তিনি বলেন, ‘আগে একটি নকশা অনুমোদনের জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ সময় লাগত ১৫০ দিন। আমরা তা কমিয়ে ৫৩ দিনে নিয়ে আসছি। এ ক্ষেত্রে ব্যয়ও কমে যাচ্ছে। যথাযথভাবে হলে আপনি সাত দিনের মধ্যেও ফল পেয়ে যেতে পারেন। আমরা সর্বোচ্চ সময়সীমা করেছি ৫৩ দিন।’
বুধবার সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সমন্বয়ে রাজউক-চউক এর সেবা সহজীকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম জানান, এখন ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদনের জন্য সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ, গ্যাস সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, পুলিশ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ১২টি সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজউক ও চউকের মতো আমাদের অন্য কর্তৃপক্ষ যেগুলো রয়েছে সেগুলো থেকে নির্মাণের জন্য নকশার অনুমোদন নিতে হয়। এ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ১৬টি স্তর অতিক্রম করতে হত। এতে সীমাহীন ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে। আমরা এটি গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছি। বিডা আমাদের এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে।’
‘আমরা দেখেছি ১৬টি স্তরের কোনো আবশ্যকতা নেই। আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১৬ স্তরের পরিবর্তে চার স্তর প্রয়োজন হবে। আমরা ১২টি স্তরকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, নকশা অনুমোদনে ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র নিতে হবে। ভবনের উচ্চতার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহর কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি নিতে হবে। তবে যে এলাকা বিমান চলাচলের পথ নয় সে এলাকা নির্ণয় করে বিষয়টি সহজ করে দেয়া হবে। এতে কর্তৃপক্ষ ম্যাপ অনুসরণ করে নকশা দিতে পারবেন। এ বিষয়ে গেজেট নোটিফিকেশন লাগবে। দু’একদিনের মধ্যে তা হয়ে গেলে যেখানে বিমান চলাচল নেই সেখানে অনাপত্তিপত্র আনতে যেতে হবে না।
এছাড়া, বঙ্গভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিশেষ বা স্পর্শকাতর এলাকার পাশে কোনো ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর অনাপত্তি লাগবে। আর দশতলা ভবনের ঊর্ধ্বে হলে ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তি লাগবে, জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নকশা অনুমোদনে অটোমেশন পদ্ধতি কার্যকর করছি। সে ক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজন তা দিয়েই প্রত্যেকে আবেদন করতে পারবেন। রাজউক বা চউকে আসার দরকার নেই। এতে সময় বাঁচবে।
মন্ত্রী জানান, রাজউকে ১ মে’র পর থেকে আর নকশাসহ যেকোনো বিষয়ে কাগজে-কলমে আবেদন করা যাবে না। সব অনলাইনে করতে হবে। সেই সাথে কোনো দালালের কাছে যেতে হবে না। অন্যায় পথে কাউকে রাজি করার চেষ্টা করা লাগবে না।
যারা নিয়মনীতি না মেনে ভবন নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।