যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহে কৃষক হত্যা মামলায় মা ও ৩ ছেলের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় কৃষক হাবিবুর রহমান হত্যা মামলায় এক নারী ও তার তিন ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার মাসকান্দা গ্রামের হাজেরা খাতুন এবং তার তিন ছেলে মো. কুতুব উদ্দিন, ছইব উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।
এদের মধ্যে হাজেরা খাতুন, কুতুব উদ্দিন ও ছইব উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে হাজতির আত্মহত্যা
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৬ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে মাসকান্দা গ্রামের হাবিবুর রহমান প্রকৃতির ডাকে বাড়ি থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার পরদিন হাবিবুরের মা তারাবানু বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় অভিযুক্ত ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ৫ জনের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
অপর আসামি করিম উদ্দিনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস ও বাকিদের ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
৪ দিন আগে
জয়পুরহাটে ডাকাতির মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাট ডাকাতি মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আরেকটি ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া মামলায় তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের দাসরা খাঁপাড়ার ফজলু, তাজেল, উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার মুকুল হোসেন পাংকু, কোচনাপুরের আনোয়ার হোসেন ও আমসাহাপুর- পালি গ্রামের মিঠুন হোসেন।
এদের মধ্যে ফজুল, মুকুল ও মিঠুন পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদরের ভাদসা এলাকার গোলাম মাহমুদ মন্ডলের বাড়িতে ডাকাতি হয়।
এসময় তার পরিবারের লোকজনকে ডাকাতরা মারধর করে হাত-পা বেঁধে রেখে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
৩ সপ্তাহ আগে
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এ রায় দিয়েছেন।
সোহাগ মিয়া গাইবান্ধার শহরের মহুরী পাড়ার রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালে ১১০ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয় সোহাকে। পরে একইদিন সোহাগের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন। দীর্ঘদিন শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
৩ সপ্তাহ আগে
হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ক্ষেতলালের একটি হত্যা মামলায় বাবা-ছেলে ও দুই ভাইসহ ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ জুন জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার আমুনিয়াপাড়া গ্রামের মনসুর আলী ফকিরের একটি গরুর বাছুর প্রতিবেশী মোজামের বাড়িতে গেলে মোজাম বাছুরটিকে মারধর করেন।
সেদিন রাতে মনসুর বাছুরটিকে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনসুর ও তার ছেলে ফিরোজের ওপর হামলা করে।
আসামিদের মারধরে বাবা ছেলে গুরুত্বর আহত হলে পরিবারের লোকজন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজ মারা যান।
এ ঘটনায় ১৩ জুন নিহতের বাবা ক্ষেতলাল থানায় মামলা করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত রবিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
৪ সপ্তাহ আগে
মাগুরায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মাগুরার সিংড়া বাজার থেকে মো. আলম নামে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে আটক করেছে শালিখা থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টায় উপজেলার সিংড়া বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি গ্রেপ্তার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলম (৩৮) শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওলি মিয়া জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
এর আগে ২০১২ সালে মাদক মামলায় আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
হত্যা মামলার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পটুয়াখালীতে মো. শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে হত্যার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আসামিদের উপস্থিতিতে ওই রায় দেন বিচারিক আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ একেএম এনামুল করিম।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
এসময় ১৭ জন আসামিদের মধ্যে একজনের দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়ে ওই রায় দেন একেএম এনামুল করিম।
রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল খুন হন শহিদুল। পরের দিন তার বাবা নুর মোহাম্মদ মৃধা বাদী হয়ে সদর থানায় সোহরাবসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ আসামির যাবজ্জীবন
পুলিশ রিপোর্টে ১৭ জন আসামিকে দোষী করে ৩০২ ধারায় মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয় বিচারিক আদালতে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, এমও, ও এজাহারকারীসহ ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর আদালতে শহীদুল ইসলাম মৃধার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেন এবং ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কাশেম ও মুকুল বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ মাস আগে
হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ আসামির যাবজ্জীবন
নওগাঁর মান্দা উপজেলার আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা ও অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী শামসুর রহমান ও আসামি পক্ষে আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
এদিকে এই মামলার ৩৪ জন আসামির মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন। শুনানির সময় ২২ জন আদালতে উপস্থিত এবং ৪ জন পলাতক ছিলেন।
২৬ জন আসামিরা হলেন- মনছুর আলী, আলতাব হোসেন মন্ডল, এনামুল হক, দেলোয়ার হোসেন, ফজের আলী, ফজলুর রহমান, কাদের আলী, জবেদ আলী, কাজেমুদ্দিন, ওহিদুল ইসলাম (রহিদুল), আছিব উদ্দিন, আনিছার রহমান, মোখলেছুর রহমান, কাশেম আলী মন্ডল, লিয়াকত আলী প্রামানিক, মোখলেছুর রহমান, জালাল উদ্দীন, মোজাহার আলী ওরফে মোজাফ্ফর আলী, শাহাজাহান, ছাইদুর রহমান, পৈক্যা (বুলু), আজাদ আলী মৃধা, আশরাফুল মৃধা, কলিমুদ্দিন মন্ডল, পটল ওরফে পরশ উল্যা প্রামানিক ও মাসুদ ওরফে কালু।
এদের মধ্যে মোখলেছুর রহমান, এনামুল হক, আনিছুর রহমান ও মোজাহার আলী পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯৯৮ সালে মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামে আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর সকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন আজিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ওই দিন বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে নিহত আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা তদন্ত শেষে ৩৪ আসামির নাম উল্লেখ করে বিচারের জন্য আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরমধ্যে ৮ আসামির মৃত্যু হয়েছে।
দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
২ মাস আগে
পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাবনার আমিনপুরে সিএনজি চালক ইমরান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পাবনা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা জজ আহসান তারেক এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জগনাথপুর গ্রামের আবুল কালাম (৩৫), মোকছেদ আলী (৪৫), মুক্তার হোসেন (৩৫), আপেল মাহমুদ (৪১) ও জাহিদ (৫০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রাতে ইমরানকে ফোন করে সিএনজি ভাড়া নেয় একই গ্রামের জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম। পরে আবুল কালাম কাশিনাথপুর বাজার থেকে তার সহযোগী চারজনকে তুলে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর ১৬ জুলাই আমিনপুর থানা চক কৃষ্ণপুর মুজিব বাঁধের পাশে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে নিহত ইমরানের বাবা কালু সরদার তার ছেলে ইমরানের লাশ বলে শনাক্ত করেন।
১৬ জুলাই ইমরানের বাবা আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মামলার প্রধান আসামি আবুল কালামকে আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা পরিচালনা করে বিচারক সাক্ষী শেষে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
৩ মাস আগে
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জয়পুরহাটে ছয় বছরের ছেলেকে গলাটিপে হত্যার দায়ে মা রেশমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে রেশমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ রায় ঘোষণার সময় আসামি রেশমা বেগম বুলি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
রেশমা বেগম বুলি জয়পুরহাটের সদর উপজেলার সগুনা গোপীনাথ পুর গ্রামের আসাদুজ্জামান আসাদুলের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসাদুজ্জামানের ভাই-ভাবির সঙ্গে রেশমা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া লাগত। তার ভাই-ভাবির বাড়িতে একই গ্রামের মানিক হোসেন যাওয়া আসা করার কারণে তার সঙ্গেও রেশমা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে মানিককে লাঠি দিয়ে রেশমা মারধর করেন। এ ঘটনায় মানিকের স্ত্রী থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তার হয়ে রেশমাকে কয়েকদিন জেল খাটতে হয়েছে। পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় আসাদুলের ভাই-ভাবি ও মানিককে ফাঁসাতে নিজের ছয় বছরের শিশু রাকিবকে গলাটিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
৩ মাস আগে
নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
নড়াইলে মফিজুর রহমান ও হযরত শেখ নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মফিজুরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, আনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক মামলায় নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আকরাম হোসেন ও মো. সাইফুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- যশোর কোতোয়ালি থানার কচুয়া মোল্যাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মফিজুর রহমান এবং খুলনা শহরের খানজাহান আলী থানার পাড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা হজরত শেখ।
আদালতের অতিরিক্ত কৌঁসুলি আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মফিজুর ২০১৩ সালে যশার মহাসড়ক নড়াইল সদর উপজেলার সিতারামপুর এলাকায় থেকে ২৩ বোতল ফেনসিডিলসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন। এদিকে, হজরত শেখও সদর উপজেলার চাঁচড়া এলাকা খেকে ২২ বোতল ফেনসিডিলসহ ধরা পড়ে। উভয় ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়। মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে মফিজুর ও হযরতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
৩ মাস আগে