যাবজ্জীবন
শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাট ক্ষেতলালে শিশু রিয়াদ হত্যা মামলায় ২৪ বছর পর চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা ও অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেন।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার চার আসামি হলেন- হিন্দাপাঁচখুপি গ্রামের একাব্বর আলী, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল মতিন ও কালাই উপজেলার হাজীপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন। এদের মধ্যে একাব্বর ও তোফাজ্জল পলাতক রয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, হিন্দাপাঁচখুপি গ্রামের মাসুদুর রহমান দুলালের পাঁচ বছরের ছেলে রিয়াদ ২০০০ সালের ২৫ মার্চ সকাল থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করেও পরিবারের সদস্যরা তার কোনো সন্ধান পায়নি। পরে ২৬ মার্চ আসামিরা রিয়াদকে অপহরণ করার কথা জানিয়ে এক লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর ১০ হাজার টাকা দেওয়া হলেও আসামিরা রিয়াদকে ২৭ মার্চ রাতে হত্যা করে। পরে গ্রামের একটি গর্ত থেকে শিশু রিয়াদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মামা বেলাল উদ্দীন তালুকদার বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা করেন। শুনানি শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কলেজ শিক্ষক আলী হাসান বাবু হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আসাদুল, মজিবর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল হান্নান, আনিছুর, কালাম, খায়রুল, বাবু, সোহেল, মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোর্শেদুল হাসান মশিউর ও আজিজুল ছাড়া বাকিরা পলাতক।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের আবুল কাশেম মণ্ডলের ছেলে আলী হাসান বাবু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শহরগাছি আদর্শ মহাবিদ্যালের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি পাইকরদরিয়া গ্রামে বিভিন্ন স্টক ব্যবসাও করতেন।
২০০৯ সালের ১৭ জুন রাতে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাঁকড়া সেতুর কাছে হামলার শিকার হন। ব্যবসার টাকা ছিনতাই করতে গলায় রশি পেঁচিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ নদীতে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরের দিন এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আবু বক্কর পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে জেএমবির ২ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: অস্বাস্থ্যকর টয়লেটের কারণে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি: আইসিডিডিআর,বি
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তানভীর ওরফে মেহেদী ওরফে আবীর ওরফে মুশফিক বরগুনার বান্দরগাছিয়া এলাকার আব্দুল রহিম আকন্দের ছেলে এবং জহুরুল ইসলাম ওরফে জাহিদ ওরফে বাদল রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ থানার কাশেম আলীর ছেলে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
বারিধারায় পুলিশ হত্যার ঘটনায় ডিএমপির তদন্ত কমিটি গঠন
ফরিদপুরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন
মাদক মামলায় ঝিনাইদহ জেলার সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ আজমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামের আলী আহমদ শেখের ছেলে। তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী থানার এসআই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে খবর পান জেলার মধুখালী রেলগেট পশ্চিম পাশে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনার মো. মজিবর মোল্লা আহত হন। সে সময় মোটরসাইকেল আরোহী শেখ আজম দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে লাগানো গোপন একটি বাক্স থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে মধুখালি থানায় মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।
আসামি চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্ত থেকে রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট এলাকা প্রায়ই যাতায়াত করত এবং মাদক পরিবহন ও ব্যবসায় করতো।
২০১৮ সালের ৭ মে মধুখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান আদালতে এ মামলার অভিযোগ পত্র জমা দেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী অপর এক আসামি নুর আলমকে খালাস দেন আদালত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষক সামছুল ইসলাম হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরের দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত হাফেজের ছেলে ছাবদুল, ছাবদুলের চার ছেলে হেলাল ওরফে হেলু, আলম, ইদ্রিস ও রেজাউল, ছাবদুলের স্ত্রী ফাতেমা, আলমের স্ত্রী ফারজানা, হেলালের স্ত্রী লিলিফা, আমেজ উদ্দীনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও রুকিন্দীপুরের জিয়াউল হকের স্ত্রী ফুত্তি বেগম। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন দুই জন।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের সহকারী কৌশলী (এপিপি) আইনজীবী গোকুল চন্দ্র মন্ডল এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের ছাবদুলের কাছ থেকে প্রায় ৪০শতক জমি কবলা করে প্রায় ২১ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন একই গ্রামের কৃষক সামছুল ইসলাম। পরে সেই জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আসামিরা সামছুল ও বাবাকে মারপিট করে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল নেয়। অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (সজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। পরে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নিজ বাড়িতে আনা হয়। ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত সোমবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।
