লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা আর শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সন্ধ্যার পর থেকে চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে, সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে করে ছিন্নমূল দরিদ্র লোকজন সীমাহীন কষ্ট ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে।
উত্তরের জেলা লালমনিরহাট হিমালয় পর্বতের খুব কাছাকাছি হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে শীতের আবহ তেমন না হলেও হঠাৎ ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের পোশাক পেল পথশিশুরা, সঙ্গে দেয়া হলো চাইনিজ খাবার
একইসঙ্গে জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় কমেছে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে লালমনিরহাট ও তার আশপাশে জেলাগুলোতে। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে থাকে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দিনের বেলা খানিক সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ কম থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। রবিবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি বিকাল গড়াতেই শীত আরও বেশি অনুভূত হয়।
জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ছিন্নমূল গরিব অসহায় মানুষ শীতের কারণে বেশি কষ্টে আছে। শীতের কারণে কৃষকরা মাঠে যেতে পারছে না ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। এ ছাড়াও অন্যান্য পেশার লোকজন শীতের কারণে কাজে যেতে পারেনি।
লালমনিরহাটের মোঘলহাট এলাকার কৃষক লোকমান বলেন, এ বছরে শনিবার থেকে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে মাঠে যাওয়া যাচ্ছে না, আর মাঠে গেলে বেশিক্ষণ টিকা যায় না। বাধ্য হয়ে বাসায় চলে এসেছি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