রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এসব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
এদিকে কলারোয়া উপজেলার বাটরায় আনারস প্রতীকের সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা আফছার উদ্দীনসহ তিন জন নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন আলি জানিয়েছেন, শহরের সরকারি কলেজ কেন্দ্রে চার ঘণ্টার ব্যবধানে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এসময় আশাশুনির কেন্দ্রে কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা জোর করে ব্যালটে সীল মারছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও ফুটেজে বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টু তার বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। এ উপজেলার খাজরা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, কুল্লা ইউনিয়নের আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট দেয়ার ঘটনায় কিছু সময় ধরে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে কলারোয়ার বাটরা কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস প্রতিকের দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আনারস প্রতিকের সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা আফছার উদ্দীনসহ তিন জন আহত হন।
এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, সেখানে দ্রুত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
অপরদিকে আশাশুনির বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দেবনাথের দ্রুত অপসারন দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন।
তার অভিযোগ, ওসি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে প্রতি কেন্দ্রে এক হাজার ব্যালটে নৌকার সিল মারার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, ১০টি কেন্দ্রে থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে কর্মকর্তাদের সহায়তায় নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। এদিকে সদর উপজেলার মাছখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলেও পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।