তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশকে কখনো আলাদা করা যায় না। এই দেশে ভাস্কর্য আছে ভাস্কর্য থাকবে। মৌলবাদীদের যারা ধর্মের নামে ধর্মবিরোধী কাজ করে তাদের হাতে ভাস্কর্য থাকা না থাকার ইজারা কিন্তু এ দেশের জনগণ দেয়নি।’
সচিবালয় থেকে ইউএস এইড ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের যৌথ আয়োজনে ‘মেল এনগেজমেন্ট ফর জেন্ডার ইক্যুয়ারিটি: সাসটেইনড ইমপ্যাক্ট এন্ড চেঞ্জেস ইন সাউথ ওয়েস্ট বাংলাদেশ’ শীর্সক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইরাক, ইরান, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কসহ মুসলিম প্রধান অনেক দেশেই কিন্তু আমরা ভাস্কর্য দেখি। মৌলবাদী দলগুলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার যে হুমকি দিয়েছে তা অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, যারা মসজিদ-মন্দির আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে, ধর্মবিরোধী কাজ করে, বিশ্ব ইজতেমায় আসা মুসল্লি ও চলন্তবাসে জ্বলন্ত আগুনে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের মুখে ধর্মের কথা মানায় না। যারা স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী না তারাই ভাস্কর্য নিয়ে হুমকি-ধমকি দেয়।
প্রতিমন্ত্রী হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের মাটিতে মৌলবাদীদের স্থান হবে না।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেটের সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় ইউএন উইমেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ শোকো ইশিকাঊয়া, ইউএস এইডের বাংলাদেশে মিশন ডিরেক্টর ডেরিক এস ব্রাউন, ইউএস এইড বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিষ্ট মাহমুদা রহমান খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন ছাড়া গবেষক, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।