শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান,
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় ওই দম্পতিকে কুয়েত- বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি এই দম্পতির এক ছেলে চীন ভ্রমণ করে, সেও তাদের সাথে দেশে ফেরত আসে। তবে তাকে বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে, তিনি বলেন।
এর আগে, দুজন বাংলাদেশি ইতালি থেকে দেশে ফেরার পর তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ নামে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। পরে তাদের সংস্পর্শে আরও এক বাংলাদেশি এই রোগে আক্রান্ত হয়।
সোমবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পরে আরও দুজন ইতালি প্রবাসীকে করোনভাইরাস সন্দেহে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এছাড়া ইতালি থেকে ফেরত আসা আরেক বাংলাদেশি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তাকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
মহাখালীর আইইডিসিআরে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে আটজনকে কোয়ারেন্টাইনে (রোগ সংক্রমণের আশঙ্কায় পৃথক রাখা) রাখা হয়েছে।
চীনে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে সোমবার পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এছাড়া এই রোগে বিশ্বব্যাপী ১ লাখ ১৩ হাজারের বেশি আক্রান্ত এবং ৬৩ হাজারের বেশি সুস্থ হয়েছে।