যাবজ্জীবন
নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ১৫ বছর আগে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
গ্রেপ্তার মো. রতন (৩৮) নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আব্দুস সাহেদের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৪ জেলায় হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
শনিবার দুপরে র্যাব-১৪ এর মিডিয়া অফিসার জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৪ সালে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া এই আসামিকে শনিবার ভোর ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবার চকচন্দ্রপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, সোহাগপুর গ্রামে ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তোয়াজ্জেম নামের এক কৃষক। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে গলায় কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত তোয়াজ্জেমের ছেলে আরিফ হাসান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে ছয় জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
মাদারীপুরে রাজিব হত্যা: ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
মাদারীপুরে রাজীব নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ মামলার রায় দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
এ সময় আদালতে ২২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। রায়ে চার জনকে খালাস দেয়া হয়েছে এবং বাকি তিন আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিংহ।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজিব সরদার। পথে পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কয়েকজন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করেন।
এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সময় পথেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনার তিনদিন পর নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হোসেন তদন্তের পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। যুক্তিতর্ক শেষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকার এক বাইসাইকেল মেরামতকারীকে হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিক এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-চাঁদপুরের মতলব থানার বইয়েরা গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ঝাড়ু মিয়া, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার সবুজ মিয়ার ছেলে জাকির এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পাঁচপীর গ্রামের আতর মিয়ার ছেলে লাল মিয়া ওরফে লালু।
দণ্ডপ্রাপ্তদের তিনজনই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে সিলেট নগরের বন্দরবাজারে বাইসাইকেল মেরামতকারী আবুল কালাম (৪০) দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
নিহত আবুল কালাম সিলেট নগরের গাজীটোলা এলাকার দুলু মিয়ার কলোনির মৃত ইছরাব আলীর ছেলে এবং নগরের বন্দরবাজার সন্ধ্যাবাজার এলাকায় বাইসাইকেল মেকানিক ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমনা খাতুন বেদনা বাদী হয়ে ২৯ নভেম্বর সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
এর প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৯ মে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সাইদ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান।
মামলাটি বিচারের জন্য ২০১৩ সালে এ আদালতে স্থানান্তরিত হলে বিচারকাজ শুরু হয়।
এরপর ২০০৮ সালের ১৪ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠনের পর ১২ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলায় বাদি পক্ষে ছিলেন আদালতের পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী ঝর্ণা বেগম।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে হত্যা মামলায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার দেবরাইল গ্রামের আহাম্মদ আলী (৭৪),তার স্ত্রী মিনা বেগম (৬২), তাদের তিন ছেলে আলতাব হোসেন (৪৫), মোন্তাজ আলী (৪১) ও এন্তাজ আলী (৩৫) এবং প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৩)।
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল জয়পুরহাট সদর উপজেলার দেবরাইল গ্রামের আজিজুল তার বাবা ও ভাইদের নিয়ে সাংসারিক আলোচনা করছিলেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই সময় প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীরা (আসামিরা) সেখানে উপস্থিত হয়ে বাবা ও ভাইসহ আজিজুলকে মারপিট করে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ১৭ এপ্রিল আজিজুলের ভাই মিজানুর রহমান মিঠু সদর থানায় মামলা করেন।
হাসপাতালে ২২দিন চিকিৎসা নেয়ার পর আহত আজিজুল মারা যান। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।
মামলায় অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল (পিপি) ও গকুল চন্দ্র মণ্ডল বাদী পক্ষের এবং আ্যাডভোকেট আকতার বানু আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
জয়পুরহাটের ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দাদা ও নাতির মৃত্যু
বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কীটনাশক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মন্ডল এ রায় ঘোষণা করেন ৷
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন-বগুড়া শেরপুর উপজেলার চন্ডেরশ্বর এলাকার মো. গোলাম হোসেনের ছেলে মো. তছলিম উদ্দিন ওরফে তছু।
যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন-বগুড়া শেরপুর উপজেলার চন্ডেরশ্বর এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মো. ফারুক হোসেন ও উপজেলার ছোট টুনিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে মো. আব্দুল আলিম।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাসিমুল করিম হলি জানান, গত ২০১৭ সালের ১২ জুন জেলার শেরপুর উপজেলার আলতাদিঘী এলাকার বোডের হাট তিন মাথা মোড়ে মেসার্স আঁখি ও রাফি ট্রেডার্সের কীটনাশক ব্যবসায়ী চণ্ডেশ্বর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমানকে চাকু ও স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে আনিছুর মারা যান।
নিহত আনিছুরের মা আনোয়ারা বেওয়া বাদী হয়ে বগুড়ার শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ওই ঘটনার পরদিন ১৩ জুন আসামিদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।
বাদী রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
লালমনিরহাটে ৫ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন
লালমনিরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১ লা মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতী এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে হাসান আলী ওরফে লাল, তার ভাই আবু নাঈম মিস্টার, একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আসমত আলী ওরফে লাল্টু, সিরাজুল ইসলামের ছেলে আলী হোসেন এবং একই উপজেলার চর ভোটমারী এলাকার মুনছার আলীর ছেলে শফিউল ইসলাম সাদ্দাম।
লালমনিরহাট আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই বলেন, ২০১৮ সালে ৩০ অক্টোবর বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর র্যাব ১৩ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে গোপন বৈঠক করাকালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তুল, চারটি গুলি, দুটি ম্যাগাজিন, গান পাউডার, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং বেশ কিছু লিফলেট ও জিহাদি বই জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে ১ জন আটক, ৪৫টি স্বর্ণের বার জব্দ
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন র্যাব ১৩ রংপুর এর উপপরিদর্শক (এসআই) সুবির বিক্রম দে।
তদন্ত শেষে রংপুর র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার (১ লা মার্চ) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন লালমনিরহাট আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান।
রায়ে বলা হয়, মামলায় পাঁচটি ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলায় হাজতবাস করা সময় দণ্ড থেকে বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লালমনিরহাটে ফেনসিডিল জব্দ, ২ ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
কচুয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরের কচুয়ায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ৯ ২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. হেঞ্জু মিয়ার (৩২) বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার করোইইয়া পূর্বপাড়ায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল বিকালে আট বছর বয়সী ভুক্তভোগী তার ছয় বছর বয়সী ভাইকে নিয়ে বোনের বাড়িতে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
এ সময় তার ছোট ভাইয়ের সেন্ডেল ছিড়ে যায়। তখন আসামি হেঞ্জু মিয়া তার সেন্ডেল ঠিক করে দেয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। এসময় ভুক্তভোগী ও তার ছোট ভাইয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে হেঞ্জু মিয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পুলিশ অভিযুক্ত হেঞ্জু মিয়াকে থানায় নিয়ে যায় এবং ভুক্তভোগীকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে ওই শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াজেদ আলী ঘটনাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৮ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলা চলাকালীন আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল কাদির।
আরও পড়ুন: এসিড নিক্ষেপ মামলায় ১৩ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন
খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
খুলনার খালিশপুর থানা এলাকার শেখ আজিজুল ইসলাম হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এসিড নিক্ষেপ মামলায় ১৩ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ।
আসামিরা হলো- শেখ মশিউর ওরফে মশি, মো. আসলাম হোসেন লিটন, মো. সুইট, আশ্রাফুল ওরফে গাজা আশ্রাব, মো. সহিদ ও মো. মিন্টু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আজিজুল ইসলামকে খালিশপুর নয়াবটিস্থ তৈয়েবের মোড়ে একা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে পরেরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই শেখ জালাল উদ্দিন রাজু বাদী হয়ে থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আ. রহমান আসামি ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এসিড নিক্ষেপ মামলায় ১৩ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।রবিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিচারিক আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামির উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এসিড দগ্ধ রেবেকা বেগম সিংগাইর উপজেলার ধল্লা লক্ষ্মীপুর এলাকার সাহাজুদ্দিন মিয়ার স্ত্রী।
দণ্ডিত সাহাজুদ্দিন (৪৮) মিয়া একই এলাকার মৃত সামসুদ্দিন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, ওই নারী তার স্বামীর কথার অবাধ্য হয়ে প্রবাসে যেতে চাইলে ২০০৯ সালের ২৮মে রাতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির অদূরে ডেকে নিয়ে স্ত্রীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় স্বামী সাহাজুদ্দিন মিয়া। পরে ওই নারীর আত্মচিৎকারে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সাহাজুদ্দিনকে এ রায় দেন।
একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি মজনু মিয়াকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪
মানিকগঞ্জে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ১০ বছর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামকে (৩৮) হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: তহসিলদার হত্যার ২৫ বছর পর দুইজনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বকুল মোল্লা (৩২), সুজা মোল্লা (৩৩), নজরুল মোল্লা (৫৫) এবং দুই সহোদর ফিরোজ মোল্লা (৩৫) ও মঞ্জু মোল্লা (৩২)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষক কামরুল বাড়ি থেকে একটি বাইসাইকেলে করে বোয়ালমারী বাজারের দিকে যাচ্ছেলেন। তিনি চতুল চিতা ঘাটা এলাকায় মঞ্জু মোল্লার দোকানের সামনে পৌঁছালে পাঁচ আসামিসহ মোট ১২ জন স্থানীয় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে কাঠের লাঠি, বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় ওই শিক্ষকের কাছে থাকা নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ১৮ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোন নিয়ে যায়।
আহত শিক্ষক কামরুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ঢাকা নেয়ার পথে ওইদিন (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিপুণ মজুমদার এহাজারভুক্ত ১২ জন আসামিকে অভিযুক্ত আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর এপিপি সানোয়ার হোসেন জানান, আদালত এ হত্যা মামলার ১২ জন আসামির মধ্যে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বাকি সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালতকে বেআইনিভাবে বাধা দওয়ার দায়ে প্রত্যেক আসামিকে এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড