সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমদ ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত দুপুর ১২টায় সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
আবদুল হামিদ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাহিনীগুলোর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, যেকোনো মুহূর্তে দেশের প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের উৎসর্গ করবে।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনী ইতিবাচক অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি। তার আশা, তিন বাহিনীর কৌশলগত উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়ন ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।
এসময় তিন বাহিনীর প্রধান তাদের নিজ নিজ বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
সাক্ষৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহিদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী নিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং তারা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।