একইসাথে, বিচারিক (নিন্ম) আদালতের দেয়া ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ পরিবর্তন করে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া জরিমানার টাকা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে।
ডেথ রেফারেন্স ও খালাস চেয়ে করা আসামির আপিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা।
এর আগে মামলায় আসামির আপিলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহাববু হোসেন ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তার সাথে ছিলেন এম মাসুদ রানা, মো. আসাদ উদ্দিন ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১ জুন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাওদা হত্যা মামলায় রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে বরিশালের আদালত। মামলায় মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১ জুন বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ মো. আনোয়ারুল হক এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
এরপর রাসেলের মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং খালাস চেয়ে তার আইনজীবী এম মাসুদ রানা জেল আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানি শুরু হয় ২০১৯ সালের ৯ মে। দীর্ঘ শুনানি শেষে এদিন রায় ঘোষণা করা হয়।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল মাতুব্বর ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে হত্যাকাণ্ডের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। তার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়। একই উপজেলার আব্দুল রাজ্জাকের মেয়ে নিহত সাওদা (১৯) বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘প্রেমের সম্পর্ক রাখতে রাজি না হওয়ায়’২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাওদাকে কুপিয়ে হত্যা করে রাসেল।