১০ সালে তাকে আধুনিককালের আবু নুয়াস হতে অনুপ্রাণিত করেন তার ধর্মীয় শিক্ষক।
আরও পড়ুন: পর্যটক টানবে খাগড়াছড়ি, আশা সংশ্লিষ্টদের
আরবি ভাষার কিংবদন্তি কবি আবু নুয়াস বিখ্যাত ছিলেন বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা, রসিকতা ও চমৎকার শব্দচয়নের জন্য। সমসাময়িক আরবি কাব্যের সব ধারার ওপর দক্ষ ছিলেন তিনি। লোককথায়ও আবু নুয়াসের উপস্থিতি রয়েছে। আরব্য রজনীতে বেশ কয়েকবার তার নাম পাওয়া যায়।
কবি আবু নুয়াসের মতো করেই রসিকতা ও প্রজ্ঞার সংমিশ্রণে ধর্মীয় শিক্ষায়তনে ভাঁড়ামির অভিয়ন করতে উৎসাহিত হন ইয়াহইয়া। বর্তমানে তাকে সবাই ইয়াহইয়া বাদুত বা ইয়াহইয়া ক্লাউন (ভাঁড়) নামে ডাকেন। এমন একটি স্বপ্নই তিনি বহুবছর ধরে লালন করছিলেন।
পাশাপাশি আরও কিছু সমমনা ক্লাউন নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দ্য শরিয়া ক্লাউন ফাউন্ডেশন। নির্মল বিনোদনের সাথে ধর্মীয় শিক্ষা দিতেই তারা কাজ করছেন।
শিশুদের আনন্দ দিতে বিভিন্ন মজার গানও পরিবেশন করেন তারা। ইয়াহইয়া বলেন, ‘হাদিসে আছে, কেউ তার ভাইয়ের সামনে মুচকি হাসি দিয়ে কথা বললে তা সদকাস্বরূপ। কাজেই অবশ্যই মুচকি হাসিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানাতে হবে। যখন বন্ধুদের সাথে আপনার দেখা হয়, হাসি দিয়ে করমর্দন করবেন।’
মজা ও আনন্দ নিয়ে পড়ালে শিশুরা সহজেই তা আয়ত্ত করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদের একাল-সেকাল: প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় ত্রিমাত্রিক উদযাপন ঢাকায়
১৩ দিন আগে
খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা ‘দানব’ ধরিয়ে দিল শিশু
শিশুদের ঘুম পাড়াতে রূপকথার দৈত্য-দানবের গল্প শোনানো হয়। বাস্তব জীবনেও অনেক সময় দানবের দেখা মেলে। যদিও তারা বহু মাথাবিশিষ্ট হাইড্রা কিংবা মানুষ ও ষাঁড়ের সম্মিলিত রূপের মিনোটারের মতো দেখতে নয়। তারা মানুষের মতো হলেও কার্যকলাপে শিশুদের কাছে দানব হিসেবেই পরিচিত করে তোলে তাদের।
এমনই এক ‘দুষ্টু দানব’ লুকিয়ে ছিল একটি শিশুর খাটের নিচে। সেই শিশুটিই ধরিয়ে দিয়েছে ওই দানবকে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস অঙ্গরাজ্যের এক বাসার একটি শিশুর খাটে নিচে লুকিয়ে থাকা সেই ‘দানবকে’ সোপর্দ করা হয়েছে আদালতে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ মার্চ) ক্যানসাস কাউন্টির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (শেরিফ) কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। একটি শিশুর খাটের নিচ থেকে এক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বার্টন কাউন্টি শেরিফ অফিস জানিয়েছে, রাজ্যটির গ্রেট বেন্ডের কাছের একটি বাড়িতে গত সোমবার (২৫ মার্চ) এই ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রেপ্তারের পর ২৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, ‘ওই বাসাটিতে একটি শিশুর দেখাশোনা করতেন এক নারী (বেবিসিটার)। ঘটনার দিন শিশুটি বারবার তার বেবিসিটারকে বলছিল, ‘খাটের নিচে দানব আছে। আতঙ্কিত শিশুটিকে আশ্বস্ত করতে খাটের নিচে উঁকি দিতেই ভয় পেয়ে যান বেবিসিটারও। এক অপিরিচিত ব্যক্তিকে তিনি খাটের নিচে লুকিয়ে থাকতে দেখতে পান।’
আরও পড়ুন: মাকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ ডাকল ৪ বছরের শিশু!
