এদিকে সম্প্রতি কামড়াপুর পয়েন্টে ধসে যাওয়া বাঁধটি পরিদর্শন করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ধসে যাওয়া অংশ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী নিজামুল হক ভূঁইয়া।
ওই সময় তিনি জানান, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই ধসের মেরামত কাজ শেষ করা হবে। বাঁধের ভেতরে ও বাঁধের উপর অবৈধ দখলদাররা স্থাপনা নির্মাণ করায় এটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তিনি এসব অধৈব স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
প্রকৌশলী নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বাঁধের পাশের বাসিন্দারা সচেতন হলে এটি রক্ষা পাবে। তাদের অসচেতনতায় দিন দিন বাঁধটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।’
তিনি শহরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বিষয়ে অবগত রয়েছে। যথাসময়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।’ পরে তিনি জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করে খোয়াই নদীর বাঁধের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
সে সময় জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৬ মাস পূর্বে বাঁধ মেরামতের বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র দেয়া ছাড়াও পানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নিয়ে সরেজমিনে বাঁধ পরিদর্শন করা হয়। তিনি বাঁধের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ সার্বিক বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর খোয়াই নদীর বাঁধের কামড়াপুর অংশে প্রায় ৩৫০ ফুট লম্বা ধস নামে। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এটি মেরামত না হওয়ায় তা দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে। এছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে বৃষ্টিপাত শুরু হলে ধ্সনামা বাঁধের এ অংশটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।