শনিবার বিকালে কবিপুত্র মীর শরীফ মাহমুদ ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা বাবার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেব। সেখানে রবিবার বাদ জোহর দক্ষিণ মোড়াইল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’
তার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মোহাম্মাদ হাইস্কুল মাঠে কবির তৃতীয় ও শেষ নামাজা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে বা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আল মাহমুদকে দাফনের ইচ্ছা ছিল জানিয়ে ছেলে শরীফ বলেন, ‘অনুমতি না পাওয়ায় আমরা বাবাকে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে মারা যান দেশের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আল মাহমুদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং কবি জসিম উদ্দিন পুরস্কারে ভূষিত হন।
শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় কবির স্মৃতির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য তার মরদেহ বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে রাখা হয়।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর নেতৃত্বে একাডেমির সচিব মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস এবং কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে কবির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কবির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। পরবর্তীতে বাদ জহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারম মসজিদে দ্বিতীয় জানা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ মগবাজারের বাসায় নেয়া হয়।