মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম মেঘনা সেতু টোলপ্লাজায় ‘উইন্ডশিল্ড বেইজড ফার্স্ট ট্র্যাক ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন’ বা ইটিসি উদ্বোধন করেন।
নতুন এ ব্যবস্থায় টোল দেয়ার জন্য যানবাহনকে টোলপ্লাজায় থামতে হবে না। সেই সাথে প্রয়োজন হবে না নগদ অর্থ দেয়ার। এতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সচিব নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে মেঘনা ও গোমতি সেতুর টোলপ্লাজায় একটি করে লেনে ইটিসি চালু করা হয়েছে। পদ্ধতিটির জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে লেন সংখ্যা বাড়ানো হবে।
তিনি ইটিসি জনপ্রিয় করতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
নজরুল ইসলাম আরও জানান, আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নবনির্মিত মেঘনা ও গোমতি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, হাইওয়ে পুলিশের সুপার সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির নেতা হোসেন আহমেদ মজুমদার, টোলপ্লাজা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সিএনএস’র নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) জিয়াউল হাসান সারওয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইটিসি পদ্ধতিতে গাড়ির সামনের আয়নার উপরিভাগে সংযুক্ত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফআইডি ট্যাগের সাথে টোলগেটের এন্টেনার সংকেতের মাধ্যমে টোল আদায় হবে। গাড়ি টোলপ্লাজা পার হওয়ার সময় তাদের ব্যাংক হিসাব হতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত টোল কর্তন এবং এ সংক্রান্ত তথ্য ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে দেয়া হবে। প্রক্রিয়াটি শেষ হতে সর্বোচ্চ ১০ সেকেন্ড সময়ের প্রয়োজন হবে।
ইটিসি সেবা গ্রহণের জন্য যানবাহনকে আগে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এ কাজে প্রাথমিক পর্যায়ে সহযোগিতা দিচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক।