যাবজ্জীবন
এসবির মামুন ইমরানকে হত্যার দায়ে আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে হত্যার দায়ে দুবাইয়ে পলাতক আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), মামুন ইমরানের বন্ধু রহমাত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩)।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন।
অপর ৬ আসামির মধ্যে রহমাত উল্লাহ, সারোয়ার হোসেন জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। এছাড়া বাকী চার আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
পরে ৬ আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আরাভ খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এর আগে কয়েক দফা রায় পেছানো হয়। সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল রায় পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। পরে ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পরে তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রহমত উল্লাহ ও রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রবিউল ইসলামের (আরাভ খান) নেতৃত্বে বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করত একটি চক্র। তাদের লক্ষ্য ছিল রহমত উল্লাহকে আটকে ‘অশালীন’ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করা। সেজন্য ওই চক্র জন্মদিনের নাটক সাজিয়ে রহমতকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল বনানীর ওই বাসায়।
বন্ধু রহমতের সঙ্গে সেখানে গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্যাংক বুথের নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ব্যাংকের বুথের নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যার ঘটনায় আব্দুল মতিন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মতিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকার মৃত হাসমত উল্লাহর ছেলে। তিনি ভূঁইগড়ের আনোয়ার বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। সেই সঙ্গে নিহত আলী হোসেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর এলাকার মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে। তিনি ফতুল্লার ভূঁইগড় বাজারের ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’
আরও পড়ুন: নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, ‘২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আলী হোসেন বুথে ডিউটিকালীন সময়ে আব্দুল মতিন তার মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর আলী হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেছন।’
৮ দিন আগে
নড়াইলে হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ মল্লিক হত্যা মামলায় ইলিয়াস সরদার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় দিয়েছেন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত ইলিয়াস সরদার খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পারখালি গ্রামের সবুর সরদার এর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১২ সালের ১৭ আগস্ট রাতে কালিয়া উপজেলার বড়নাল মাদরাসার কাছে এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা নড়াগাতি থানার আইচপাড়া গ্রামের আব্দুল আহাদ মল্লিককে কুপিয়ে জখম করে। এ নিয়ে মামলার পর আসামিদের জেল-জরিমানা হয়। এ ঘটনায় বিগত ২০১৮ সালের ৪ জুলাই আপিল করে জামিনে বাড়িতে আসে আসামিরা। পরে এদিন রাতে ইলিয়াছ সরদার আব্দুল আহাদ মল্লিককে ফোন করে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে কথা বলার জন্য বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। এরপরে তিনি বাড়িতে না ফিরলে পরেরদিন ৫ জুলাই সকালে গ্রামের একটি পাটখেতে স্বজনরা ও থানা পুলিশ তার লাশ শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
এসময় লাশটির শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও গলায় রশি পেচানো অবস্থায় দেখা যায়।
এ ঘটনার দুইদিন পর ৭ জুলাই নিহতের ভাই আবুল বাসার মল্লিক বাদী হয়ে আইচপাড়া গ্রামের জুয়েল মল্লিক, সোহেল মল্লিক, সাজেল মল্লিক, টুয়েল মল্লিক ও পাশ্ববর্তী খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পারখালি গ্রামের ইলিয়াস সরদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার আদালত ইলিয়াছ সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন। বাকি আসামিদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন।
৮ দিন আগে
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
হত্যা মামলায় কুমিল্লায় মোহাম্মদ কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ ফরিদা ইয়াসমিনের আদালত এই রায় দিয়েছেন।
এছাড়াও কাইয়ুমকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি দেবিদ্বার থানার কালু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
রায়ে বলা হয়েছে, আসামি এই দন্ডাদেশের আগে যে সময়টা হাজতবাস করেছে, তা এই কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে।
মামলার এজাহার ও আসামির জবানবন্দি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি রাত ১২টায় ঘরের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে মুর্শিদা বেগম (৭৫) নামের এক বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে মুখে সাদা স্কচটেপ লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে এই ঘটনায় কাইয়ুমকে আসামি করে মামলা করা হয়।
২৪ দিন আগে
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মিজান নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোক্তাগীর আলম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ছালাম হাওলাদার, মো. আলমগীর, আব্দুল মালেক, মো. ফিরোজ মোল্লা ও আইউব আলী। মিজান ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।
রায়ের সময় আদালতে দুইজন উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৩ জন পলাতক রয়েছেন। বিচারক এই মামলায় অন্য ৭ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ১১ বছর আগে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, ‘২০০৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠী গ্রামের কাপালির হাট বাজারে মামলার বাদী মো. রাকিবুল ইসলামের সাইকেলে পার্সের দোকানে ডাকাতি করে। এসময় তিনি দোকানে ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে ডাকাতির বিষয়টি বুঝতে পেয়ে চিৎকার দিলে আসামিরা সে সময় পালিয়ে যেতে থাকে ও যাবার সময় কয়েক রাউন্ড গুলি করে। সেই গুলিতে স্থানীয় মিজান নামের এক ব্যাক্তি গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে স্থানীয়রা মিজানকে উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিলে সেখানে মিজান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে এ ঘটনায় দোকানদার রাকিবুল বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করে।
পরে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মামলাটি তদন্ত করে ১২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘদিন পর এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৭ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
৩১ দিন আগে
১১ বছর আগে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
