ডোনাল্ড ট্রাম্প
ট্রাম্পকে অভিনন্দন শির, দুই দেশের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সঠিক পথ খোঁজার আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
দুই দেশের মধ্যে নতুন যুগে সঠিক সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান শি। তিনি বলেন, এটি উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের জন্য কল্যাণকর হবে।
শি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার মাধ্যমে লাভবান হয় এবং সংঘাতের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়‑ইতিহাস থেকেই এই শিক্ষাই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় প্রশাসন গঠনে ট্রাম্পের ব্যাপক পরিকল্পনা
তিনি বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীল, সুদৃঢ় ও টেকসই সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে।
উভয় পক্ষ পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতার নীতিগুলো বজায় রাখবে, সংলাপ ও যোগাযোগ জোরদার করবে, মতপার্থক্যগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করবে এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতার প্রসার ঘটাবে বলে আশাবাদী শি।
একই দিনে, যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জে.ডি. ভ্যান্সকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেং।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
২ সপ্তাহ আগে
৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। চার বছর আগে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে সহিংস বিদ্রোহের সূত্রপাত করেছিলেন তিনি। গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্তও হয়েছিলেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
দুটি হত্যাচেষ্টার হাত থেকেও বেঁচে গিয়েছেন ট্রাম্প। এবারের নির্বাচনে উইসকনসিনে জয়ের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পাস করেছেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন
রিপাবলিকানরা পশ্চিম ভার্জিনিয়া এবং ওহাইওতে আসন দখলের মাধ্যমে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। শীর্ষ হাউস দৌড়গুলো নিউ ইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় কেন্দ্রিক। ডেমোক্র্যাটরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রিপাবলিকানরা আশ্চর্যজনক জয় পেয়েছে। এমনকি ১০টি বা তারও বেশি আসনের কয়েকটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ এখনও হাতছাড়া
রিপাবলিকানরা হোয়াইট হাউস ও সিনেট দখল করলেও প্রতিনিধি পরিষদে এখনো অনেক লড়াই করতে হবে।
প্রায় ৬০টি হাউস নির্বাচন এখনও অমীমাংসিত থাকায় যে কোনো দল চেম্বারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। ডেমোক্র্যাটদের কাছে প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাই ওয়াশিংটনে আধিপত্য বিস্তার এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের শেষ ভরসা। তারপরও রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তারা আরও সহজে ট্রাম্পের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে। এর মধ্যে রয়েছে কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো, কঠোর সীমান্ত ব্যবস্থায় অর্থায়ন এবং ফেডারেল সরকারের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা।
তারপরও হাউস নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। হাউসের মূল দৌড়ের সংখ্যায় এখন পর্যন্ত কোনো দলই নির্ভরযোগ্য সুবিধা করতে পারেনি। ক্যালিফোর্নিয়ায় ধীরগতির অনেকগুলো সহ সারা দেশে কঠোর প্রতিযোগিতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশকে সবার আগে রাখতে হবে: নির্বাচনের রাতের ভাষণে ট্রাম্প
জয়ের পথে ট্রাম্প, সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পুনরুদ্ধার
২ সপ্তাহ আগে
মোদি 'সবচেয়ে ভালো মানুষ’ : ট্রাম্প
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘বন্ধু’ পরিচয় দিয়ে 'সবচেয়ে ভালো মানুষদের একজন' হিসেবে প্রশংসা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ফ্ল্যাগ্র্যান্ট পডকাস্টে কথোপকথনের সময় ট্রাম্প ভারতে মোদির নেতৃত্ব তুলে ধরে বিশ্ব নেতাদের সম্পর্কে তার ধারণা নিয়ে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'মোদি আমার বন্ধু এবং আমার দেখা সবচেয়ে চমৎকার মানুষদের একজন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ভারত বেশ অস্থিতিশীল ছিল। বাইরে থেকে তাকে পিতৃসুলভ মনে হলেও তিনি একজন শক্তিশালী ও দৃঢ়চেতা নেতা।
১ মাস আগে
