যাবজ্জীবন
মেহেরপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে বৃদ্ধের যাবজ্জীবন
মেহেরপুরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে তসলেম উদ্দীন মিস্ত্রি (৬০) নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তৌহিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর স্থানীয় ৪ বয়সি শিশু বড়ির পাশে খেলা করছিল। তসলেম উদ্দিন চকলেটের লোভ দেখিয়ে পাশের একটি ঘাসের খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ ও রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাদকের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আইনে একটি মামলা করেন।
বিচারক দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তসলেম উদ্দীনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
মামলায় বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন রোকেয়া খাতুন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন একেএম আসাদুল আলম।
সন্তোষ জনক রায় পেয়েছেন বলে জানান বাদী পক্ষের পরিবার।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী একেএম আসাদুল আলম বলেন, ‘আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
আরও পড়ুন: চাচাতো ভাইকে হত্যার ২২ বছর পর দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
২ সপ্তাহ আগে
চাচাতো ভাইকে হত্যার ২২ বছর পর দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে সাহেব আলী ফকির হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আপন দুই ভাই খলিল ফকির ও মারুফ ফকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে উভয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. শাজাহান আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি খলিল ফকির আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি মারুফ ফকির উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে কামাল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত খলিল ফকির ও মারুফ ফকির জেলার কালিয়া থানার রাজাপুর গ্রামের মৃত শাহাদত ফকির ওরফে শাহা ফকিরের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিডিউটার (এপিপি) আইনজীবী তারিকুজ্জামান লিটু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৯ অক্টোবর কালিয়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাহেব আলী ফকিরকে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মামা আজিজুর বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
বিচারিক আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ওই দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পান।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার ৮ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে
জয়পুরহাটে কামাল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে আধিপত্য বিস্তারের জেরে কামাল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার তেঘর রেলগেটের সুজাউল ওরফে সেজাউল, পার্শ্ববর্তী মুজিব নগরের রুবেল, পলি কাদোয়া গ্রামের লম্বা বাবু, জয়পুরহাট পৌর এলাকার পূর্ব দেবীপুর মহল্লার জিয়া, নতুন হাট-সংলগ্ন দেওয়ান পাড়ার মিজানুর রহমান ওরফে পিচ্চি জুয়েল, গৌরীপাড়ার ফরিদুল ইসলাম ওরফে কানা সবুজ, রানা আহম্মেদ ও ইসলাম নগরের মিঠুন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার ৮ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
এদের মধ্যে সেজাউল, জিয়া, মিজানুর ও কানা সবুজ পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূর্ব দেবীপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে কামালের সঙ্গে সেজাউলের বিরোধ চলছিল। এর জেরে আসামিরা কামালকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তেঘর রেললাইন-সংলগ্ন এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরের দিন ৪ অক্টোবর সকালে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সেদিনই নিহতের মা মোছা. বেগম বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ দুপুরে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
পাওনা টাকার জেরে ঝর্ণা রানী দাস নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মনোয়ারা ও উজ্জল নামে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে উভয়কে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৪ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) টাঙ্গাইল দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম এই রায় দেন। আসামিরা এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসাইল পূর্বপাড়া গ্রামের মনোয়ারা আক্তার এবং একই এলাকার উজ্জ্বল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
আদালত সূত্র জানায়, মনোয়ারার কাছে টাকা পেতেন ঝর্ণা। ২০১৮ সালে ২৮ অক্টোবর সকালে ওই টাকার জন্য তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মনোয়ারা তার ভাতিজা উজ্জলকে সঙ্গে নিয়ে ঝর্ণা রানী দাসকে হত্যা করেন এবং লাশ মনোয়ারার বাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি কক্ষের মেঝের মাটিতে পুঁতে রাখেন।
পরদিন ঝর্ণার স্বামী সুনীল কুমার দাস বাদী হয়ে মনোয়ারা ও উজ্জলকে আসামি করে বাসাইল থানায় মামলা করেন। মামলা হলে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঝর্ণার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন বাসাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেকান্দর আলী।
আরও পড়ুন: লাশের সুরতহাল-ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ভয়ংকর তথ্য রয়েছে: মুনিয়া হত্যামামলার আইনজীবী
৪ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহে কৃষক হত্যা মামলায় মা ও ৩ ছেলের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় কৃষক হাবিবুর রহমান হত্যা মামলায় এক নারী ও তার তিন ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার মাসকান্দা গ্রামের হাজেরা খাতুন এবং তার তিন ছেলে মো. কুতুব উদ্দিন, ছইব উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।
এদের মধ্যে হাজেরা খাতুন, কুতুব উদ্দিন ও ছইব উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে হাজতির আত্মহত্যা
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৬ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে মাসকান্দা গ্রামের হাবিবুর রহমান প্রকৃতির ডাকে বাড়ি থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার পরদিন হাবিবুরের মা তারাবানু বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় অভিযুক্ত ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ৫ জনের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
অপর আসামি করিম উদ্দিনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস ও বাকিদের ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
১ মাস আগে
জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাট ডাকাতি মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেকটি ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের দাসরা খাঁপাড়ার ফজলু, তাজেল, উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার মুকুল হোসেন পাংকু, কোচনাপুরের আনোয়ার হোসেন ও আমসাহাপুর- পালি গ্রামের মিঠুন হোসেন।
এদের মধ্যে ফজুল, মুকুল ও মিঠুন পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদরের ভাদসা এলাকার গোলাম মাহমুদ মন্ডলের বাড়িতে ডাকাতি হয়।
এসময় তার পরিবারের লোকজনকে ডাকাতরা মারধর করে হাত-পা বেঁধে রেখে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
১ মাস আগে
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এ রায় দিয়েছেন।
সোহাগ মিয়া গাইবান্ধার শহরের মহুরী পাড়ার রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালে ১১০ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয় সোহাকে। পরে একইদিন সোহাগের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন। দীর্ঘদিন শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
১ মাস আগে
হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ক্ষেতলালের একটি হত্যা মামলায় বাবা-ছেলে ও দুই ভাইসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ জুন জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার আমুনিয়াপাড়া গ্রামের মনসুর আলী ফকিরের একটি গরুর বাছুর প্রতিবেশী মোজামের বাড়িতে গেলে মোজাম বাছুরটিকে মারধর করেন।
সেদিন রাতে মনসুর বাছুরটিকে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনসুর ও তার ছেলে ফিরোজের ওপর হামলা করে।
আসামিদের মারধরে বাবা ছেলে গুরুত্বর আহত হলে পরিবারের লোকজন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজ মারা যান।
এ ঘটনায় ১৩ জুন নিহতের বাবা ক্ষেতলাল থানায় মামলা করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত রবিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
১ মাস আগে
মাগুরায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মাগুরার সিংড়া বাজার থেকে মো. আলম নামে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে আটক করেছে শালিখা থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টায় উপজেলার সিংড়া বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি গ্রেপ্তার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলম (৩৮) শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওলি মিয়া জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
এর আগে ২০১২ সালে মাদক মামলায় আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
২ মাস আগে
হত্যা মামলার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পটুয়াখালীতে মো. শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে হত্যার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আসামিদের উপস্থিতিতে ওই রায় দেন বিচারিক আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ একেএম এনামুল করিম।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
এসময় ১৭ জন আসামিদের মধ্যে একজনের দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়ে ওই রায় দেন একেএম এনামুল করিম।
রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল খুন হন শহিদুল। পরের দিন তার বাবা নুর মোহাম্মদ মৃধা বাদী হয়ে সদর থানায় সোহরাবসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ আসামির যাবজ্জীবন
পুলিশ রিপোর্টে ১৭ জন আসামিকে দোষী করে ৩০২ ধারায় মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয় বিচারিক আদালতে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, এমও, ও এজাহারকারীসহ ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর আদালতে শহীদুল ইসলাম মৃধার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেন এবং ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কাশেম ও মুকুল বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ মাস আগে