১১ বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আরশাদ (২২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আরশাদ কেরাণীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও গ্রামের আব্বাসের ছেলে।
আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ওই শিশুকে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলেন। তার কথামতো সিগারেট ও শ্যাম্পু নিয়ে আসে শিশুটি। পরে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার করেরগাঁওয়ের এক বাড়ির ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে সাবেক পিপি-জিপিসহ আ.লীগ নেতাদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে এ ঘটনা জানায়। তাকে প্রথমে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
ঘটনার তিনদিন পর ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা।
সংশ্লিষ্ট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হামিদুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে একই বছরের ১৬ নভেম্বর আরশাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
৩১ দিন আগে
কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
কামরাঙ্গীরচরে ১৩ বছরের কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এ রায় দেন।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাসহ আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মামলায় দুই শিশুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা হলেন— বগুড়ার ধুনট উপজেলার মোহন, সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার সাব্বির ও শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার (সদর) চিকন্দী গ্রামের রাসেল।
আরও পড়ুন: মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষকের যাবজ্জীবন
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি এরশাদ আলম (জর্জ) বলেন, ‘যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি কারাগারে আছেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। দুই শিশু পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাজার আদেশসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ জুন আসামিরা ভিকটিমকে কামরাঙ্গীরচর থানার হাসান নগরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
৩৬ দিন আগে
মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষকের যাবজ্জীবন
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে আব্দুর রহিম কালু নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নারী শিশু আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘২০২১ সালের ১৮ মে বড়াইগ্রাম উপজেলার তালসো গ্রামের আল জামিয়া মাদরাসার শিক্ষক কালু ওই ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে স্থানীয় একটি ভবনের ছাদে নিয়ে বলাৎকার করে বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে নারীকে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে মামলা করলে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আজ (বুধবার) এ রায় দেন।
এছাড়া ওই শিক্ষককে জরিমানা করা ৫০ হাজার টাকা ভিকটিম ছাত্রকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৩৬ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে নারীকে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে এক নারীকে হত্যা করে গুম করার চেষ্টার অভিযোগে হাবিবুর রহমান মিজি নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায় আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ড. মো. আলমগীর এর রায় দেন।
এ সময় আসামি আদালতের উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আসামি হাবিবুর রহমান মিজি টঙ্গীবাড়ি উপজেলার উত্তর কুরমিরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিজির ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ী লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিনের মেয়ে মামলার ভিকটিম সালেহা উদ্দিন ওরফে ডলি একজন অবিবাহিতা নারী ছিলেন। তার মানসিক সমস্যা ছিল। ২০১৮ সালের ২ মার্চ দুপুরে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, আসামি হাবিবুর রহমান মিজি লৌহজং উপজেলার নওপাড়া গ্রামের হাজী কালাম মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থাকে।
সেখানে এজন নারীর লাশ গোপন কক্ষে রাখা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ডলির ভাই সেখানে গিয়ে তার বোনের ছবির সঙ্গে লাশের ছবির মিল পায় বলে জানতে পারে।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর লক্ষণ পাল হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
আসামি হাবিবুর রহমানকে স্থানীয় লোকজন মেয়েটির কথা জিজ্ঞাসা করলে ওই সময় তিনি বলেন, ‘পদ্মা নদীতে ভেসে আসা লাশটি ঘরের ভেতর রেখে দিয়েছে।’
পরে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ পুলিশ হাবিবুরের স্বয়ং কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ও হাবিবুরকে আটক করে। এ সময় লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মৃত নারীর ভাই টঙ্গীবাড়ী উপজেলার লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিন ছেলে নূর মোহাম্মদ দপ্তরি বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ টঙ্গীবাড়ী থানায় হাবিবুর রহমান মিজিকে আসামি করে মামলা করে। এ ঘটনায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাবিবুরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাছান সারওয়ার্দী।
৪৩ দিন আগে
চাঞ্চল্যকর লক্ষণ পাল হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
মৌলভীবাজারে চাঞ্চল্যকর লক্ষণ পাল হত্যা মামলায় সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস এই রায় ঘোষণা করেন।
বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মো. সানোয়ার হোসেন।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১২ মার্চ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে যান শ্রীমঙ্গল শহরের সেন্ট্রাল রোডের ব্যবসায়ী লক্ষণ পাল। ফেরার পথে আজাদের বাজার আসার পর আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা খুনিরা সিএনজি অটোরিকশায় ছদ্মবেশে যাত্রী সেজে তার সঙ্গে উঠে রাত ১০টার দিকে তাকে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশ কর্ণীগ্রাম থেকে লক্ষণ পালের লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অস্ত্র মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনার পর লক্ষণ পালের ভাই স্বপন পাল বাদী হয়ে রাজনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে রাজনগর থানার পুলিশ তদন্ত করে রবীন্দ্র দেবসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আজ (বৃহস্পতিবার) মৌলভীবাজার জেলার জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ মো. খাদেম উল কায়েস এ রায় দেন।
আসামি রিয়াদ মিয়া, রবীন্দ্র দেব, জয়নাল আবেদীন, ইকরাম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, জালাল মিয়া ও মাসুদ আহমদ সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় প্রত্যেককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এই মামলায় রিয়াদ মিয়া ও রবীন্দ্র দেব জেলহাজতে থাকলেও সাজাপ্রাপ্ত অন্য ৫ আসামি পলাতক রয়েছেন।
৪৯ দিন আগে