যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, তিন কিশোরের মৃতদেহের পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মূলত মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রে মারপিটের ঘটনায় তিন বন্দী কিশোর নিহত হয়। এ সময় আহত হয় আরও ১২ জন।
ঘটনার পরপরই কেন্দ্রের কর্মকর্তা মুশফিক আহমেদ দাবি করেন, বন্দী কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মারাত্মক জখম হয় ১৫ কিশোর। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের পর্যায়ক্রমে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাইম, পারভেজ ও রাসেল নামে তিন কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিন্তু পরে আহতদের বক্তব্য ও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসতে থাকে যে কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্মম পিটুনিতেই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত এক কিশোরের বাবা যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ওই কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে চারজনকে সমাজসেবা অধিদপ্তর সাময়িক বরখাস্ত করেছে। আর ইউনিসেফের নিয়োগ করা সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
এদিকে, কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গ্রেপ্তার ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় ওই পদে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলনার সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছেন বলে সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।