মৃদু শীত ধীরে ধীরে জেঁকে বসতে থাকায় রাজধানীর গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী দোকানগুলোতে ভিড় করছেন বিপুল সংখ্যক নগরবাসী।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে তাদের গরম কাপড়ের বিক্রি বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন যে দাম বেড়েছে।
এসময় দোকানে বেশি পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে সোয়েটার, জ্যাকেট, কোট, হুডি, মোজা, জুতা, ব্লেজার, ক্যাপ, মাফলারসহ বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড়। পণ্য ও গুণগত মানের ওপর নির্ভর করে ১০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদসংলগ্ন গুলিস্তান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাশ্রয়ী মূল্যে শীতবস্ত্র কেনার জন্য অস্থায়ী দোকানগুলোতে ভিড় করছেন বিপুল সংখ্যক ক্রেতা, বিশেষ করে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ।
এছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকে ক্রেতারা খুচরা বা পাইকারি দামে শীতবস্ত্র কিনতে গুলিস্তানের পাইকারি বাজারে ভিড় করছেন।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. নাজিদ বলেন, 'সারা বছরের বেশির ভাগ কেনাকাটা এখান থেকেই করি। দাম খুব কম এবং এখানে অনেক পণ্য রয়েছে, তাই যে কারো তাদের চাহিদামতো পণ্য পছন্দ করার সুযোগ আছে। আমি এখানে গরম কাপড় কিনতে এসেছি। একজন বিক্রেতা জ্যাকেট ২২০০ টাকা চেয়েছিলেন, কিন্তু আমি ৮০০ টাকায় কিনেছি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
আরেক ক্রেতা গাজীপুরের বাসিন্দা নুরুজ্জামান বলেন, 'এখানে কেনাকাটার সুবিধা হলো দরকষাকষির মাধ্যমে আপনার বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা করা যায়। তুলনামূলক কম দামে মানসম্পন্ন গরম কাপড় কেনা যায়।
আব্দুর রহমান নামের এক বিক্রেতা বলেন, 'শীতবস্ত্রের এখন প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এবার বিক্রি ভালো হয়েছে'।
সবুজ নামের আরেক খুচরা বিক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'এখন অনেক ক্রেতা গরম কাপড় কিনতে আসছেন। আমার দোকানে প্রতিদিন ৪০-৫০টি জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভ্যানে করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিক্রি করতে দেখা যায়।
নিউমার্কেট এলাকায় অস্থায়ী দোকানের মালিক ফরিদউদ্দিন বলেন, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তার দোকানে ভিড় করছেন।
এছাড়া গুলিস্তানের বাজারে বৈদ্যুতিক কেটল, হিটার, ফ্লাক্সসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্যের বিক্রিও বেড়েছে। অলিভ অয়েল এবং ক্রিমের মতো শীতকালীন প্রসাধনীগুলোর চাহিদা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন