রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের সভায় মোট ৪ হাজার ৩২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
প্রকল্পগুলোর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪ হাজার ২৪৯ কোটি ৯ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ (কোরিয়া এক্সিমব্যাংক) ৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে আটটি নতুন ও একটি সংশোধিত।
হাতিরঝিল-বনশ্রী-ডেমরা মহাসড়ক প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সাড়ে ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কের এ প্রকল্পটি শেষ হলে এ রাস্তা ব্যবহারকারী চট্টগ্রাম ও সিলেটের যাত্রীরা উপকৃত হবেন।
এছাড়া, মোংলা বন্দরের জেটিতে সাড়ে ৯ থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা অর্জনে একনেকের সভায় ৭৯৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
সভায় ৯৫৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ভাণ্ডাল জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যয় ১ হাজার ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ৯৯৫ কোটি ১৫ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বাকি ছয়টি নতুন প্রকল্প হলো- ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রকল্প, ৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় রাজশাহী ওয়াসা ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ৪৪৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় নারায়ণগঞ্জ লিংক সড়ক (সাইনবোর্ড-চাষাড়া) ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প, ১৪৭ কোটি ৩ লাখ টাকায় আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, ৩৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদ তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্প এবং ১৯১ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার আওতাধীন সুরমা নদীর ডান তীরে অবস্থিত দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, রক্ষীবাউর ও বেতুরা এলাকায় নদী তীর সংরক্ষণ।