কিশোর
শিশু ধর্ষণ ও হত্যার পর মুখে অ্যাসিড: অপরাধীদের সবাই কিশোর
নাটোরের বড়াইগ্রামে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের পর হত্যা করে অ্যাসিডে মুখ ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় ৫ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন।
তিনি জানান, অপরাধীদের ধরতে নাটোর জেলা পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা দল মাঠে ছিল। তারা অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচ কিশোরের মধ্যে চারজনের বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার গারফা ও আশপাশের গ্রামে। আরেকজনের বাড়ি চাটমোহরের রামপুর।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিশুটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে শিকার করেছে। নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারদের কেউই প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাদের পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে তাদের মধ্যে স্কুল ও মাদরাসার ছাত্র রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) শিশুটি বেড়াতে বের হয়। পাশেই দাদিবাড়ি গিয়ে তার সেমাই খাওয়ার কথা ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও দুই বাড়ির কোথাও সে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। তবে কাল তাকে খুঁজে পায়নি কেউ। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা শিশুটির পরিবারে খবর দেন, এরপর পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে নাটোর ও পাবনা জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শিশুটির মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো এবং শরীর বিবস্ত্র ছিল। পরে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে লাশটি পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সেদিন প্রতক্ষ্যদর্শী ও শিশুটির প্রতিবেশী এমদাদুল হক বলেন, এলাকার কৃষকরা খেতে কাজ করতে গিয়ে প্রথম তার লাশ দেখতে পায়। পরে পরিবারে খবর দিলে আমরা সেখানে যাই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভুট্টাখেতে শিশুর ঝলসানো বিবস্ত্র লাশ, ধর্ষণ সন্দেহ পুলিশের
তিনি বলেন, তার মুখের পুরোটাই পোড়া ছিল। গায়ে কোনো কাপড় ছিল না। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড দুর্বৃত্তরা। লাশের মুখ যাতে চেনা না যায়, তার জন্য অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিশুটিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে নিজের ধারণার কথা জানান বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীনও।
লাশ উদ্ধারের পর থেকেই অপরাধীদের শনাক্ত ও ধরতে পুলিশের গোয়েন্দা দল মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছিলেন বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান।
সেদিন তিনি জানান, শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায় (নাটোর) হলেও লাশটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাবনার চাটমোহর এলাকায় পাওয়া গেছে। ফলে সংঘটিত অপরাধটির মামলা চাটমোহর থানায় লিপিবদ্ধ হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।
১৩ দিন আগে
ফরিদপুরে নিখোঁজ কিশোরের লাশ মিলল ঘাসখেতে
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ঘাসখেত থেকে মো. মাহবুবুর রহমান (১৭) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মাহবুবুর দহিসারা গ্রামের বাসিন্দা এবং সাইফুল্লাহ মোল্যার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চরযোশরদী ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে সে নিখোঁজ হয়।
নিহতের বাবা সাইফুল্লাহ মোল্যা বলেন, ‘মাহবুবুর মাদকাসক্ত ছিল। তাকে নেশা থেকে বিরত রাখতে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরিতে দেওয়া হয়। গত তিন বছর সে গার্মেন্টসে চাকরি করলেও নেশা করা থেকে বিরত হতে পারেনি। বুধবার রাত ১০টার দিকে মাহবুবুর আমার কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর ফেরেনি। আমরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খবর পাই মাহবুবুরের লাশ ঘাসখেতে পড়ে আছে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফর আলী বলেন, ‘ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে নেশা খেয়ে মারা গেছে। তারপরও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
২৯ দিন আগে
ফতুল্লায় কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, যুবক আটক
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার জিহাদ (১৭) নামের এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরমান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত পৌঁনে ৮টার দিকে ফতুল্লার লামাপাড়া দরগাহ মসজিদ এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যার এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জিহাদ পটুয়াখালীর আউলিয়াপুর এলাকার বাসিন্দা এবং পরিবারসহ ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম লামাপাড়ার বাল্লক চিশতিয়ের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
আটক মো. আরমান ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম লামাপাড়ার বাসিন্দা।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, দরগাহ মসজিদের সামনে আরমানের চাচা শাহিন মিয়ার একটি ফলের দোকান আছে। ঘটনার সময়, শাহিন ইফতারের পর রাত পৌঁনে ৮টার দিকে দোকান থেকে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখতে পান, দোকানে থাকা ব্যাটারি চুরি হয়ে গেছে। এ সময়, দোকানের সামনে জিহাদসহ আরও দুই কিশোর দাঁড়িয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: যশোরে বাড়িতে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা
ব্যাটারি চুরির ঘটনায় সন্দেহের ভিত্তিতে আরমান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে, আরমান ক্ষুব্ধ হয়ে বাসা থেকে সুইচ গিয়ার এনে জিহাদকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আহত জিহাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা আরমানকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।’
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।
৪৫ দিন আগে
অটোরিকশাচালককে হত্যা, কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরে আসাদ মোল্লা নামের এক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই মামলায় এক কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোহম্মদ হাসিবুল ওরফে মোহম্মদ আলী সদর উপজেলার হালসা এলাকার কামাল জোয়াদ্দারের ছেলে।
২০১৮ সালে ঘটনার সময় আসামির বয়স ছিল ১৬ বছর আর বর্তমানে ২২। রায় ঘোষণার সময় মোহম্মদ আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: বন্ধুকে হত্যা মামলার প্রায় ১০ বছর পর যুবককে আটকাদেশ
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ২০১৮ সালের ১১ মে রাতে আসাদ অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন উপজেলার হালসা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে আসাদের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সিরাজ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ওই মামলায় প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আজ (রবিবার) এ রায় দেন।
৪৭ দিন আগে
দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ১৬ কিশোর-কিশোরী
ভারতে পাচারের শিকার ১৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করেন।
১৬ কিশোর-কিশোরী হলেন- নুরঅনকিষ, কাওছার আলী, দিপু সরকার, পূজা, মিথিলা দাস, সোনিয়া খাতুন, অমৃতা ঘোষ, রাবিয়া খাতুন, নয়ন বিশ্বাস, সামাদ মোল্লা, মোমিন মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, দেব দাস, রাশিদুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, জিয়াদ মোল্লা।
তাদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল, বান্দবান ও নেত্রকোনা জেলায়। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ১৬ কিশোর-কিশোরীকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের হাতে মা-ছেলে আটক, পরে ফেরত
পরে রাইটস যশোর সেখান থেকে ওই ১৬ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যান বলেও জানান ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
রাইটস যশোরের সাইকোসোস্যাল কাউন্সিলর মো. জাওয়াদুল করিম জানান, এরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে আদালত তাদেরকে শুকন্য কিশোলয় সুবায়ন সেল্টার হোম নামের ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদেরকে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখে। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছেন।
তিনি আরও জানান, তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৫ জনকে তাদের শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে। পরে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৯২ দিন আগে
বোতল কুড়াতে গিয়ে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কিশোরের আঙুল
মুন্সীগঞ্জে ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় বিস্ফোরণে সজিব নামে এক কিশোরের ডান হাতের আঙুলগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) জেলার দক্ষিণ ইসলামপুর এলাকার ময়লার স্তূপে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সজিব মিয়া (১৩) নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার রাজু শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক আহত
তার ভাষ্যে, ‘ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় একটা সাদা বলের মতো বস্তু পাই। পরে সেটিকে টান দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়।’
সজিবের বাবা রাজু শেখ বলেন, ‘দুই ছেলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া থেকে আমরা ভ্যানগাড়ি নিয়ে বোতল কুড়াতে আসি। আজ ময়লার স্তূপে বোতল কুড়ানোর সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে সজিব আহত হয়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিস্ফোরণে ছেলেটির ডান হাতের আঙুলগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া গোপনাঙ্গেও আঘাত পেয়েছে সে। অবস্থা সংকটাপন্ন বুঝে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজিব দে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে ছেলেটি আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কী বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চার
১৪৫ দিন আগে
লাবণ্যকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিল কিশোর
৫ বছর বয়সি লাবণ্য আকতারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রিফাত (১৩) নামে এক কিশোর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নিখোঁজের ৫ দিন পর ২৯ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে কোষাডাঙ্গীপাড়া গ্রামের একটি আঁখের খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রিফাতের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায়। সে কোষামন্ডলপাড়ায় নানার বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করত।
পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিদ্যুৎ কুমার চৌধুরী বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে রিফাত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, লাবণ্যের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার পীরগঞ্জের ভাদুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রিফাত এবং কোষাডাঙ্গীপাড়ার হুসেন আলীকে আটক করে।
ওসি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত লাবণ্যকে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়।
স্বীকারোক্তিতে রিফাত জানায়, গত ২৩ নভেম্বর বিকালে তারা খেলছিল। খেলার সময় লাবণ্য খুব দুষ্টুমি করছিল। তাই রাগের মাথায় রিফাত এক পর্যায়ে ঐ শিশুর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ঐ শিশুর লাশ পাশের আঁখ খেতে ফেলে রাখে।
এছাড়া আটক হুসেন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইন্সুরেন্স কর্মী নিহত, আটক ১
১৫১ দিন আগে
সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
সিলেট নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রুদ্র দাস নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
জালালাবাদ থানার আখালিয়া এলাকার নয়াবাজারে শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু
রুদ্র (১৫) নয়াবাজারের মানিক মিয়ার কলোনির অমরচান দাসের ছেলে এবং ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চালক ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুদ্র বিকাল ৩টার দিকে তার ভ্যানের ব্যাটারিতে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশিদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় অটোরিকশার ব্যাটারি রিচার্জ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
১৯৫ দিন আগে
মেহেরপুরে পানিতে ডুবে কিশোর নিহত
মেহেরপুরের গাংনীতে পুকুরের পানিতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে আসমাউল (১৪) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবু বক্করের পুকুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
আসমাউল গাংনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিশিরপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। পেশায় ইঞ্জনচালিত ট্রলির চালক ছিল সে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে ওই পুকুরে গোসল করতে যায় আসমাউল। কিন্তু সাতার না জানায় পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায় সে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় আসমাউলের লাশ পানিতে ভেসে ওঠে।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জামালপুরে বন্যার পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
২৭৭ দিন আগে
যাত্রাবাড়ী থেকে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কোনাপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যান চাপায় বিএনপি নেতার মৃত্যু
যাত্রবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘মৃতের পরিচয় পাওয়ার জন্য সিআইডি টিম কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি কি হত্যা, নাকি অন্য কোনোভাবে মারা গেছে, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’
এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থা-সন্তান জন্মদানের সময় প্রতিদিন ৮০০ নারীর মৃত্যু হয়: জাতিসংঘ মহাসচিব
ফ্রান্স থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৪ অভিবাসীর মৃত্যু
২৯৪ দিন আগে