মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন ওরফে টনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন- জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি আরও বলেন, ‘রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান মামলাটি শুনানি করেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে নাচোলের মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। স্বামীকে নিয়ে ২০২০ সালের ২৯ জুন বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে তুকাজ্জেবা। এরপর ১ জুলাই তার গলায় কাঁচি দিয়ে জখম করে সালাউদ্দীন। চিৎকারের শব্দ পেয়ে দরজা ভেঙে আহত অবস্থায় তুকাজ্জেবাকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সালাউদ্দিনকে স্থানীয়রা আটকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার(২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজ সাতকানিয়ার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আইনজীবী নিখিল কুমার নাথ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, মো. পারভেজের সঙ্গে ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল সামাজিকভাবে ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিলেও পিতার বাড়ি থেকে আরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি।
পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার লাশ তারা দেখতে পান।
এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রীসহ ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ দুইজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
সোমবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর-দূর্গাপুর গ্রামের মোখলেছার রহমানের মেয়ে জোৎস্না বেগম ও দাশরা খানপাড়ার বুলু মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া বাবু।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জোৎস্না বেগম বিয়ের পর ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর-দূর্গাপুর গ্রামে ঘর জামাই থাকতেন। তার স্ত্রী পার্শ্ববর্তী গ্রামের শাহিন মিয়া বাবুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তার জেরে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর বিকালে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা ছানাউল ইসলাম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত সোমবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারী হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে নারী হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে মঞ্জু সেন নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এক যুবককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রাম ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. রুবেল (২৮) ও মো. আব্বাস (৩৪)। খালাস পেয়েছেন আসামি ফরহাদ হোসেন জাকি (৩৭)।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু বলেন, ভুক্তভোগীর শরীর থেকে স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিতে আসামিরা মঞ্জু সেনকে হত্যা করেছিল। আদালতে এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রুবেল ও আব্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ায় অন্য ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ মে দুপুরে সদরঘাট থানার নেভাল-টু এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনের পাশের ঝোপে মঞ্জু সেনের লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ রুবেল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। রুবেল মঞ্জু সেনের বাড়ির দারোয়ান ছিলেন বলেও জানা যায়।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সিরাজগঞ্জে মাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মা রশিদা খানমকে গলাকেটে হত্যার দায়ে ছেলে নাহিদ ইমরান নিয়নকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১০ মার্চ) সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এ রায় দেন।
আসামি নাহিদ ইমরান সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী জেবুন্নেসা জেবা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে নাছিম ইমরান নিশাত বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, নিয়ন ক্রিকেট জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ঋণ হওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মায়ের কাছে টাকা দাবি করতেন।
কিন্তু মা টাকা দিতে অস্বীকার করায় এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে নিয়ন মাকে হত্যা করেন।
ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর নিয়ন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সৎ ভাগ্নি ও তার দুই শিশুপুত্রকে হত্যার দায়ে আইয়ুব আলী নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
আইয়ুব আলী সাগর উল্লাপাড়া উপজেলার নন্দিগাঁতী গ্রামের মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
এ মামলায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গাজী আব্দুর রহমান বলেন, আসামি আইয়ুব আলী জেল হাজতে আছেন। রবিবার রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এরপর তাকে আবারও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা ও রায়ের সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার রওশনারা খাতুন তার দুই শিশু পুত্র জিহাদ ও মাহিনকে নিয়ে বেলকুচি থানাধীন মরুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। আসামি আইয়ুব আলী ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রওশনারার বাড়িতে বেড়াতে যান। গভীর রাতে উঠে ট্রাংকের তালা খুলে টাকা বের করার চেষ্টা করলে শব্দে রওশনারার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আইয়ুব আলী পাথরের শীল দিয়ে প্রথমে রওশনারার বুকে আঘাত করেন এবং পরে গলাটিপে হত্যা করেন। এসময় রওশনের দুই ছেলে মাহিন ও জিহাদকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন আইয়ুব আলী। তাদের তিনজনকে হত্যার পর ঘরের সবগুলো ট্রাংক খুলে টাকা খুঁজে না পেয়ে পরদিন ভোরে দরজার বাইরে শিকল দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আবু হোসাইন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কোকতারা গ্রামের মৃত রুস্তম আলী টুরার স্ত্রী মোসা. সহিদা বেগম ও ছেলে রব্বানী, একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন এবং দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা বেগম ও ছেলে রাফিউল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকালে পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়ির সামনে খড়ের গাদা থেকে খড় খোলার সময় ওই গ্রামের আবু তাহেরের উপর আসামিরা হামলা চালায়। এ সময় তার ছেলে আবু হোসাইন সেখানে ছুটে যান। আসামিরা তাকেও আক্রমণ করে। তিনি গুরুতর আহত হলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে মারা যান আবু হোসাইন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
পরে এ ঘটনায় তার বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে ৪ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা আবু হোসাইনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে আবু হোসাইনকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় তার বাবা আবু তাহের ওই বছরের ৪ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে একটি মাদরাসার চার শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নাছির উদ্দীন নামে এক শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ছোট বেউলা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আহমদিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসার হোস্টেল সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় আসামি নাছির উদ্দিন আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি জিকু বড়ুয়া বলেন, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি নাছির উদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলা ও আদালতের নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি মাদরাসায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মাদরাসা শিক্ষক নাছির উদ্দিনের নামে মামলা করেন। পরে তদন্তে দেখা যায় একই ভাবে আরও তিন শিশুকে পালাক্রমে যৌন নির্যাতন করেছেন ওই শিক্ষক।
এই ঘটনায় তদন্ত শেষে নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি নাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে রবিবার এ মামলায় রায় দিলেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী-সন্তান ও যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনার একমাত্র আসামি বরখাস্ত হওয়া পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমীন আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সৌমেন রায় মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আসবা গ্রামের সুনীল রায়ের ছেলে।
তিনি খুলনার ফুলতলা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় এলাকার নাজ ম্যানশন মার্কেটের বিকাশের দোকানের সামনে স্ত্রী আসমা খাতুন, আসমার ছেলে রবিন এবং আসমার প্রেমিক শাকিলকে সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এএসআই সৌমেন রায়। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে সার্ভিস রিভলভার, গুলি ও ম্যাগজিনসহ আটক করে। পরে সেদিন বিকালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একই দিন রাতে এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম। পরদিন ১৪ জুন বিকালে কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌমেন। ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন সৌমেন রায়। এরপর থেকেই পলাতক সৌমেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মামলার বাদী হাসিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে, তার ছেলে রবিন ও শাকিল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে সৌমেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে ভারতে পালিয়েছে।
এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামিকে জামিন দেওয়ায় আমি হতাশ।
তিনি আরও বলেন, আদালত সৌমেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমি খুশি। তবে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন হত্যা মামলায় ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
তবে রায় ঘোষণার সময় ৬ আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেওয়ানপাড়া মহল্লার মৃত ইউনুছ আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদীন; শান্তিনগর মহল্লার মৃত শাজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন; আরাফাতনগর মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ; দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর; তেঘরবিশা গ্রামের মৃত কাবেজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম; দেওয়ানপাড়া মহল্লার আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা; দেবীপুর কাজিপাড়া মহল্লার মৃত মকবুল হেসেনের ছেলে শাহী; দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল; দেবীপুর মন্ডলপাড়া মহল্লার রফিকের ছেলে সুজন; দেবীপুর কাজিপাড়া মহল্লার নুর হোসেন নমুর ছেলে রহিম ও নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।
আরও পড়ুন: নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকালে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে পৌর এলাকার পাঁচুরচক মাধ্যমিক বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর ছাত্র মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জয়পুরহাট শহরের জামালগঞ্জ সড়কের একটি আম গাছের নিচে তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরদিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে পরের দিন জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বুধবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড