যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার পর সহপাঠী বান্ধবীদের উদ্দেশ্যে ‘নুসরাতের লেখা এক চিঠির’ মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিটি তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।
চিঠিতে দিন-তারিখ লেখা না থাকলেও বিষয়বস্তু বিবেচনায় এটি কয়েকদিন আগের লেখা বলে মনে করছে তদন্তকারি সূত্র।
দুই পাতার ওই চিঠিটি তামান্না ও সাথী নামের দুই বান্ধবীকে উদ্দেশ করে লেখা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছে নুসরাত।
ওই চিঠিতে সে আত্মহত্যা করবে না বলেও উল্লেখ করে। তবে যৌন হয়রানির ঘটনার পর সিরাজ উদদৌলাহ গ্রেপ্তার হলে তার মুক্তির দাবিতে বান্ধবীদের অংশগ্রহণে ক্ষোভ প্রকাশ করে সে। তাকে নিয়ে বান্ধবীদের বিভিন্ন কটূক্তিতেও তার মর্মাহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
চিঠিতে রাফি উল্লেখ করে, ‘মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাহ তাকে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়।’
চিঠিতে নুসরাত লিখে, ‘আমি লড়বো শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত। আমি প্রথমে যে ভুলটা করেছি আত্মহত্যা করতে গিয়ে। সেই ভুলটা দ্বিতীয়বার করবো না। মরে যাওয়া মানে তো হেরে যাওয়া। আমি মরবো না, আমি বাঁচবো। আমি তাকে শাস্তি দেবো। যে আমায় কষ্ট দিয়েছে। আমি তাকে এমন শাস্তি দেবো যে তাকে দেখে অন্যরা শিক্ষা নেবে। আমি তাকে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেবো। ইনশাআল্লাহ।’
এদিকে গত ৬ এপ্রিল নুসরাত জাহান রাফিকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার পর থেকে কেউ কেউ ঘটনাটিকে আত্মহত্যার চেষ্টা বলেও ধারণা করেছেন। তবে উদ্ধার হওয়া চিঠিটিতে নুসরাতের ভাষ্য ভিন্ন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন চিঠিটি উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এটিও ওই ঘটনার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।’ চিঠিতে উল্লেখিতদের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে তিনি জানান।