তারা দুই জেলার প্রায় চার শ বন্যার্ত দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। এছাড়া প্রায় অর্ধশত বিধবা অসহায় নারীকে নগদ অর্থ দিয়েছে।
শুক্রবার সকালে ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নয়া মালমারা গ্রামে বিধবা নারীদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেয়া হয়। অর্থ সংকটে পড়া বানভাসি এসব বিধবা মায়েরা সহায়তা পেয়ে যেমন অনেক খুশি হয়েছেন তেমনই বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
পরে দুপুরে ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের গঙ্গাপাড়ার সেন্টার বাজারে অর্ধশতাধিক বন্যার্ত পরিবারের মাঝে সংগঠন দুটি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে। এর মধ্যে ছিল চাল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ এবং মুসুর ডাল।
বিকালে চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে শতাধিক বন্যার্ত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
গৌরব ’৭১-এর সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি জাগরণডটকমের সম্পাদক এফএম শাহীন এবং গৌরব ‘৭১-এর সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুপম সংগঠন দুটির পক্ষে বানভাসি মানুষের হাতে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
এফএম শাহীন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বানভাসি মানুষের জন্য এটি খুবই ক্ষুদ্র উদ্যোগ। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্ত ও অসহায় বিধবা মায়েদের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রত্যাশা করি মানুষের সব সংকটকালে সমাজের বিত্তবান লোকেরা এগিয়ে আসবেন, তারা তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন সমাজের বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য।’
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পৌর মেয়র শেখ আব্দুল কাদের, গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী, চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সিয়াম ছাদি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণে সুবিধাভোগী নির্বাচনে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন ডেইলি জাগরণডটকমের জামালপুর প্রতিনিধি কলামিস্ট এমকে দোলন বিশ্বাস। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ইসলামপুর প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি খাদেমুল বাবুল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডেইলি বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুস সামাদ।
শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইঙ্ক সম্প্রতি করোনা দুর্যোগেও সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে মাস্ক বিতারণ, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে তারা।
সংগঠনের সভাপতি ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী এমন সংকটে বানভাসি মানুষের হাতে কিছু দিতে পেরে ভীষণ খুশি ও গর্বিত। আমরা আগামীতে দেশের যেকোনো সংকটে মানুষের পাশে থাকতে চাই।’
ডা. ফেরদৌস খন্দকার নিউইয়র্কে ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা মোকাবিলায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় গণমাধ্যম ও বাঙালিদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। করোনা মোকাবিলায় আমেরিকা ও বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশে দাঁড়িয়ে ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি।