উন্নয়ন
ডিএনসিসিতে নতুন যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগামী এক বছর ডিএনসিসিতে নতুনভাবে যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খালগুলো দখলমুক্ত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছি এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে।
সোমবার (১৩ মে) সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের প্রধান কার্যালয়ের হল রুমে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ৪ বছর পূর্তিতে সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু: ডিএনসিসি মেয়র
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি মেয়র তার দায়িত্বগ্রহণের ৪ বছরের অগ্রগতির সার্বিক চিত্র এবং আগামী এক বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
মেয়র বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা সারা বছরই কাজ করছি। এ বছর বর্ষার আগেই ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করছি। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। বিটিআই আনার জন্য গত বছর উদ্যোগ নিয়েছিলাম, ঠিকাদার প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তাকে কালো তালিকাভুক্ত করাসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে আমরা বিটিআই আনার বিষয়টি বন্ধ না করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে নিজেরাই সরাসরি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে। দ্রুতই বিটিআই আনতে পারব। প্রথমবারের মতো এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি নগদ টাকায় কিনে নিচ্ছি। কার্যকরভাবে ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন বাফেলো টারবাইন নিয়ে আসব, এটি প্রক্রিয়াধীন। সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সেবার পরিসর বাড়িয়েছি। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। গুলশান-১ ও তালতলা মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেন ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্মার্ট পার্কিং চালু করেছি। গুলশান-২ এ এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ভিত্তিক ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর মাধ্যমে প্রমাণ করেছি ডিএনসিসি ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল বাস্তবায়নে সক্ষম। আরও ছয়টি স্থানে এআই ভিত্তিক ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে অনলাইন সেবার পরিসর বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছি।
সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইচ্ছা ছিল কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, একটি স্মার্ট জবাইখানা করার ইচ্ছা আছে। আমি দ্রুতই এটি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেব। এছাড়াও গাবতলীতে বৃক্ষ ও প্রাণী হাসপাতাল নির্মাণ করার ইচ্ছা রয়েছে।
তিনি বলেন, শহরের পরিবেশ রক্ষায় দুই বছরে দুই লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। গত বছর ৯০ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছে। আমরা বৃক্ষরোপণকে গুরুত্ব দিয়ে ৪৭ জন মালি নিয়োগ দিচ্ছি। দুইজন সুপারভাইজার নিয়েছি। এই বছর আরও দেড় লাখ গাছ রোপণ করা হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে খালি জায়গায় শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে: ডিএনসিসির বর্জ্য প্রদর্শনীতে মেয়র
বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে: মেয়র তাপস
৬ মাস আগে
মৎস্য খাতের উন্নয়নে পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা
চিংড়ি, কাঁকড়া, স্বাদু পানির মাছ, সামুদ্রিক মাছসহ অন্যান্য মাছ রপ্তানিসহ এই খাতের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাছের উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়াতে এই খাতের জন্য পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা চান এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (মে ৬) বেলা ১১টায় মৎস্য খাতবিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ দাবি করেন বক্তারা।
এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, চিংড়ি, কাঁকড়া ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ রয়েছে। তবে মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে। বাধাহীনভাবে মাছ চাষের জন্য দেশের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দসহ নদীতে খাঁচা পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য চাষে সরকারের সহযোগিতা পেলে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়বে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আগে রপ্তানি খাত বলতে চা, চামড়া, মাছ এগুলোই ছিল। এগুলো রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো বাংলাদেশের। এখনও হচ্ছে। তবে মৎস্য খাতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটাতে গিয়ে আগের মতো আর মাছ রপ্তানি করার সুযোগ হচ্ছে না। মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুপারিশমালা তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতামত চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
মৎস্য খাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মৎস্য খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে মাছ চাষিদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ ও থানা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর। মৎস্য খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের দুইটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন তিনি। এছাড়া মাছ রপ্তানি বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি। এসময়, অবৈধ জাল দিয়ে নদী ও সাগরে মৎস্য নিধনের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুড্স এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল আক্তার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, নিয়াজ আলী চিশতী, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ রেকর্ড
সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
৬ মাস আগে
পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত “জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসে মাদক রোধবিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে যেসব সাংবাদিক কাজ করে যাচ্ছেন, তারা যদি কোনো প্রভাবশালী মহল দ্বারা আক্রান্ত হন, সরকার সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব, অন্যদিকে পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপচেষ্টা সরকার বরদাস্ত করবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ রক্ষা করে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপকমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরির্বতন কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী।
আরও পড়ুন: অপতথ্য রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার একটি বৈজ্ঞানিক ও তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
লিয়াকত বলেন, উন্নত বিশ্বের দেওয়া প্রতিশ্রুতির ১০০ বিলিয়ন ডলারের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠন এখনও কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশের ন্যায্য দাবিগুলো আদায়ে ক্রমাগত তথ্যউপাত্তভিত্তিক নানা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম তার ভূমিকা পালন করে যাবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও ডিকাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, শাহনাজ বেগম পলি ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন।
আরও পড়ুন: মরিশাসের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
৬ মাস আগে
নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে গতানুগতিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘সাপোর্টিভ ইকোসিস্টেম ফর উইমেন এন্ট্রারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড প্রফেশনালস’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের পেছনে ফেলে একটি দেশে সমউন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নারীদের প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায়, অপ্রচলিত খাত সমূহে নারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস ও উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন সেমিনারে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে রাজধানীর পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একজন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবারের উৎসাহ ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষদের অনুরোধ করি আপনার কন্যা, স্ত্রী কিংবা বোনকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে সহযোগিতা করুন। কারণ, নারীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক থেকে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম বলেও জানানো হয় সেমিনারে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ১২২, ১২৬ ও ১৩৯ তম।
এমন পরিস্থিতিতে, রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য সূচকে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই তার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বস্ত করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আয়ের দিক থেকে নারী পুরুষের মধ্যে এখনও একটা বড় বৈষম্য রয়ে গেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে বিবেচনায় রেখে নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
৮ মাস আগে
দেশ-উন্নয়নকে আরও কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম' এর মাধ্যমে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে এবং কাছ থেকে জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, কূটনীতিকরা যাতে আরও কাছ থেকে দেখতে পারেন, সেজন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর বাইরে পরিদর্শনের মাধ্যমে কূটনীতিকরা বাঙালি জাতির সামর্থ্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে- সেই খবরগুলো তাদের দেশে পৌঁছাবেন। ফলে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গণমাধ্যমের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু'দিনব্যাপী 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামে'র আওতায় প্রথম দিন আজ দুপুরে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মিশন প্রধানদের নিয়ে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমি এবং কর্ণফুলী টানেল পরিদর্শন শেষে ট্রেনে কক্সবাজার যান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে আরও জানেন, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখেন, সেকারণেই তাদেরকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে তারা কক্সবাজার যাবেন।
বিদেশি প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শনে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে কি না -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই তারা বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সফরে এসেছেন তারা। আজ চট্টগ্রামে কয়েক ঘণ্টা কাটালেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রোড টানেল তারা দেখলেন।
আরও পড়ুন: কায়রো অপেরা হাউজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই। সেটি তারা দেখলেন। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব এবং সেই বাস্তবতা আজকে কূটনীতিকরা নিজের চোখে দেখেছেন।
কূটনীতিকদের ট্রেনে করে কক্সবাজার নেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। তারও আগে ব্রিটিশ আমলে ১৯০০ সালের পরপরই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর দেশ ভাগ হলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
মন্ত্রী বলেন, এই জনপদের মানুষ ১২৫ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছিল, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই অসাধারণ কাজ কূটনীতিকদেরকে দেখাবার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার নিয়ে এসেছি। তাদেরকে এখানে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা যেন বাংলাদেশকে জানে এবং চেনে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যে আমাদের দেশে, এই খবরটা যেন তাদের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। এবং বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও উন্নয়ন সম্পর্কে তারা যেন ভালো করে জানতে পারে, সেজন্যই তাদেরকে আমরা নিয়ে এসেছি।
বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাবার্তা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সঙ্গে তো কথাবার্তা আমাদের সবসময়ই হয় এবং তারা অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। এবং এখনও যদি তারা সুযোগ পায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এই আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জাপান দূতাবাস ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ইকেবানা কর্মশালা অনুষ্ঠিত
৮ মাস আগে
উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির সরদার প্যাটেল ভবনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
চলমান এই সফরে সেই বিষয়টিই প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পরে বৈঠক শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেও ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পুনর্বাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এই সফরে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথাও রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
৯ মাস আগে
রেলের উন্নয়নে আরব আমিরাতের সহযোগিতা চান রেলপথমন্ত্রী
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতা কামনা করেছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন রেলমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যে সুসম্পর্ক তৈরি করেছিলেন তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজ করার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সেক্টরের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং অপারেশন সেক্টরে সহযোগিতাসহ, বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে রেলের উন্নয়নের সহযোগিতা করতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
৯ মাস আগে
‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তৃণমূল স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিতে হবে’
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতি করতে হলে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, এ এই তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করাই হবে আমার প্রথম কাজ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা নিয়েই আমি ডাক্তার হয়েছি। মন্ত্রীও হয়েছি। সুতরাং এই চট্টগ্রাম থেকেই আমার কাজ শুরু হলো।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে কাদের
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকদের তৃণমূলে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চিকিৎসকদের তৃণমূলে পাঠাতে ও রাখতে কাজ করব। তবে একইসঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথাটিও ভালো করে মনে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার হাসপাতাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের পটুয়াখালীর একটি মেয়ের উপর আক্রমণ হলো। কিছুদিন আগেই সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা হাসপাতালে আক্রমণ হলো।
মন্ত্রী বলেন, এগুলোও আমাদেরকে ভাবতে হবে। তবে, আমরা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আর পিছিয়ে থাকব না, আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি, আমরা এগিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
৯ মাস আগে
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
এখনো দেশি-বিদেশি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, জনগণ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। এছাড়া দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র নির্বাচনের আগে থেকেই ছিল।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিয়ামতপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য এবং দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নির্বাচন ছিল উন্নয়নকে বেছে নেওয়ার এবং আগুন সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করার নির্বাচন।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে উল্লেখ জনগণকে সতর্ক থাকারি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির দেশবিরোধী সব অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত সময়ে নির্বাচিত হয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। মানুষকে ভালোবেসেছি, ভালোবাসাও পেয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ ডাচ এনজিওগুলোর
বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করতে ডাচ এনজিওগুলো তাদের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিতেএক সম্মেলনে দেশটির এনজিওর প্রতিনিধিরা এ আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করে।
সম্মেলনে ৪০টিরও বেশি ডাচ এনজিও থেকে ৬০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। তারা বাংলাদেশে নারী ও শিশু, জলবায়ু অভিযোজন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, কৃষি, মানসিক স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঞ্চালনায় সম্মেলনে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সহযোগিতা), রাষ্ট্রদূত প্যাসকেল খ্রোটেনহাউস ও রাষ্ট্রদূত (এশিয়া ও ওশেনিয়া) ওয়াউটার ইয়োর্খেন বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ বিশদভাবে তুলে ধরেন কীভাবে দুটি ব-দ্বীপের মানুষ সক্ষমতা ও জ্ঞানের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও উদ্ভাবন, সহনশীলতা ও উন্নয়ন উদ্যোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়।
ডাচ এনজিওগুলোকে ‘বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু’ আখ্যায়িত করে তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ডাচ এনজিওগুলো কীভাবে বাংলাদেশে আরও নিয়োজিত হতে পারে, তার ক্ষেত্র ও ধারণাগুলো তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত প্যাসকেল তার মূল বক্তব্যে কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার সুরক্ষা ও জীবিকা অর্জনের জন্য একটি সামাজিক-অর্থনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে তার ভাবনা উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্যানেল আলোচনায়, অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু মোকাবিলা ও জীবিকা বিষয়ে ডাচ সরকারি সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও এনজিও থেকে প্রায় ১০ জন বিশেষজ্ঞ আলোচনা করেন। এ ছাড়া উন্নয়ন কর্মী, তৃণমূল, নারী ও শিশু, যুবকদের প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলোর উপর আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি রূপান্তরকারী সম্ভাবনা পরীক্ষণের সুযোগ ও সম্ভাব্য সমাধান আলোচনা এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার জন্য জীবিকার বিকল্প তৈরি করতে প্রযুক্তিচালিত সমাধান প্রবর্তন তাদের আলোচনায় প্রাধাণ্য পায়।
নেদারল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন কালেকশন (এনআইসিসি) বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ডাচ উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সম্পৃক্ততার একটি সময়রেখা তুলে ধরে।
বাংলাদেশের ‘উন্মুক্ত ও উদার নৈতিক মূল্যবোধ’ও টেকসই সমাধান, সামাজিক সংহতি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিতকরণে একটি ‘জীবন্ত গবেষণাগার’ হিসেবে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ডাচ এনজিও ও অন্যরা।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে