প্রধানমন্ত্রীর সামনে সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক, নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং সাবরং ট্যুরিজম পার্কের মাস্টার প্লান তুলে ধরা হয়।
স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এ মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন করছে।
পরিকল্পনা অনুসারে, সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কটি মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপে, টেকনাফের সদর ইউনিয়নে নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং উপজেলার সাবরং ইউনিয়নে সাবরং ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।
সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্কটি পর্যায়ক্রমে নয় বছরে আট হাজার ৯৬৭ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে ৯০৯ একর জমিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে এবং এলাকা যেমন আছে তেমনই থাকবে।
প্রথম পর্যায়ের কাজ দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে।
টেকনাফ উপজেলার সাবরং ইউনিয়নের এক হাজার ৪৭ একর জমিতে সাবরং ট্যুরিজম পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাফ ট্যুরিজম পার্কটি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাফ নদীর একটি দ্বীপের ২৭১ একর জমিতে গড়ে উঠবে।
মাস্টার প্লানের উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী সাবরাং ট্যুরিজম পার্কটিকে বিদেশিদের জন্য নিবেদিত একটি পর্যটন সাইট হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং সাবরং ট্যুরিজম পার্কের কাজ তিন বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সমুদ্র উপকূলে বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেবে না।
পার্ক সাইটগুলোতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বকারী জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারি মো তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।