শেরপুর
শেরপুরে অটোরিকশায় পিকআপের ধাক্কায় নিহত ৩
শেরপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পিকআপের ধাক্কায় ভাই-বোনসহ তিনজন নিহত এবং মা-সন্তানসহ চারজন আহত হয়েছেন।
নকলা উপজেলার পাইশকা বাইপাস এলাকায় বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়াকান্দা গ্রামের সুবিনা বেগম (২০), তার ছোট ভাই শেরপুরের পলাশিয়া গ্রামের তাজেন মিয়া (১৫) এবং নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লাউদানা গ্রামের তায়েরা বেগম (১০)।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ২
আহতরা হলেন- তায়েরা বেগমের মা উম্মে সালমা (৪০), বোন তোবা বেগম (১৬) ও ভাই ছাবিদ (৩) এবং ফুলপুরের সাহাপুর গ্রামের আলাউদ্দিন (৪০)। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, দুপুর ১২টার দিকে পাইশকা বাইপাস মোড়ে পিকআপ ও অটোরিকশার সামনাসামনি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তায়েবা ও তাজেন মারা যায়।
এরপর আহতদের উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুবিনা নামের ওই নারীর মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় চালক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক ও পিকআপের সংর্ঘষে পিকআপ চালক নিহত
১ সপ্তাহ আগে
শেরপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীর মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৩
শেরপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে হাসি বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় তার শিশুসন্তানসহ তিনজন আহত হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৫টার দিকে শেরপুর-বনগা সড়কে শহরের নওহাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
নিহত গৃহবধূ হাসি বেগম (৩৫) ঝিনাইগাতী উপজেলার দরি কালিনগর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিহতের স্বামী মোখলেছুর রহমানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত অন্য দুইজন শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়দুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় বিপরীত দিকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় তার পেছনে বসে থাকা স্ত্রী ছিটকে পড়ে ট্রলির নিচে চাপা পড়লে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা গুরুতর আহত দুই মোটরসাইকেল চালক ও শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আহত মোখলেছুর রহমানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১১৫৪
৩ সপ্তাহ আগে
শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শেরপুরে শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা চালিয়ে আহত করা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার মামলায় শেরপুরে শহর আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে শহরের মোবারকপুর মহল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. শরাফত আলী (৪৫) শেরপুর শহরের মোবারকপুর মহল্লার মৃত মোকসেদ আলী মাতবরের ছেলে এবং শহর আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪’র মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফা বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফা বেগম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার রাতে শহরের মোবারকপুর মহল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শনিবার সকালে শরাফত আলীকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ৪ আগস্ট শেরপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের গণমিছিলে দুষ্কৃতকারীরা আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে শিক্ষার্থী সজিব মিয়া গুলিবিদ্ধ হয় এবং গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে শেরপুর সদর থানায় মামলা করা হয়।
৩ সপ্তাহ আগে
শেরপুরে আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্দন রিমান্ডে
হত্যা মামলায় শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী চন্দন কুমার পালের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার সুমন
চন্দন কুমার শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
শেরপুর কোর্ট পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, মাহবুব হত্যা মামলায় চন্দন পালকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর দুটি হত্যা মামলায় জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) চন্দনকে ৩ ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চন্দনের বিরুদ্ধে ৪ আগস্ট শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবুজ, সৌরভ ও মাহবুব নামে ৩ ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পৃথক মামলা হয়েছে।
গত বুধবার বিকালে যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার হন চন্দন কুমার পাল।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের রিমান্ডে কামাল আহমেদ মজুমদার
৪ সপ্তাহ আগে
শেরপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটিচাপা অবস্থায় কবিরাজের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর বস্তায় মাটিচাপা অবস্থায় এরশাদ মিয়া নামে এক কবিরাজের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এরশাদ মিয়া (৪০) লছমনপুর ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের হাক্কু শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর এরশাদ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১৯ অক্টোবর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
সোমবার সকালে চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের স্থানীয়রা ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এরশাদের পরিবারকে জানালে তারা এসে লাশ শনাক্ত করেন।
শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে ওসি বলেন, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড সেটি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
শেরপুর জেলা আ. লীগ নেতা চন্দন কুমার পাল কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যার তিন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার পালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) শেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসান ভূঁইয়ার আদালত তাকে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে আদালত রিমান্ডের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ফারুক খান
আদালত সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবুজ মিয়া, সৌরভ ও মাহবুব নামে তিন ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পৃথক মামলা হয়েছে চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশকালে আটক হন তিনি।
কোর্ট ইন্সপেক্টর (পুলিশের আদালত পরিদর্শক) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, তিন ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পৃথক মামলা হয় চন্দনের বিরুদ্ধে। তিন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশকালে আটক হন তিনি।
শহরের পুরাতন গরুহাটি এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী চন্দন কুমার পাল শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি ছিলেন।
তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই চন্দন কুমার পালও আত্মগোপনে চলে যান।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেরপুর জেলা কারাগারে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতার আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে কোন বন্দিকে রাখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রুপ হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কারাগারে
হত্যা মামলায় কারাগারে সাবেক এমপি রহিম উল্লাহ
১ মাস আগে
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু
শেরপুরে শ্রীবরদীতে বসতঘরের বৈদ্যুতিক মিটারের সঙ্গে তারের সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এরশাদ মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের বকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ মিয়া (৩০) ওই গ্রামের আব্দুর রহমান ওরফে বড়গেল্লার ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টায় এরশাদ মিয়া তার বসতঘরের বিদ্যুৎ মিটারের সঙ্গে তারের সংযোগ দিতে গিয়ে ছেঁড়া তারের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পর্শে গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সাইফুল্লাহ অমিও জৌতি বলেন, ‘এরশাদ আলীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছেন।’
নিহত এরশাদ মিয়ার মা বুলবুলি বেগম জানান, এরশাদের স্ত্রী ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। কৃষিকাজ করে তাদের সংসার চালাতেন। এখন তাদের সংসারে আয় করার মতো আর কেউ রইলো না।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ম (ওসি) আনোয়ার জাহিদ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুলায় সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানির মৃত্যু
১ মাস আগে
এইচএসসিতে ঈর্ষণীয় ফলাফল শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবুজের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শেরপুরের সবুজ মিয়া এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ দশমিক ৩৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসির ফলাফলে জানা যায়, শ্রীবরদী সরকারি কলেজ থেকে ‘এ’ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সবুজ।
এদিকে সবুজ মিয়ার এই ফলাফলে শিক্ষকরাসহ সহপাঠীরা আনন্দিত হলেও সন্তান ও ভাই হারানোর শোকে পরিবারে চলছে বিষাদের কান্না।
আরও পড়ুন: বিয়ের একদিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী হারালেন নববধূ
সবুজের মা সমেজা বেগম বলেন, আমার ছেলে ভালো রেজাল্ট করেছে ঠিকই। কিন্তু এ রেজাল্ট আমাদের কোনো কাজে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার করা হোক। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
শ্রীবরদীর খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়নের রূপারপাড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে ছিলেন সবুজ। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবুজ দ্বিতীয়। বোনের বিয়ের পর বাবা প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। এরপর পরিবারের দায়িত্ব নেন সবুজ। পড়ালেখার পাশাপাশি দোকানে কাজ করতেন এবং পরিবার চালানোর পাশাপাশি নিজের আয়ে পড়াশোনা করতেন।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষায় বসেছিলেন সবুজ। পরীক্ষা চলাকালেই দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে ৪ আগস্ট শেরপুর জেলা শহরে গুলিতে নিহত হন তিনি।
শ্রীবরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম আলিফ উল্লাহ আহসান বলেন, সবুজ মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ছয় সদস্যের সংসারের খরচ বহন করে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে এই রেজাল্ট করা কম কথা নয়। তার এই রেজাল্টে আমরা শিক্ষকরাসহ তার সহপাঠীরাও আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, শুধু তার পরিবার সন্তান ও ভাই হারানোর শোকে এ আনন্দ নিতে পারছে না। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। শোকাহত অসহায় পরিবারের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
উল্লেখ্য, সবুজ মিয়া হত্যার ঘটনায় তার ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি ছানুয়ার হোসেন ছানু, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সাবেক পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের চার শতাধিক নেতাকে আসামমি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ৪৪
১ মাস আগে
বন্যায় সব হারিয়ে বিপর্যস্ত শেরপুরবাসী, কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষতি ৬০০ কোটি টাকারও বেশি
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্ট বন্যার পানি নামতে থাকায় দৃশ্যমান হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বন্যায় ভেঙেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও ডুবে গেছে ফসলি জমি। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে বন্যাকবলিতরা।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ তৎপরতা থাকলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার-বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে- ডায়রিয়া, আমাশয়, চুলকানিসহ পানিবাহিত রোগ।
সরেজমিনে নকলা উপজেলার পিছলাকুড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ভোগাই নদীর তীরে জেলেপল্লীতে প্রায় ১৫০ পরিবারের বসবাস। নদীর বাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢলে ওই এলাকার অনেকের বাড়ি-ঘর, জিনিসপত্র, ফসলি জমি সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরের মধ্যে সাহারা মরুভূমিতে প্রথম বন্যার বিরল দৃশ্য
ছয় দিন ধরে পানিবন্দি থাকায় গ্রামের ভেতর দিয়ে চলাচলের জন্য পিছলাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাড়াকান্দা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটারের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি ঢলের পানিতে জায়গায় জায়গায় ভেঙে গর্ত হয়ে গিয়েছে।
ওই গ্রামের অহল্লা রানী বর্মণ বলেন, ‘বাড়িঘরে বন্যার পানি। ৫ থেকে ৬ দিন পর পানি নামছে। পানি থাকার সময় একদিন সেনাবাহিনীরা এক প্যাকেট খিচুরি, আরেকদিন আধাকেজি মুড়ি দিয়েছিল। তিনদিন ওইগুলাই খাইয়া, না খাইয়া থাকছি। পানি থাকায় একরকম কষ্ট আর এখন পানি নামার পরে আরেক রকম কষ্ট।’
বাদল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ঋণ নিয়ে ১০ শতাংশ জমিতে শসা খেত করেছিলেন। তিন দিন পরই শসা তোলা শুরু হতো। প্রায় এক লাখ টাকার মতো আয়ের আশা ছিল। ঢলের পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, শসা খেত ছাড়াও ৫ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ, ৩ কাঠা (২১ শতাংশ) জমিতে লাল শাক ও ১৮ কাঠা (১২৬ শতাংশ) জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছিলেন। পাহাড়ি ঢলে সব ফসল ধ্বংস হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি দেখিয়ে বাদল বলেন, ‘বাড়িও গেছে, ফসলও গেছে। আমি এখন সর্বহারা। ফসল তুইল্লা ঋণধার শোধতো দূরের কথা, এখন নতুন কইরা ঋণের জালে পড়লাম। সরকার যদি এহন সহায়তা না করে, তাহলে আমি এক্কেবারে শেষ। কিন্তু সরকারের কোনো লোকতো দেখতেও আসলো না, আমরা বাঁইচ্চা আছি, নাকি মইরা গেছি।’
ঢলে ভেঙে পড়েছে বিধবা বানেছা বেগমের একমাত্র থাকার ঘরটি। ভেসে গেছে সব জিনিসপত্র। সব হারিয়ে শূন্য ভিটায় বসে থাকা বানেছা বেগম বলেন, ‘আমারতো আর কিছু নাই। আমি এখন এই ভাঙা ঘর কীভাবে করব কিছুই জানি না। আমারতো কোনো উপায় নাই। যদি কেউ আমারে সাহায্য না করে, আমারতো কোনো গতি নাই।’
গৃহবধূ কিরণ মালা বর্মণ বলেন, আমার বয়সে এত পানি দেখি নাই। বন্যার পানি আমাদের যে ক্ষতিটা করেছে, এখন আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমরা এখন খুব কষ্টে আছি, চিন্তায় আছি। সরকার থেকে আমাদের কিছু না করলে আমরা দাঁড়াতেই পারব না।
জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব মতে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এবার এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও আমন, সবজি চাষ এবং আদা ও কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টাকার অংকে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ কোটি টাকার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এজিইডি) রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৩ কোটি টাকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী তীর রক্ষা বাঁধ ও বেড়িবাঁধ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক/ব্রিজ, কালভার্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েকশ কোটি টাকার।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বন্যাকবলিতদের মধ্যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কেউ অভুক্ত থাকবে না। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগ, সংস্থা, সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ত্রাণ তৎপরতা চলছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরি করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই পুনর্বাসন কাজ শুরু হবে।
সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, ডায়রিয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী, মেডিকেল স্টুডেন্ট, চিকিৎসকসহ ৪টি মেডিকেল টিম ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় কাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, এখন ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি পুনর্বাসন সহায়তা খুবই প্রয়োজন। জরুরি ভিত্তিতে তাদের জন্য কিছু করা উচিত।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
১ মাস আগে
শেরপুরে বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার ফলে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা, চরঅষ্টাধর ও পাঠাকাটা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যায় জেলায় ৫ দিনে নারী, শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক।
এদিকে, বন্যায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে স্থানীয়দের ঘর-বাড়ি। পানি নেমে যাওয়ায় এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ভেসে উঠছে। ঘর-বাড়ি, আবাদ ফসল সব হারিয়ে দিশেহারা বন্যাকবলিতরা।
ঝিনাইগাতী-নালিতাবাড়ীতে বন্যায় অন্তত সাড়ে ৬ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত কিংবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবেছে আমন ও সবজির আবাদ। ঢলের তোড়ে ভেসে গেছে পুকুর ও মৎস্য খামার।
এছাড়া প্রাথমিক হিসাবে বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কৃষিখাতে ৫২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং মৎস্যখাতে ৭০ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্বাসন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
এদিকে, উজানের পানি নেমে গেলেও নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৮ ইউনিয়নের ২০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি। এসব এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে পানিবন্দিদের রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
শেরপুর খামারবাড়ীর উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, চলতি বন্যায় জেলার ৫ উপজেলায় ৩৮ হাজার ২২৭ হেক্টর আবাদি জমি বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ২২ হাজার ৮৮৭ হেক্টর সম্পূর্ণ এবং ১৫ হাজার ৩৩৯ হেক্টর জমির ফসল আংশিক নিমজ্জিত হয়। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ৩২ হাজার ১৫৭ হেক্টর। যার মধ্যে রোপা আমন আবাদি জমি রয়েছে ৩১ হাজার ২৮৬ হেক্টর, শাকসবজি ৮৬০ হেক্টর এবং বস্তায় আদা চাষ ১১ দশমিক ২৮ হেক্টর জমি। যার উৎপাদিত ফসলের মোট ক্ষতির পরিমাণ এক লাখ ৬১ হাজার ৯০৮ মেট্রিক টন। যা টাকার অংকে ৫২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। আর সর্বমোট ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৫ জন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, বন্যায় জেলার ৫ উপজেলার ৩১ ইউনিয়নে অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ৭ হাজার ৩৬৪টি পুকুর-দিঘি-খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মোট আয়তন ১ হাজার ৩০৬ হেক্টর। এতে ৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিসহ টাকার অংকে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, এটা প্রাথমিক হিসাব। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এমনকি সেটা ১০০ কোটি টাকাও হতে পারে। আমরা কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণী পাঠিয়েছি। কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের পুনর্বাসন কিংবা প্রণোদনা বরাদ্দ দিলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের সেটা দেওয়া হবে।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিরুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে প্রায় ১৫/১৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত নদীর বাঁধ ও মহাসড়ক থেকে শুরু করে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক ও সেতু-কালভার্টের হিসাব এখনও করা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ৩ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৮৩৯১
১ মাস আগে