ড. বারকাত বলেন, ‘আমার হিসেবে গত পাঁচ দশকে (১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত) আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ নিরুদ্দিষ্ট হয়েছেন। প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে এবং পরে ভিডিও সাক্ষাতকারে আমার নাম উল্লেখ করে যা বলেছেন তার সাথে আমার গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্তের কোনোই মিল নেই।’
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘একজন সমাজ গবেষক হিসেবে আমি নিশ্চিত হতে চাই যে প্রিয়া সাহা আমার নাম উল্লেখপূর্বক যেসব বিভ্রান্তিমূলক ও নীতি গর্হিত বক্তব্য দিয়েছেন তিনি অতি দ্রুত তা প্রত্যাহার করবেন।’
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও ক্লিপে প্রিয়া সাহাকে ট্রাম্পের কাছে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি...৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে। ‘আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন, আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না, আমাদের থাকতে সাহায্য করুন। আমি আমার ঘরবাড়ি হারিয়েছি, তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমার জমি দখল করেছে, কিন্তু এখনো কোনো বিচার হয়নি।’
পরে এক ভিডিও বার্তায় প্রিয়া সাহা আবুল বারকাতের গবেষণার তথ্য-উপাত্তের কথা উল্লেখ করে নিজের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ও ব্যাখ্যা দেন। ‘২০১১ সালে স্যারের সাথে সরাসরি কাজ করেছিলাম যার কারণে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত।’
এ বিষয়ে আবুল বারকাত বলেন, প্রিয়া সাহা কখনও আমার সহ-গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না।