প্রকল্প
তিতাস স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্পে অগ্রগতি সামান্য
এক বছর আগে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পৃথক দুটি চুক্তি করলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘তিতাস গ্যাস পিএলসির পক্ষ থেকে মাত্র কয়েকজন স্বতন্ত্র পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরামর্শক (পিএমসি) নিয়োগ দেওয়া হয়নি।’
পিএমসির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে পিএমসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কারণ এটি প্রকল্প পরিকল্পনা ও নকশা করার দায়িত্বে থাকে।
তিনি ইউএনবি বলেন, ‘মূল প্রযুক্তিগত দিকগুলো পিএমসির হাতে রয়েছে। সাধারণত একটি বা দুটি বিদেশি কোম্পানিকে পিএমসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।’
তিতাস পিএলসির নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজও স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ধীর অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছেন।
পিএমসির নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিতাস শিগগিরই পরামর্শক নিয়োগ দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, দুটি প্রকল্পের আওতায় মোট সাড়ে ১৭ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য গত বছরের নভেম্বরে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে পৃথক দুটি ঋণ চুক্তি সই করে তিতাস গ্যাস।
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড কার্বন অ্যাবেটমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় ১১ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে তিতাস।
স্মার্ট মিটারিং এনার্জি ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় সাড়ে ৬ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি সই করে গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
আরও পড়ুন: তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের পুরানো কূপ থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু
সরকার অতিরিক্ত সিস্টেম লস যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে তিতাস গ্যাস পিএলসির জন্য স্মার্ট প্রিপেইড মিটার প্রকল্প হাতে নেয়।
ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির পরিমাণ এবং পরিমাণের দিক থেকে পুরোনো ও বৃহত্তম গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা হিসেবে তিতাস গ্যাস ৭ শতাংশ সিস্টেম লসের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম লস হওয়ায় প্রতি মাসে ১৫০ থেকে ১৮০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়। তারা বলছেন, এত বড় সিস্টেম লস রোধ করা গেলে বছরে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।
জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার আর্থিক সহায়তায় তিতাস গ্যাস এ পর্যন্ত প্রধানত ঢাকা শহরের আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করেছে।
মূলত গুলশান, বনানী, মোহাম্মদপুর, পল্টন, রমনা, নিউমার্কেট, খিলগাঁও ও সেগুনবাগিচা এলাকায় প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাস বর্তমানে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার আবাসিক গ্রাহক, ১২ হাজার ৭৮ জন বাণিজ্যিক গ্রাহক, ৫ হাজার ৪২৯ জন শিল্প গ্রাহক, ১ হাজার ৭৫৫টি ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ৩৯৬টি সিএনজি স্টেশনসহ ২৮ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্যাস বাজারের ৫৫ শতাংশ এককভাবে তিতাস গ্যাসের দখলে, বাকি পাঁচ কোম্পানির ৪৫ শতাংশ।
ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও ময়মনসিংহের বিশাল এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করে তিতাস।
প্রতিষ্ঠানটি বছরে প্রায় ১৪ হাজার ৪৫৯ দশমিক ৪১ এমএমসিএম (মিলিয়ন ঘনমিটার) গ্যাস বিক্রি করে ২৬ হাজার ৩৮৭ কোটি ১২ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, দগ্ধ ২০
৫ দিন আগে
কোনো পরিবর্তন ছাড়াই চলবে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প: অর্থ মন্ত্রণালয়
কোনো পরিবর্তন ছাড়াই সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা-গ্রেপ্তার নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় ৩ লাখ ৭২ হাজারের বেশি ব্যক্তি নিবন্ধন করেছেন, যা সব মিলিয়ে ১৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এসব বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা চলতি মাসে উপকারভোগীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। পেনশনের সুবিধাভোগীরা অ্যাকাউন্টে আমানত ও অর্জিত মুনাফা দেখতে পাবেন।
গত বছরের ১৭ আগস্ট চালু হওয়া ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিমের লক্ষ্য একটি সুসংগঠিত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়া। এটি প্রাথমিকভাবে জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশকে লক্ষ্য করে চারটি মূল প্রকল্প- প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা নিয়ে শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত অভিযানে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম
১ সপ্তাহ আগে
প্রধানমন্ত্রী চান তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক ভারত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি চান ভারত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করুক, কারণ এটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমি ভারতকেই অগ্রাধিকার দেব। ভারতের হাতে তিস্তা নদীর পানি রয়েছে। সুতরাং তাদের প্রকল্পটি করা উচিত এবং তারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে এখানে যা প্রয়োজন তা দেবে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, চীন তিস্তা প্রকল্প সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব নিয়ে এসেছে এবং সম্ভাব্যতা যাচাইবাছাই করেছে। এদিকে ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে এবং সম্ভাব্যতা যাচাইবাছাই করবে।
তিনি বলেন, ভারতের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হওয়ার পর সরকার বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
৩ মাস আগে
ধীরগতির প্রকল্পের তালিকা দিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ সংসদীয় কমিটির
দীর্ঘদিন ধরে চলা ধীরগতির প্রকল্প এবং বারবার সময় বাড়ানো হয়েছে- এমন প্রকল্পের তালিকা দাখিলের জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
একই সঙ্গে সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন দেরি হয়েছে- তার বিস্তারিত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়কে। এটি পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে সেন্সর ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ রেলপথ সংসদীয় কমিটির