এ সময় ওই ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন বেবিসিটার নারী। তাদের মধ্যে খানিক ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়। এরই এক পর্যায়ে শিশুটি বিছানা থেকে নিচে পড়ে যায়।
শেরিফ অফিসে জানানো হলেও তারা আসার আগেই কোনোরকম সুযোগ পেয়ে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। অবশ্য পরে পায়ের ছাপ অনুসরণ করে তাকে আটক করেন অঙ্গরাজ্যটির আইন কর্মকর্তারা।
শেরিফ অফিসের তথ্যমতে, গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তি আগে গ্রেট বেন্ডের কাছাকাছি ওই বাড়িতেই থাকতেন। তবে রাজ্যটির আদালত তাকে বাড়িটি থেকে দূরে থাকার জন্য সুরক্ষা আদেশ দিয়েছিলেন।
অনলাইন আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি অপরাধমূলক হুমকি, পারিবারিক সহিংসতা, সুরক্ষা আদেশ লঙ্ঘনসহ বেশকিছু অভিযোগে কারাগারে ছিলেন। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো দায়ের করা হয়েছিল। তবে ১০ দিন আগে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
তবে পুনরায় গ্রেপ্তারের পর তাকে জামিন না দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। সোমবারের ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে শারীরিক আক্রমণ ও শিশুর জীবন ঝুঁকিতে ফেলাসহ বেশকিছু নতুন অভিযোগও যুক্ত করা হয়েছে।
১৫ দিন আগে
যশোরে ফের শিশু ‘ধর্ষণের চেষ্টা’, পুলিশি হেফাজতেও অভিযুক্তের ওপর চড়াও স্থানীয়রা
যশোরে তিন দিনের ব্যবধানে আবারও এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলেও পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে ধোলাই দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম তরিকুল ইসলাম। স্থানীয়রা তাকে আটকের পর পুলিশ তাকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আটক তরিকুল (২৭) চৌগাছা উপজেলার বাতিবিলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভেকুটিয়া গ্রামে ভাড়া থাকেন এবং এয়ারপোর্ট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় বাবুর্চির কাজ করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারও একই বাড়িতে ভাড়া থাকে।
আরও পড়ুন: শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ
স্থানীয়রা জানান, রাতে তরিকুল ওই চার বছরের শিশুকে অশ্লীল ছবি দেখায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তরিকুলকে ধরে পিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তরিকুলকে হেফাজতে নেয় এবং যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী বাবুল হোসেন জানান, এর আগেও তরিকুল ওই শিশুকে অশ্লীল ছবি দেখিয়েছে, যা শিশুর পরিবার জানত না। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকেলে যশোরে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরের বিরুদ্ধে চার বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম ঘটে। অভিযুক্ত নিজেও কিশোর।
এর আগে, তিনদিন আগে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত শহরের সার্কিট হাউজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
২১ দিন আগে
শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, গণপিটুনি দিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ
ফতুল্লার দাপা এলাকায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে আমানউল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে ওই ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ১১টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আমানউল্লাহ একই বাড়ির ভাড়াটিয়া পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন আমানউল্লাহকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে, তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
২৩ দিন আগে
শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে প্রবাসী নিহত
সিলেটে শিশুদের ঝগড়া নিয়ে সংর্ঘষে নিহত হয়েছেন এক কাতার প্রবাসী। সোমবার (১৭ মার্চ) কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়েনের খালোপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কাতার প্রবাসী রশিদ আহমদ ওই গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রশিদ, প্রতিবেশী রাজু ও সাজুর মধ্যে শিশুদের ঝগড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সোমবার ভোর ৪টার দিকে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ান।
আরও পড়ুন: সুইসাইড নোট লিখে স্কুলছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