মঙ্গলবার(২৮ মে) ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মিজানুর রহমান এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এসময় খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ফরিদ নরহরিদ্রা গ্রামের খোন্দকার আমিরুজ্জামানের ছেলে।
তিনি বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজ পাড়ায় বসবাস করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বজলুর রহমান ও আসামি পক্ষে আইনজীবী নেকবার আলী মামলাটি পরিচালনা করেন।
আদালতের রায় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের নিজ গ্রাম সদর উপজেলার নৃসিংহপুরে এক নারীকে মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ওই নারী ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ওই নারীকে বিয়ে করে আবার একই টেবিলে বসে তালাকও দেন ফরিদ।
এদিকে ধর্ষণ মামলার পর ফারুকুজ্জামান ফরিদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।
২০২২ সালের ১৬ এপ্রিল খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
ঝিনাইদহের আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ডিএনএ টেস্ট করার জন্য ঢাকায় পাঠায়। ডিএনএ টেস্টে ফরিদ অভিযুক্ত প্রমাণিত হন। এ কারণে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলায় ফরিদের গাড়িচালক হুদা বাকড়ী গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের কালাইয়ে কৃষক সাইদুল হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা,অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৮ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়নাল মণ্ডল, মোজাম্মেল হক, মোফাজ্জল হোসেন, মোস্তফা, মোসফার আলী, মাহফুজার, মাসুদ,মামুনুর রশিদ, সামসুদ্দিন ও বেলাল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই বিকালে কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামর জমির দখল সংক্রান্ত বিরোধে সামাদের দুই ছেলে সাইদুল ও শরীফুলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে জখম করে অভিযুক্তরা।
পরে আহত সাইদুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে আসামিদের নামে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত ১০জন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে আজ এ রায় দিয়েছেন।
নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নড়াইলে মাদক মামলায় মো. লিন্টু মিয়া ও নাজমুল হুদা নামে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতে বিচারক মোহাম্মাদ সাইফুল আলম এই দণ্ডাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার যশোমন্তপুর গ্রামের মোশারফ মাস্টারের ছেলে। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত নজমুল হুদা একই উপজেলার উথালী গ্রামের তুরফান ফকিরের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া পলাতক রয়েছেন।
নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোহাম্মদ আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর পুলিশ চেকপোস্টের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় লিন্টু মিয়ার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশিকালে তিন কেজি ওজনের তরল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়।
মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজবাড়ীতে মাদক কেনাবেচার দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
রাজবাড়ীতে মাদক কেনাবেচার দায়ে মো. আশরাফুল ইসলাম দুলাল ও মো. আ. আলীম নামে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রবিবার দুপুরে রাজবাড়ী অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১, অতিরিক্ত দায়রা জজ জান্নাতুন লিলিফা আকতার এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার বটতৈল মসজিদপাড়া গ্রামের মৃত আবজাল উদ্দিন খোকা মিয়ার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম দুলাল এবং বটতৈল মোড় পাড়া মো. সিরাজ খাঁয়ের ছেলে মো. আ. আলীম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর এসআই আবু সায়েম ও তার ফোর্স গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় স্থান থেকে একটি প্রাইভেটকার তল্লাশি করে ৮৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন।
এসময় চালকসহ দুইজনকে আটক করে। উপস্থিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে পুলিশ বাদী হয়ে গেয়ালন্দ থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে।
পরে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালত ২০১২ সালের ১৫ মার্চ আশরাফুল ও আলীমের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) ও ৩(খ) ধারায় অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে রবিবার আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে কৃষক বুলু মিয়া হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে কৃষক বুলু মিয়া হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
পারিবারিক বিরোধের জেরে জয়পুরহাটে বুলু মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ- ২ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভেকেট উদয় সিং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গনিরাজের ছেলে এমরান আলী নুহু ও আউশগাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের সদর উপজেলার চকদাদরা এলাকার বুলু মিয়া দস্তপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুসের মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশ্বুর বাড়িতেই থাকতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সে হাতে লাঠি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। ওই রাতেই আসামিরা পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বুলুকে গলা কেটে হত্যা করে।
পরদিন ওই গ্রামের একটি বায়োগ্যাস তৈরির ট্যাংকির উপর তার গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড