দুই সপ্তাহের মধ্যে লিখিতভাবে এই বক্তব্য দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
পানিতে জীবাণু থাকার প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্ট গত ২১ মে এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেয়।
এরপর ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআর, বি, বুয়েট ও ঢাবি অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।
এরমধ্যে ৮টি নমুনাতে দূষণ পেয়েছে মর্মে গত ৩ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে এইসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে এবং কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম মোতাহার হোসেন সাজু আদালতে উপস্থাপন করেন। এ সময় রিটকারী পক্ষে আইনজীবী তানভীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
এরপর ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহকৃত ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পরে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং আইসিডিডিআর, বি’র প্রতিনিধির সমন্বয়ে ওই কমিটি গঠিত হয়। এরপর ওই কমিটিকে গত ২১ মে পানি পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়।