রবিবার সংসদ ভবনে এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
কমিটি চলমান প্রকল্পগুলোর কাজের গতি বাড়াতে প্রক্রিয়া পর্যালোচনা ও উন্নত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে অনুরোধ করে।
দ্রুত ও গতিশীল উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বিত অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কোটা ইস্যু এখনও বিচারাধীন থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে নিয়োগ স্থগিতের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
নিরাপদ খাদ্যে বিশেষ নজরদারির আহ্বান সংসদীয় কমিটির
৩ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে জাইকার দুটি কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্প সই
কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বায়ুদূষণ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দুটি কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্প সই করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকল্প সইয়ের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এটি জাইকার বৈশ্বিক উন্নয়নে জাইকার বিষয়ভিত্তিক কৌশলের 'জাইকা ক্লিন সিটি ইনিশিয়েটিভ' (জেসিসিআই) অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক এজেন্ডা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো- টেকসই পদ্ধতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বর্জ্য ও বায়ুদূষণ ব্যবস্থাপনা উন্নত করার মাধ্যমে শহরাঞ্চলে 'পরিচ্ছন্ন নগরী' গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে জাইকার ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণচুক্তি
প্রকল্পগুলোতে সই করেন জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ মিউরা মারি, বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম শাহাবুদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আমিনুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল হামিদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমিন।
আরও পড়ুন: ৯ প্রকল্পে জাইকার সহায়তা ১১৩৪৪ কোটি টাকা, শুরু হচ্ছে আরও ৪ প্রকল্প: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
৩ মাস আগে
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার পাবে: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। জনস্বার্থে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা দরকার সেটা সবার আগে দেখা উচিত।
চলমান প্রকল্পগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকট মাথায় রেখেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে, প্রকল্প বাস্তবায়নে হাত দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি ঘটানো যাবে না। বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটাও দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, আমেরিকা প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা
বিভিন্ন বড় প্রকল্পের অগ্রাধিকার নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে কমলাপুরের প্রকল্প মতিঝিল পর্যন্ত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও জানান, ‘হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা এবং কমলপুর থেকে পূর্বাচল হয়ে বিমানবন্দর ৩১ কিলোমিটারের মধ্যে পাতাল রেল এবং তারপর আরেকটি ১৩ কিলোমিটারের পাতাল রেল- এই দুই প্রকল্প চলমান এবং জনস্বার্থেও দরকার। এতে বিদেশি তহবিলও আছে।’
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার প্রকল্পতে জাইকা সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। যশোর-খুলনা প্রকল্পকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঐতিহ্যগত দুর্নীতি বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভালো কাজের জন্য পুরস্কার, খারাপ কাজের জন্য তিরস্কার- দুটিই প্রয়োজন। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ প্রধান কর্মকর্তা, আমরা যদি সৎ থাকি, তাহলে দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ নেই। দুর্নীতির জন্য আমাদের যে মূল্য দিতে হয়, সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক, দুঃখজনকও বটে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কমিশন, পার্সেন্টেজ এক সময় এখানে নিয়ম হিসেবে চালু ছিল। এখানে পদোন্নতি ও ট্রান্সফার নিয়ে অনেক কথা ছিল। এসব চর্চা বন্ধ করা হয়েছে।’
বিআরটিএ এবং সড়ক ও মহাসড়ক কোনো ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভুয়া সাংবাদিকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: সেতুমন্ত্রী
ঢাকা অচল করতে আসলে বিএনপিকে অচল করে দেবে ঢাকাবাসী: সেতুমন্ত্রী
৩ মাস আগে
খুলে দেওয়া হলো বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একাংশ
কাজ শুরুর প্রায় এক দশক পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বাস র্যাপিট ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত একটি ফ্লাইওভারের ময়মনসিংহ মুখী দুইটি লেন।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন অনেকটা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে। কমেছে সড়ক ব্যবহারকারীদের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ।
আরও পড়ুন: আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একাংশ মঙ্গলবার সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এতে ফ্লাইওভারের দুইটি লেন উন্মুক্ত করার পর স্বাভাবিক গতিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন চলাচল করছে।
এর আগে এসব যানবাহন বিকল্প পথে নাওজোড় হয়ে চলাচল করত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী দুইটি লেন খুলে দেওয়ায় এ মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি কমেছে।
বিআরটি প্রকল্পের প্রকৌশলী রাসেল রানা জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই ফ্লাইওভারের ঢাকামুখী লেনও খুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৬টি ফ্লাইওভার নির্মাণ।
আরও পড়ুন: হানিফ ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ২৫টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ী এলাকায় দুইটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ।
বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস নির্মাণ, সড়কের দুই পাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ। ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত নির্মাণ।
এদিকে ৬ বছরে কাজ শেষ করার থাকলেও নানা অজুহাতে সময় বাড়ানো হয়েছে চারবার। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রকল্প ব্যায়। সময় ফুরিয়ে গেলেও কাজ এখনো ফুরোয়নি।
যদিও প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
৭ মাস আগে
মানব পাচার হ্রাসে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রকল্প ‘অগ্রযাত্রা’
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জেলে ও কৃষকদের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারকে তা আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স হেলেন লা-ফেইভ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে মানব পাচার বৃদ্ধির ঝুঁকি হ্রাস করতে সর্বোত্তম পদক্ষেপ সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ সরবরাহ করবে এটি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনীতে এসব কথা বলেন মার্কিন এই কর্মকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী মানব পাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকি হ্রাসে জলবায়ু অভিযোজন, সহনশীলতা ও প্রশমন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন দ্রুততার সঙ্গে করতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে ও সম্পদ সংগ্রহে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
উইনরক ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন 'অগ্রযাত্রা' প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি বিভাগ) এ কে এম টিপু সুলতান এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই কর্মসূচি মানব পাচার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারের উদাহরণ।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় জলবায়ু পরিবর্তন, মানব পাচার ও আধুনিক দাসত্বের মধ্যে যোগসূত্র সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াবে ‘অগ্রযাত্রা’ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বাইডেনের চিঠির জবাব দিলেন শেখ হাসিনা
মার্কিন দূতাবাস জানায়, সারা বাংলাদেশে প্রায়শই কৃষিকাজ ও জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্পত্তি বিলীন হয় এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে। প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে প্রকল্পটি এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানব পাচারের ঝুঁকি হ্রাস করবে।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য জলবায়ুসহনশীল জীবিকার উন্নতি এবং নীতি ও পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপকে উৎসাহিত করা।
রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল ও পটুয়াখালীসহ দেশের ১১টি জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশ-উন্নয়নকে আরও কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করবে সরকার
বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর যথাযথ ও সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সরকার নিয়মিতভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি দুই মাস পর পর বিদেশি অর্থায়নে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে তার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের তৃতীয় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কমিটি গঠন করেন। নয় বছর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে পরিকল্পনা কমিশনের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর অর্থ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে যথাযথভাবে ব্যয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছেন, যারা প্রতি দুই মাস পর পর বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন ও সময়মতো বৈদেশিক তহবিল বিতরণের ক্ষেত্রে এ জাতীয় প্রকল্পগুলোর সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করবেন।’
পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ না করে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়।
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম বলেন, যথাযথ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সকল সদস্যের সমন্বয়ে একটি প্রকল্প যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের জন্য সভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল প্রকল্প নির্বাচন ও যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে এই জাতীয় অনুশীলন। এরপর এ প্রস্তাবে সম্মতি দেন তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি প্রকল্প গ্রহণের আগে যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অন্যথায় প্রকল্পটি থমকে যাবে এবং ব্যয় ও সময় অতিক্রম করবে।
সালাম বলেন, সভায় প্রকল্প পরিচালকদের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বা পুল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রকল্পগুলোর সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা সচিব বলেন, বৈঠকে সরকারের সার্বিক সরকারি বিনিয়োগ চিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জিডিপির অনুপাতে সরকারি বিনিয়োগের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১১ সালে ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকার পর্যায়ক্রমে এ ধরনের সরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
কোনো উন্নয়ন সহযোগীর সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের কোনো সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী সেই সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এমন কাজ করে, তাহলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। দেশে এখন নির্বাচিত সরকার আছে, কেউ আমাদের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। উন্নয়ন সহযোগীরা আমাদের বিনা সুদে ঋণ দিচ্ছে না, বরং তারা মূল টাকার পাশাপাশি সুদ পাবে। উন্নয়ন সহযোগী ও সরকার উভয়ই চায় প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে।’
সালাম বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এছাড়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
৮ মাস আগে
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাতারাতি সব সংকট দূর করা যাবে না: অর্থমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে আলী বলেন, 'উন্নয়নের জন্য যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলোর প্রতি চীনের অঙ্গীকার রয়েছে। আমি আশা করি চীনের অর্থায়ন ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে।’
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে নতুন সরকার হওয়ায় তাদের কাজ নতুনভাবে শুরু হয়েছে। এজন্য আমি আজ অর্থমন্ত্রী আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি।’
নতুন অর্থমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, নতুন সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে প্রিসাইডিং অফিসার, কারণ দর্শানোর নোটিশ
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
৯ মাস আগে