এ সময় রশিদকে রাজু ও সাজু মারতে থাকেন। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করা হয় রশিদকে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। কেউ আটকও হয়নি। অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে।’
২৭ দিন আগে
১১ বছর আগে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
১১ বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আরশাদ (২২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আরশাদ কেরাণীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও গ্রামের আব্বাসের ছেলে।
আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ওই শিশুকে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলেন। তার কথামতো সিগারেট ও শ্যাম্পু নিয়ে আসে শিশুটি। পরে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার করেরগাঁওয়ের এক বাড়ির ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে সাবেক পিপি-জিপিসহ আ.লীগ নেতাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে এ ঘটনা জানায়। তাকে প্রথমে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
ঘটনার তিনদিন পর ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা।
সংশ্লিষ্ট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হামিদুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে একই বছরের ১৬ নভেম্বর আরশাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
২৭ দিন আগে
বরগুনায় নিহত মন্টুর ১৮ মাসের শিশুর দায়িত্ব নিলেন জামায়াত আমির
বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর হত্যার শিকার মন্টু চন্দ্র দাশের ১৮ মাস বয়সী শিশুর দায়িত্ব নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে পৌরশহরের কালিবাড়ী কড়ইতলায় মন্টু দাশের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এসময় মন্টু চন্দ্রের স্ত্রীর সঙ্গে তাদের দৈনন্দিন দুঃখ-কষ্টের কথা শোনেন জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান এসময় নিহতের পরিবারকে বিভিন্ন রকমের ফল ও ঈদ সামগ্রীসহ নগদ টাকা উপহার দেন।
আরও পড়ুন: আজহারকে মুক্তি না দিলে নিজেকে গ্রেপ্তারের আর্জি জামায়াত আমিরের
নিহত মন্টু দাসের দেড় মাসের ছোট শিশু কন্যাটিকে কোলে নিয়ে তিনি বলেন, এই কন্যা শিশুটির বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের সকল ধরনের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা আমরা করব। আপনাদের সব রকম সহযোগিতা করার জন্য আমরা আপনাদের পাশে থাকব।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে নেমে নিহত মন্টু দাস ও ধর্ষিতা নন্দিনী দাসের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যান।
পরে বরগুনা শহীদ মিনার চত্বরে পথসভায় তিনি বলেন, বরগুনার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও তার বাবাকে হত্যার এ ঘটনায় মামলার রায় ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। কিন্তু সতর্ক করে দিতে চাই, এটা ৯১ দিন হলে আমরা মানব না।
বরগুনা ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবাকে হাড়ানো শিশুটির পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন জমায়াত প্রধান।
এ সময় তিনি তাদের মেয়েদের লেখাপড়া এবং সংসারের অন্যান্য খরচের ব্যবস্থা করাপর জন্য কিছু সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এ জন্য মন্টুর স্ত্রী শিখা রানী দাশকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, অ্যাডভোকেট. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, বরগুনা জেলা জামায়াতের আমির মো. মহিবুল্লাহ হারুনসহসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক, অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত
উল্লেখ্য, ১১ মার্চ রাতে বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি স্টাফ কোয়ার্টার দীঘির দক্ষিণ পাশে ঝোপঝাড় থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মন্টু চন্দ্র বরগুনা বাজারের একটি মুরগির দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তার পরিবারে দেড় মাসের এক কন্যা শিশু, চার বছরের এবং ১২ বছরের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
মন্টুর পরিবারের দাবি, তার মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে মন্টু বরগুনা থানায় মামলা করার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মন্টুর স্ত্রী আরেকটি মামলা করেছেন। অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সৃজীব চন্দ্র রায়, তার সহযোগী কালু ও রফিক কারাগারে আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
২৭ দিন আগে