রাজনীতিতে কখনো সহিংসতা চাই না: ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি সমাবেশে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আমাদের দেশে যেমন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, মানুষের সম্পত্তি পোড়ানো হয় সেটি কখনো কাম্য নয়। এটি অনভিপ্রেত, আইনবিরোধী।’
রবিবার (১৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ট্রাম্পের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে কখনো ভায়োলেন্স ছিল না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ হামলায় আমরা চিন্তিত ও নিন্দা জানাই। রাজনীতিতে ভায়োলেন্স থাকা উচিত নয়।’
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, ‘কোটার বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে এসেছে। সরকার শিক্ষার্থীদের ওপর সহানুভূতিশীল হয়ে পুরো কোটাই বাতিল করে দিয়েছিল। হাইকোর্ট সেটি পুনর্বহাল করেছিল, সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করেছে। কোটা আদালতের একটি বিচারাধীন বিষয়। সে কারণে এর ওপর সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে। আদালতের মাধ্যমেই এর সমাধান হতে হবে।
কোটা আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এখন যে আন্দোলন হচ্ছে সেটির কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। এটি আসলে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিও বটে। কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। যেমন অনেক জেলা থেকে অনেক ক্যাডারে কেউ সুযোগ পাচ্ছে না, মেয়েদের অংশগ্রহণ কমে গেছে -এসব সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
কোটা আন্দোলন থেকে বিএনপি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বিএনপি তো সবসময় চায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে। বিএনপি কোটা আন্দোলন থেকেও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ সরকার যে কোটা বাতিল করেছিল, সেটিই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরও যখন আন্দোলন হয় বুঝতে হবে এটির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত হয়েছে।’
গত ১১-১২ জুলাই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা, জ্বালানি নিরাপত্তা খাতে সহায়তা এবং নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সবুজ শক্তি ব্যবহার বাড়ানো বিষয়ে রিট্রিটে কথা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের চার তারিখে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।
রিট্রিটের সাইডলাইনে ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী হাছান জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের জন্য পচনশীল পণ্য আমদানিতে কোটা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা বিষয়ে কারিগরি দল পাঠানো, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তি ও জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ড. হাছান আরও জানান, মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সেটি রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর।
৪ মাস আগে
৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিচারের আহ্বান আইন প্রণেতাদের
২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার তদন্তকারী হাউস কমিটি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ বিচারের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
দাঙ্গা ও সহিংসতায় ট্রাম্পের ভূমিকার বিষয়ে প্যানেলের বিস্তৃত তদন্তের সমাপ্তির কথা জানিয়ে কমিটি সোমবার তার শেষ পাবলিক অধিবেশন করেছে। বুধবার এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
প্যানেলের মতে, ট্রাম্প সম্পূর্ণভাবে বিদ্রোহের জন্য দায়ী ছিলেন।
প্যানেলের সাতজন ডেমোক্র্যাট এবং দুই রিপাবলিকান, ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগের সুপারিশ করছে। তারা ট্রাম্পকে ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেয়ার জন্য একটি বৃহৎ চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
শুনানি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্যানেল প্রতিবেদনের ১৫৪-পৃষ্ঠার সারাংশ প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ফলাফল না মেনে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প ভোটারদের ইচ্ছাকে ব্যর্থ করার জন্য ‘বহুমুখী ষড়যন্ত্রে’ জড়িত ছিলেন।
সোমবার একটি চূড়ান্ত বৈঠকে কমিটি দাঙ্গার সময় এবং বিদ্রোহের সময় উভয় ক্ষেত্রেই ট্রাম্পের চারটি ফৌজদারি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। কারণ এটি বিচার বিভাগে বিচারের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতির সুপারিশ করেছিল।
বিচারের জন্য তারা যে অভিযোগগুলো সুপারিশ করেছে তার মধ্যে একটি হলো বিদ্রোহকে সহায়তা করা।
কমিটি রক্ষণশীল আইনজীবী জন ইস্টম্যানকেও ট্রাম্পের মতো একই আইনের দুটিতে বিচারের জন্য রেফার করার জন্য ভোট দিয়েছে। ইস্টম্যান ট্রাম্পকে ক্ষমতায় রাখার লক্ষ্যে সন্দেহজনক আইনি কৌশল তৈরি করেছিলেন। আইন দুটি হলো-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র এবং একটি সরকারি কার্যক্রমে বাধা দেয়া।
১ বছর আগে
এফবিআই: ম্যাগাজিন ও অন্যান্য নথির সঙ্গে ‘টপ সিক্রেট’ নথি মিশিয়ে রেখেছিল ট্রাম্প
চলতি বছরের শুরুর দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডা এস্টেট থেকে উদ্ধার করা ১৫টি বাক্সের মধ্যে ১৪টি শ্রেণীবদ্ধ নথি রয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলো ‘টপ সিক্রেট’ নথি বিভিন্ন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সঙ্গে মিশিয়ে রাখা হয়েছিল। দেশটির বিচার বিভাগের অনুরোধের প্রেক্ষিতে শুক্রবার প্রকাশিত এফবিআই হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ট্রাম্পের মার-এ-লাগো এস্টেটে অভিযান চালিয়ে এসব নথি উদ্ধারের দাবি করে আমেরিকার এই গোয়েন্দা সংস্থা।
৩২-পৃষ্ঠার হলফনামা সাক্ষী ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ও ‘চলমান তদন্তের অখণ্ডতা’ রক্ষা করার জন্য ব্যাপকভাবে সংশোধন করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে কীভাবে শীর্ষ গোপনীয় সরকারি নথিগুলো এলামেলো করে রাখা হয়েছিল এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের কয়েক মাসব্যাপী অনুরোধ সত্ত্বেও ট্রাম্প সেগুলো হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এর ফলে ২০২৪ সালে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভিত্তি স্থাপনের আগেই ট্রাম্প সম্ভবত নতুন আইনি বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে হামলায় দায়ী ট্রাম্প
একজন এফবিআই এজেন্ট হলফনামার প্রথম পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘সরকার অননুমোদিত জায়গায় শ্রেণীবদ্ধ তথ্যের বেআইনিভাবে স্থানান্তর ও সংরক্ষণ এবং বেআইনিভাবে সেগুলো গোপন করা বা সরকারী রেকর্ড অপসারণের বিষয়ে একটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
যদিও ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলে আসছেন, নথিগুলিতে ‘গোপন’ কিছু নেই।
হলফনামায় গত ৮ আগস্ট মার-এ-লাগোতে অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১১ সেটের শ্রেণীবদ্ধ রেকর্ডের বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। বরং এর পরিবর্তে পৃথক ১৫টি বাক্সের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যা ন্যাশনাল আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানুয়ারিতে ট্রাম্পের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছিল। আর্কাইভস বিষয়টি বিচার বিভাগে পাঠিয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, এই ১৫টি বাক্সে পাওয়া অত্যন্ত সংবেদনশীল উপাদানগুলোর কারণে মার-এ-লাগোতে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন ছিল।
হলফনামায় বলা হয়েছে, শ্রেণীবিন্যাস চিহ্ন সহ ১৮৪টি নথির মধ্যে ২৫টি ‘টপ সিক্রেট’ স্তরের।
আর্কাইভের একটি চিঠির বরাত দিয়ে হলফনামায় বলা হয়, এই শ্রেণীবদ্ধ নথিগুলো কিছু সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও বিবিধ প্রিন্ট-আউট সহ অন্যান্য নথির সঙ্গে মিশিয়ে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাতিলে ফের বাইডেনের স্বাক্ষর
ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার শুরু ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে
২ বছর আগে
ট্রাম্পের সমালোচক লিজ চেনি পরাজিত
কংগ্রেসে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ও রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ লিজ চেনি মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইমিংয়ের মিডটার্ম ইলেকশনে ট্রাম্প-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যারিয়েট হেগম্যানের কাছে পরাজিত হয়েছেন।
হ্যারিয়েট হেগম্যানের কাছে চেনির পরাজয়কে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
প্রতিযোগিতার কথা স্বীকার করে চেনি বলেছেন, তিনি প্রাথমিক জয়ের জন্য ‘২০২০ নির্বাচন সম্পর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে চান না।’
চেনি তার এই পরাজয়কে তার রাজনৈতিক জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচনের প্রত্যাশিত ব্যালটের ৫৮ শতাংশ গণনা করা হয়েছে। জানা যায়হেগম্যান ৬২.৪ শতাংশ ভোট নিয়ে রিপাবলিকানের নেতৃত্ব দিয়েছেন। চেনি ৩৩.৫ শতাংশ এবং রাজ্যের আইনপ্রণেতা অ্যান্থনি বাউচার্ড ২.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে হামলায় দায়ী ট্রাম্প
