বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। কারণ সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা না থাকলে যত কাজই করি না কেন তাতে কোন লাভ হবে না।’
‘আট লেনের রাস্তা করলাম কিন্তু শৃঙ্খলা না থাকলে সেক্ষেত্রে কোন লাভ হবে না। আমি মন্ত্রণালয়ের বাকিদের নিয়ে বসেছি। সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন। এই কাজগুলো শুরুতে করতে হবে। তাছাড়া পরে এসব করা যাবে না। প্রথম রাতেই বিড়াল মারার মতো কাজ সেরে ফেলতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কোন কৌশল তৈরি করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কিভাবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো সেটা নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু কৌশল আছে। আর সাধারণ কিছু বিষয় আছে, যা সবার জানা। ছোট ছোট যানগুলো মহাসড়কে চলছে, লাইসেন্সবিহীন ছোট ছোট গাড়ি চলছে। এসব বেশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।’
‘মোটরসাইকেল একটি নতুন আতঙ্ক। ঢাকা শহরে আমরা অনেকটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছি, কিন্তু ঢাকার বাইরে মোটরসাইকেলগুলো বেপরোয়াভাবে চলছে। এক মোটরসাইকেলে তিনজন চলছে, তারপর আবার লাইসেন্সবিহীন চলছে। এই বিষয়গুলোতে ঠিক করতে হবে। আমরা যদি সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করি তাহলে হয়তো করা যাবে,’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
চলমান কাজগুলো সমাপ্ত করা চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চলমান কাজগুলো শেষ করার পাশাপাশি আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রকল্প আছে। একটি হলো ঢাকা-সিলেট এবং আরেকটি হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চারলেনের কাজ। এই দু’টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ চারলেনের কাজ। এই বছরের জুনের আগে বিশেষ করে ঢাকা সিলেট চারলেনের কাজ শুরু হবে। আর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার চারলেনের কাজ শুরু করতে একটু সময় লাগবে।’