মৃত্যুদণ্ড
লুইজিয়ানায় প্রথম নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় কয়েক দশক আগের একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় অঙ্গরাজ্যটিতে প্রথমবারের মতো এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
যদিও গেল ১৫ বছরে অঙ্গরাজ্যটিতে এটি প্রথম কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্য কারাগারে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে তার মৃত্যু ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯ মিনিট ধরে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রবাহিত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা এটিকে নিখুঁত মৃত্যুদণ্ড হিসেবে অভিহিত করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম জেসি হফম্যান জুনিয়র (৪৬)।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘মৃত্যুর সময় হফম্যানের শরীরে অনিচ্ছাকৃত ঝাঁকুনি দেখা গেছে। এ সময়ে তার শরীরে খিঁচুনিও হয়েছে।’
তবে এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মধ্য দিয়ে অসাধারণ কিছু দেখছেন না বলে জানিয়েছেন আরও দুই প্রত্যক্ষদর্শী। এটিকে আবেগহীন ও পদ্ধতিগত মৃত্যুদণ্ড বলে আখ্যায়িত করেছেন ডব্লিউডিএসইউয়ের প্রতিবেদক গিনা সোয়ানসন।
তিনি বলেন, ‘এখানে এমন কিছু ঘটেনি, যা দেখে তার মাথায় চিন্তা আসবে—এটা কী সঠিক ছিল? এটা কী এভাবেই হওয়ার কথা ছিল?’
আরও পড়ুন: আমি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বন্দি: মাহমুদ খলিল
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কক্ষে বসে শেষ ইচ্ছার কথা জানাতে অস্বীকার করেছেন হফম্যান। শেষ খাবারও খেতে চাননি তিনি।
নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে পঞ্চম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ছিল এটি। বাকি চারবার এই একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে এবং সবগুলোই হয়েছে আলবামায়।
নিউ অরলিন্সে ২৮ বছর বয়সী মলি ইলিওট নামের এক বিজ্ঞাপন কর্মকর্তাকে হত্যাকাণ্ডের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন হফম্যান। এই অপরাধ সংঘটনের সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর।
তার জীবনের অধিকাংশ সময়ই দক্ষিণপূর্ব লুইজিয়ানার একটি কারাগারে কাটাতে হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডও সেখানে কার্যকর করা হয়েছে।
হফম্যানের আইনজীবী যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হবেন, যা সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর লঙ্ঘন ঘটবে। কারণ এতে নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক শাস্তি দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তার এই যুক্তি ধোপে টেকেনি।
২৩ ঘণ্টা আগে
শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষক জাহিদুলের মৃত্যুদণ্ড
খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রীতে সাত বছরের একটি শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ম বিষয়ের গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদী বলেন, ‘সব ধর্ষকের কঠিন সাজা হওয়া উচিত, যাতে কেউ এমন ঘৃণ্য কাজের সাহস না পায়।’
এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চাদলতে যাবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষ। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত জাহিদুলকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে জাহিদুল। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটিকে বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল
ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ও মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন তারা। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। শিশুটি তাদের জানায়, শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি করেন।
২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
১ দিন আগে
আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবনের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। রবিবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আপিল বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
এরআগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হয়েছে। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলা বিচারে এসেছিল। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় আসে, যাতে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
তাদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে। বাকি ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
গণঅভ্যুত্থানে সরকারপতনের পর গত ৬ অগাস্ট সে গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। আবরার ছিলেন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
মামলার আসামিদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। গ্রেপ্তার ২১ জনের মধ্যে আটজন আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, সেই ভয়ংকর বিবরণ উঠে আসে তাদের জবানবন্দিতে।
৪ দিন আগে
ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডসহ ৯০ দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি দাবি মহিলা জামায়াতের
ধর্ষকদের প্রকাশ্য জনসম্মুখে ফাঁসিসহ ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছে মহিলা জামায়াত।
শনিবার (১৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান মহিলা জামায়াত।
জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক নুরন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, আছিয়া হত্যার মামলার রায় এক সাপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে এবং আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। সকল ধর্ষককে ফাঁসি দিতে হবে। ধর্মহীনতার চর্চা এবং নৈতিকতাহীন শিক্ষা মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে জনগণকে উজ্জীবিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতা পরিহার করতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধর্ষণ মামলায় কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করে শুধুমাত্র মৃত্যুদন্ডের (ফাঁসি) বিধান করতে হবে। ধর্ষকরা যুগে যুগে আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কারণেই সমাজ থেকে ধর্ষণ নামক ব্যাধি দূর করা যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার নেতৃত্বে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার বাড়িতে হামলা
তিনি আরও বলেন, ধর্ষককে তার নিজ এলাকায় জনসম্মুখে ফাঁসি দিতে হবে। এতে পরবর্তীতে কেউ ধর্ষণের অপরাধ করার সাহস পাবে না। তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তি করার এবং জামিন বিধান বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আমরা এই ঘোষণার বাস্তবায়ন চাই। শিশু আছিয়াকে শুধু ধর্ষণ করা হয়নি হত্যাও করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সরকারের ঘোষণা ও আমাদের ৫ দাবির আলোকে বিচার করতে হবে। নতুবা নারী সমাজ কঠোর আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাঈদা রুম্মান ও মার্জিয়া বেগম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য রোজিনা আখতার, আয়েশা সিদ্দিকা পারভীন, সালমা সুলতানা, ইরানি আখতার, মাহবুবা জাহান, খোন্দকার আয়েশা সিদ্দিকা, সুফিয়া জামালসহ মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের নেত্রীরা।
৫ দিন আগে
১৫ বছরে প্রথমবার ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
গেল ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফায়ারিং স্কোয়াডে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরাধী নিজেই এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ মার্চ) নিজের সাবেক প্রেমিকার মা-বাবাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ব্রাড সিগমনের মৃত্যুদণ্ড ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে কার্যকর করার কথা রয়েছে।
ব্রাড ২০০১ সালে সাবেক প্রেমিকার মা-বাবাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়। তিনি সাউথ ক্যারোলিনার একটি কারাগারে রয়েছেন।
সিগমনের আইনজীবীরা এই মাসের শুরুতেই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার তারিখ পেছানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন।
কিন্তু স্থানীয় সময় বুধবার (৫ মার্চ) আপীল খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর সাউথ ক্যারোলিনার নিয়মানুযায়ী তিনি বৈদ্যুতিক চেয়ার কিংবা বিষাক্ত ইনজেকশন—কোন পদ্ধতিতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর চান জানতে চাওয়া হলে তিনি ফায়ারিং স্কোয়াডে দণ্ড কার্যকর চান বলে জানান।
আমেরিকাতে ঔপনিবেশিক শাসনামলে বিদ্রোহের শাস্তি ও গৃহযুদ্ধ থেকে পলায়ন নিরুৎসাহিত করতে এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হত। বর্তমান সময়ে এভাবে মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে বিষাক্ত ইনজেকশনের মাধ্যমে তা কার্যকর করাকে তুলনামূলক বেশি মানবিক বলে মনে করা হয়। ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ বিতর্ক রয়েছে।
সাউথ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মার্ক স্মিথ বলেন, ‘গৃহযুদ্ধ চলাকালে উভয় পক্ষই সৈন্যদের শৃঙ্খলায় রাখতে; জনসমক্ষে ভীতিকর দৃশ্য তৈরি করার উদ্দেশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াড ব্যবহার করত।
১৯৭৬ সাল থেকে এ অবধি যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র তিন জন কয়েদিকে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ পদ্ধতিতে ৬৭ বছর বয়সী সিগমন-কে ‘ডেথ চেম্বারে’ একটি চেয়ারে বেঁধে রাখা হবে, মাথা কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হবে। এরপর তার হৃদপিণ্ড লক্ষ্যবস্তু করে ১৫ ফুট (৪.৬ মিটার) দূরত্ব থেকে তিনজন তার দিকে গুলি চালাবেন।
১৪ দিন আগে
হবিগঞ্জে নারীকে হত্যা: প্রবাসীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে হত্যার দায়ে ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ একেএম কামাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার মদনপুর গ্রামের আল আমিন, মায়ানগরের ছদর আলী, উত্তমপুরের তাজ উদ্দিন ও ইংল্যান্ড প্রবাসী মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে সুফি মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের কাছে জ্যোৎস্না বেগম নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল চারিনাও গ্রামে।
এ ঘটনার পর মিজানুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন মৃত নারীর ভাই রজব আলী। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশের তিন দফা তদন্তে বের হয়ে আসে যুবলীগ নেতা মিজানুরকে ফাঁসানোর জন্য ইংল্যান্ড প্রবাসী সুফি মিয়া ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে আসামিদেরকে দিয়ে জ্যোৎস্নাকে হত্যা করান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
পরে সিআইডি এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত আল আমিন, ছদর আলী, তাজ উদ্দিন ও সুফি মিয়াসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর আগে ছদর আলী ও তাজ উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার ১১ বছর পর আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের মধ্যে ওই চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। বাকী ৩ জনকে বেখসুর খালাস দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারি তপন সিংহ জানান, রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সবাই পলাতক ছিলেন।
২৩ দিন আগে
হযরত আলী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রেমের সম্পর্কের জেরে হযরত আলী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- নিহত হযরত আলীর স্ত্রী সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলী। নিহত হযরত আলী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইজিবাইক চালককে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, হযরত আলী সাবিনা খাতুনকে নিয়ে সংসার করাকালে লিয়াকত আলীর সঙ্গে সাবিনা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হযরত আলী তার ঘরে সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে দুজনকেই গালমন্দ করেন। এরপর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে লিয়াকত ও সাবিনা খাতুন মিলে হযরত আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
২০২১ সালের ২৯ আগস্ট হযরত আলী হালুয়াঘাট থেকে শেরপুরের নালিতাবাড়ি যাওয়ার পথে সাবিনা খাতুন ফোন করে হযরত আলীর অবস্থান জেনে নেন। পরে লিয়াকত আলী কৌশলে হযরত আলীকে হালুয়াঘাট পশ্চিম কুতিকুড়া আঁতলা বিলের সামনে নিয়ে যান। সেখানে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হযরত আলীর গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন লিয়াকত আলী।
ঘটনাটি ফোন করে সাবিনা খাতুনকে অবহিত করেন। পরে দুজনে মিলে লিয়াকত আলী আবাদি জমিতে হযরত আলীর মরদেহ পুঁতে রাখেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবু নাসের বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় হত্যা মামলা করলে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সেনাসদস্য হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
১২২ দিন আগে
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে হাজীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মহিন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ অক্টোবর) চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এই রায় দেন।
মরিয়ম বেগম (২৫) হাজীগঞ্জের মোল্লাডহর মিজি বাড়ির নেয়ামত উল্লাহ মিজির মেয়ে এবং মহিন উদ্দিন (৩৫) একই উপজেলার পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের মোহন গাজী বাড়ীর লিয়াকত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ব্যবসা ও বিদেশ যাওয়ার নামে স্ত্রী মরিয়মকে দিয়ে যৌতুক হিসেবে শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা চায় মহিন উদ্দিন। এসব নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে বৈঠক হয়। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কোনো এক সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহিন উদ্দিন মরিয়মকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি বলেন, ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পাই। সেখানে গিয়ে ঘরে পাতলা কাঁথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মেয়ের লাশ পাই। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।
পরে ৭ নভেম্বর মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি হাজীগঞ্জ থানায় জামাতা মহিন উদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করে।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই চাঁদপুরের তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম। এতে মামলার ৫ জন আসামির মধ্যে মহিন উদ্দিন ছাড়া ৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, প্রায় ৭ বছর চলমান মামলায় আদালত ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
১৪৯ দিন আগে
স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় দেন কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শাম্মী হাসিনা পারভীন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে একজনের মৃত্যুদণ্ড
রায়ের সময় প্রত্যেক আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিরা হলেন, ভৈরবের চন্ডিবের উত্তর পাড়ার মোছা. রোকসানা আক্তার ও একই গ্রামের আসিফ আহমেদ। আর নিহত স্বামী মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ রেলওয়ে এসএসফিডার পদে কমলাপুরে কর্মরত ছিলেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি রাখাল চন্দ্র দে এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন খুলেজ চন্দ্র নাগ কাজল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহবুবুরকে হত্যা করেন।
পরে ২৮ নভেম্বর নিহতের বড়ভাই বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে এই মামলার রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
১৮১ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গা স্কুলছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণ করে হত্যার দায়ে মামুন (৩০) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় দেন।
মাহফুজ চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টেও ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি মো. মামুনসহ চারজন ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে অপরহরণ করে। তারপর তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিয়ে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র্যাবকে জানায়। পরে অপরহণের দুদিন পর মাহফুজের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মো. আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর মামলার তিনজন আসামি ক্রসফায়ারে নিহত হন। জীবিত থাকে একমাত্র মো. মামুন। সে দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেন।
মামলার মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামুনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন এবং একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শরীফ উদ্দিন হাসু বলেন, ‘রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় জোড়া খুনের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
২১২ দিন আগে