তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ বহুবার এই পূর্ববাংলার বিভিন্ন স্থানে এসেছেন। পূর্ব বাংলার মানুষ নিজের জায়গা থেকে তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে। কবিও এসব মানুষের উদ্দেশ্যে যথার্থ বক্তৃতা দিয়েছেন।
বাংলা বিভাগের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণাধর্মী পত্রিকা ‘অবিদ্যার’ আয়োজনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাভবন ‘বি’ এর ৩০৪ নম্বর কক্ষে ‘পূর্ববঙ্গ থেকে বাংলাদেশ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শেখ মুজিবর রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ প্রথম যখন নোবেল পুরস্কার পায়, তখন ভারতবাসীর চাইতে এই পূর্ব বাংলার বাঙালিরাই অনেক বেশি খুশি হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু নিয়ে সেলিনা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বদা রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধার সাথে দেখতেন। বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৬৬ সালে ছয় দফা পেশ করেন এরপর ৬৭ তে পথ সভা করলে প্রত্যেকটি পথসভায় আমার সোনার বাংলা গানটি গাওয়ার পর ছয় দফার বিষয়গুলো তুলে ধরতেন। এভাবেই রবীন্দ্রনাথকে বঙ্গবন্ধু শ্রদ্ধার অগ্নিশিখায় রাখতেন। এছাড়া আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বের হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সরকারের প্রতি ঘোষণা দেন রবীন্দ্র সংগীত শুনতে দিতে হবে, রবীন্দ্র আমাদের পড়তে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে একজন সাংস্কৃতিক কবিকে শুধু শ্রদ্ধাই করেননি, সর্বোচ্চ স্থানে আশ্রয় দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদ পারভেজের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জফির সেতু। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।