মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে এদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
তারা আওয়ামী-বামপন্থী শিক্ষকদের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ প্যানেলে থেকে নির্বাচন করেন।
এতে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল আলম।
শাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১টি পদের বিপরীতে শিক্ষকদের তিনটি প্যানেলে মোট ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর মধ্যে আওয়ামী-বামপন্থী শিক্ষকদের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তচিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ প্যানেল হতে চারজন এবং আওয়ামীপন্থী ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ থেকে মোট আটজন নির্বাচনে জয়ী লাভ করে। তবে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম অংশ নিলেও কোনো পদেও জয়ী হতে পারেনি।
এদিকে নির্বাচনে সবমিলিয়ে পদসংখ্যা ১১ হলেও সদস্য সংখ্যা-৬ পদে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় দুজনকে যুগ্মভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচনে বিজয়ী অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম, কোষাধ্যক্ষ পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন, যুগ্ম-সম্পাদক সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৌরভ রায়।
এছাড়াও সদস্যপদে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ফেরদৌস চৌধুরী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসান নাহিদ, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ এস এম সায়েম, গণিত বিভাগের প্রভাষক এস এম সাইদুর রহমান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা ও সদস্য-৬ পদে যুগ্মভাবে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ।