মৃত্যুদণ্ড
হযরত আলী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রেমের সম্পর্কের জেরে হযরত আলী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- নিহত হযরত আলীর স্ত্রী সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলী। নিহত হযরত আলী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইজিবাইক চালককে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, হযরত আলী সাবিনা খাতুনকে নিয়ে সংসার করাকালে লিয়াকত আলীর সঙ্গে সাবিনা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হযরত আলী তার ঘরে সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে দুজনকেই গালমন্দ করেন। এরপর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে লিয়াকত ও সাবিনা খাতুন মিলে হযরত আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
২০২১ সালের ২৯ আগস্ট হযরত আলী হালুয়াঘাট থেকে শেরপুরের নালিতাবাড়ি যাওয়ার পথে সাবিনা খাতুন ফোন করে হযরত আলীর অবস্থান জেনে নেন। পরে লিয়াকত আলী কৌশলে হযরত আলীকে হালুয়াঘাট পশ্চিম কুতিকুড়া আঁতলা বিলের সামনে নিয়ে যান। সেখানে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হযরত আলীর গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন লিয়াকত আলী।
ঘটনাটি ফোন করে সাবিনা খাতুনকে অবহিত করেন। পরে দুজনে মিলে লিয়াকত আলী আবাদি জমিতে হযরত আলীর মরদেহ পুঁতে রাখেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবু নাসের বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় হত্যা মামলা করলে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সেনাসদস্য হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
২০ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে হাজীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মহিন উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ অক্টোবর) চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এই রায় দেন।
মরিয়ম বেগম (২৫) হাজীগঞ্জের মোল্লাডহর মিজি বাড়ির নেয়ামত উল্লাহ মিজির মেয়ে এবং মহিন উদ্দিন (৩৫) একই উপজেলার পূর্ব কাজিরগাঁও গ্রামের মোহন গাজী বাড়ীর লিয়াকত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রেনু হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ব্যবসা ও বিদেশ যাওয়ার নামে স্ত্রী মরিয়মকে দিয়ে যৌতুক হিসেবে শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা চায় মহিন উদ্দিন। এসব নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে বৈঠক হয়। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে কোনো এক সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহিন উদ্দিন মরিয়মকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি বলেন, ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পাই। সেখানে গিয়ে ঘরে পাতলা কাঁথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মেয়ের লাশ পাই। পরে পুলিশ এসে সুরতহাল তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।
পরে ৭ নভেম্বর মরিয়মের বাবা নেয়ামত উল্লাহ মিজি হাজীগঞ্জ থানায় জামাতা মহিন উদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করে।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পিবিআই চাঁদপুরের তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম। এতে মামলার ৫ জন আসামির মধ্যে মহিন উদ্দিন ছাড়া ৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, প্রায় ৭ বছর চলমান মামলায় আদালত ৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
৩ সপ্তাহ আগে
স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় দেন কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শাম্মী হাসিনা পারভীন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে একজনের মৃত্যুদণ্ড
রায়ের সময় প্রত্যেক আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিরা হলেন, ভৈরবের চন্ডিবের উত্তর পাড়ার মোছা. রোকসানা আক্তার ও একই গ্রামের আসিফ আহমেদ। আর নিহত স্বামী মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ রেলওয়ে এসএসফিডার পদে কমলাপুরে কর্মরত ছিলেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি রাখাল চন্দ্র দে এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন খুলেজ চন্দ্র নাগ কাজল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহবুবুরকে হত্যা করেন।
পরে ২৮ নভেম্বর নিহতের বড়ভাই বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে এই মামলার রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
১ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গা স্কুলছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে (১৫) অপহরণ করে হত্যার দায়ে মামুন (৩০) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় দেন।
মাহফুজ চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টেও ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি মো. মামুনসহ চারজন ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে অপরহরণ করে। তারপর তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিয়ে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ ও র্যাবকে জানায়। পরে অপরহণের দুদিন পর মাহফুজের লাশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় নিহত সজিবের মামা মো. আব্দুল হালিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মামুনসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর মামলার তিনজন আসামি ক্রসফায়ারে নিহত হন। জীবিত থাকে একমাত্র মো. মামুন। সে দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেন।
মামলার মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামুনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন এবং একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শরীফ উদ্দিন হাসু বলেন, ‘রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় জোড়া খুনের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
২ মাস আগে
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় ইয়াছিন মিয়া হত্যা মামলার আসামি দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সেলিম মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন মো. শাহজাহান মিয়া (৩৭) এবং তার ভাই আসামি সেলিম মিয়াকে (৪৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ফকিরমূড়া গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম জানান, প্রেমের জের ২০২০ সালের ১৮ মে রাত সোয়া ৯টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ব্যাপারে নিহতের বড়ভাই মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন ও কুমিল্লা পিবিআইয়ের এসআই আব্দুর রজ্জাক সর্দার ২০২০ সালের ২১ মে আসামি শাহজাহান ও ১১ জুন আসামি সেলিমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন হয়।
এরপর ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষ ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক ও শুনানির মাধ্যমে আসামি শাহজাহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জালাল উদ্দীন টিপু বলেছেন, রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
৩ মাস আগে
কুমিল্লায় জোড়া খুনের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গিয়াস উদ্দিন ও জামাল হোসেনের খুনের ঘটনায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসমিকে ৫০ হাজার টাকা করেও জরিমানা করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার সময়ে আদালতে ১৫ জন আসামির মধ্যে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণের ধনাইতরীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৬ সালে এই খুনের ঘটনা ঘটেছিল।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- তোফায়েল আহমেদ তোতা, কামাল হোসেন, মো. মামুন, আলমগীর হোসেন, বাবুল ও হারুনুর রশিদ।
যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা হলেন- হায়দার আলী, আবদুল মান্নান, জামাল হোসেন, আবুল বাশার, জাকির হোসেন, আবদুল কাদের, আবদুল কুদ্দুস।
কুমিল্লা আদালতের সরকারি কৌসুলি মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘২০১৬ সালে ১২ আগস্ট রাতে আসামিরা গিয়াসউদ্দিন ও জামালকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত গিয়াসের ছেলে মেহেদী হাসান ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারকার্যে আসামিদের জবানবন্দি ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টেও ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
৪ মাস আগে
হাইকোর্টেও ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল
চাঁদপুরে পারভীন আক্তার হত্যা মামলায় রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে বিচারিক আদালতে জহিরুল ইসলাম ও তার সহযোগী ইউনুছকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও কে এম কামরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদির পালানোর ঘটনায় ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রসু খাঁ চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া, যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত জহিরুল ও ইউনুস ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মসজিদের ফ্যান চুরির ঘটনায় ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর গাজীপুরের টঙ্গী থেকে রসু খাঁ গ্রেপ্তার হন। পরে স্থানীয় এক কিশোরী হত্যার ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ, যা থেকে বেরিয়ে আসে তার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। এরপর তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন রসু খাঁ। জবানবন্দিতে তার করা ১১টি খুনের কথা উঠে আসে।
রসু খাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর মধ্যে খুলনার পোশাককর্মী শাহিদা হত্যা মামলায় প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় দেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২০ জুলাই রাতে রসু খাঁ ও অপর আসামিরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্য হাঁসা গ্রামের নির্জন মাঠে পারভীন আক্তার নামে এক নারীকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ওই মামলায় চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আবদুল মান্নান ২০১৮ সালের ৬ মার্চ রসু খাঁ ও তার ভাগ্নে জহিরুল ইসলামসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরবর্তীতে ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। এছাড়া আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
৪ মাস আগে
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. জামাল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছা এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মো. জামাল কুমিল্লার মুরাদনগর থানার মুসাগারা এলাকার মৃত জোনাব আলীর ছেলে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুর রশীদ বলেন, ‘মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর ভিত্তিতে স্ত্রী পারভিন আক্তারকে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জামালকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’
২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি পারভীন আক্তারের বোন বেবি আক্তার বাদী হয়ে জামালকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও আসামি পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি রাতেই গ্রেপ্তার
৪ মাস আগে
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে কবিরাজ সুলাল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরেকজনকে খালাস দেওয়া হয়। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামির ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম শফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলার রাউজান উপজেলায় ৮ বছর আগে কবিরাজ সুলাল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছিল।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের পরিমল চৌধুরীর ছেলে মিঠু চৌধুরী, একই এলাকার মৃত সন্তু চৌধুরীর ছেলে সুমন চৌধুরী (৩৫), আবদুর রহমান চৌকিদারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫) এবং শাহ আলমের ছেলে এরশাদ হোসেন (৩৫)।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন— রাউজান থানার চিকদাইর গ্রামের নীল কমল কবিরাজের বাড়ির ডা. পায়রিণ চৌধুরীর ছেলে সুদ্বীপ চৌধুরী প্রকাশ ও সঞ্জিত চৌধুরী।
আর খালাস পেয়েছেন রাউজান থানার চিকদাইর মুন্সী পাড়ার নুর মোহাম্মাদের ছেলে মো. ইলিয়াস প্রকাশ ইলু (৩০)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, সুলাল চৌধুরী পেশায় কবিরাজ ছিলেন। তিনি রাউজান উপজেলার আজাদী বাজারের যুগিরহাট চাউল বাজারে অভয়া উৎঘালয় নামে একটি ফার্মেসি চালাতেন। ২০১৬ সালের ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে ফার্মেসির কাজ শেষে রিকশায় বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে যায় অভিযুক্তরা। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার তিনদিন পর ভিকটিমের ছেলে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছয়মাস পর ২৭ ডিসেম্বর মোট ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুদীপ কান্তি নাথ বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে আদালত এই রায় দিয়েছেন। এসময় একজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
৪ মাস আগে
নড়াইলে অপহরণ-হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
নড়াইলে হত্যা ও অপহরণ মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ করে টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল এলকার মৃত আবুল খায়ের মোল্যার ছেলে আনারুল মোল্যা,মরিচপাশা এলকার মৃত মোক্তার সর্দারের ছেলে জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া ও আড়পাড়া এলাকার মো. আবু বকর শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৮ সালের ২৩ জুন সকাল ৭টায় লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী গ্রামের আনারুল মোল্যা,জিনারুল ইসলাম এবং মো.নাজমুল শিকদার। তারা ৪০ হাজার টাকায় ইজিবাইক কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে পলাশ মোল্যাকে অপহরণ করে। পরে ২৬ জুন মাগুরা জেলার সদর থানার ধানখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীরের পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: যশোরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পরে ৮ জুলাই পলাশ মোল্যার পরিবার লাশ শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহত পলাশের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করে।
রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এমদাদুল ইসলাম বলেন,অপহরণ ও হত্যা মামলায় আনারুল মোল্যা,নাজমুল শিকদার ও তারা মিয়াকে ৩০২ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
৫ মাস আগে