এর আগে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তার অভিশংসনকে সমর্থন করার জন্য যে ১০ জন হাউস রিপাবলিকানের পেছনে ট্রাম্প উঠে পড়ে লেগেছিলেন তার মধ্যে চেনি অন্যতম। চেনি হাউস প্যানেলের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান হয়েও তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকদের করা ক্যাপিটল দাঙ্গার ঘটনার তদন্ত দলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরাজয়ের পর রিপাবলিকান দলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার বাবা ডিক চেনির উপস্থিতিতে দেয়া এক বক্তৃতায় লিজ চেনি বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প ক্যাপিটল দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে তার কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দিতে এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছেন বলে যে মিথ্যা দাবি করেছিলেন তার প্রতি সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় ৬ জানুয়ারি কমিটিতে তার ক্ষমতা কাজে লাগিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ৬ জানুয়ারি থেকে বলেছি যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওভাল অফিসের আশেপাশেও আসতে পারবে না তা নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা দরকার আমি তা করব। এবং আমি এখনও এক কথাই বলছি।’
চেনির বক্তৃতার স্থান থেকে চারশো মাইল পূর্বে হেগেম্যান সমর্থকরা তার জয়োৎসব পালন করেন।
এসময় হেগেম্যান বলেন, ‘অবশ্যই আমরা সকলেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তিনি প্রমাণ করেছেন যে ওয়াইমিংয়ে শুধুমাত্র একজন কংগ্রেসের প্রতিনিধি রয়েছেন।’
ট্রাম্পের ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের প্রতিধ্বনি করে তিনিও দাবি করেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ‘কারচুপি’ হয়েছিল।
অন্যদিকে ট্রাম্প এই ফলাফলকে ৬ জানুয়ারি কমিটির ‘সম্পূর্ণ অপমান’ বলে অভিহিত করেছেন।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘তিনি যেভাবে অভিনয় করেছিলেন এবং অন্যদের প্রতি তার বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব, আক্রমণাত্মক ভাষা এবং সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য লিজ চেনির নিজের জন্য লজ্জা হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশেষে তিনি এখন রাজনৈতিক বিস্মৃতির অন্তরালে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারেন। এবং আমি নিশ্চিত সেখানে তিনি এখনকার চেয়ে অনেক বেশি সুখে থাকবেন। ধন্যবাদ ওয়াইওমিং!’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার শুরু ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে
হোয়াইট হাউজ ছাড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
২ বছর আগে
মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে হামলায় দায়ী ট্রাম্প
মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি হামালার ঘটনাটি একটি ‘অভ্যুত্থানের চেষ্টা’ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার তদন্তকারী হাউস প্যানেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর দৃঢ়তার সঙ্গে দোষ চাপিয়ে এ মন্তব্য করেছেন।
তদন্তকারী হাউস প্যানেল আরও বলেছে, ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনে পরাজিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টার সরাসরি ফলাফল ছিল হামলাটি৷
আরও পড়ুন: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের সামনে গুলি, পুলিশসহ নিহত ২
প্যানেলের চেয়ারম্যান বেনি থম্পসন বলেছেন, গণতন্ত্র বিপদের সম্মুখীন। ৬ জানুয়ারির ঘটনাটি একটি অভ্যুত্থান চেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি ও নির্লজ্জ প্রচেষ্টা ছিল।
তিনি আরও বলেন, সহিংসতাটি কোনও দুর্ঘটনা ছিল না।
মার্কিন ক্যাপিটল ভবনের সেই হামলায় কয়েকজন নিহত এবং শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ভারতে মুসলমানদের ব্যাপক বিক্ষোভ
২ বছর আগে
ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার শুরু ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে
মার্কিন আইন পরিষদ ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনায় সিনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারের শুনানি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে।
৩ বছর আগে
হোয়াইট হাউজ ছাড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবারের মতো মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারে চড়ে হোয়াইট হাউজ ছেড়ে গেছেন। পেছনে রেখে গেছেন বিশৃঙ্খলা ও গণ্ডগোলের উত্তরাধিকার এবং তিক্তভাবে বিভক্ত এক জাতি।
৩ বছর আগে