ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতির সমর্থনে কাজ করে যাব: ট্রাম্পকে ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ইস্যুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিতে তিনি এই শুল্কারোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানান। সেই অনুরোধে সাড়া দেওয়ায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চীন ছাড়া অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার কিছুক্ষণ পরই নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এক পোস্ট দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিতের অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ মি. প্রেসিডেন্ট। আপনার প্রশাসনের বাণিজ্যনীতির সমর্থনে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: চীন বাদে সব দেশের ওপর মার্কিন পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত
গতরাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘পাল্টা শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ে পাল্টা শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে এবং এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘চীন বিশ্ববাজারের প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লেখেন, ‘আশা করি নিকট ভবিষ্যতে চীন ও অন্যান্য দেশ উপলব্ধি করতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার দিন আর থাকবে না বা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
ট্রাম্প লেখেন, ‘প্রকৃত অবস্থার ভিত্তিতে ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআরসহ আমাদের বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রা কারসাজি ও অশুল্ক বাধা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে সমঝোতা আলোচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।’
৬ দিন আগে
হুতিদের ওপর মার্কিন হামলা শুরু, নিহত ৩১
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে হুতিদের উপর মার্কিন হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার ( ১৬ মার্চ) হুতি-সমর্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।—খবর ডনের।
খবরে বলা হয়, দেশটির রাজধানী সানায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শনিবার (১৫ মার্চ) থেকে হুতিদের ওপর জোরালো হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী।
লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও আরব সাগরের কৌশলগত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলার কড়া জবাবে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: খলিল মাহমুদকে আটক: ট্রাম্প টাওয়ারে ইহুদিদের বিক্ষোভ
ইরান-সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সমুদ্রপথে হামলা বন্ধ না করলে ‘ভয়াবহ প্রাণঘাতী অস্ত্র’ চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বীর যোদ্ধারা সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। সমুদ্রপথে শত্রুদের মোকাবিলায় এই হামলা চালাচ্ছে তারা।’
সমুদ্রপথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হুতিদের ওপর হামলা শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময়ে ইরানকেও সতর্ক করেন ট্রাম্প। হুতিদের কোনোভাবে সহায়তা করলে হুতিদের হামলার জন্য ইরানকে সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সানা ও সাদা প্রদেশের হুতিদের ঘাঁটিগুলোতে মুহুর্মুহু মার্কিনি হামলার খবর নিশ্চিত করেছে গোষ্ঠীটির সদস্যরা। রবিবার সকালেও অঞ্চলগুলোতে বিমান হামলা চালোনো হয়েছে জানান তারা।
এই হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি অ্যাক্টিভিস্ট আটক: যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে হুতি মিডিয়া অফিসের উপপ্রধান নাসিরউদ্দিন আমির বলেছেন, এই হামলা তাদের কোনোভাবেই নিরস্ত্র করতে পারবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রেকে তারা পাল্টা জবাব দেবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, সানা বরাবরের মতোই গাজার ঢাল হয়ে থাকবে। কোনো পরিস্থিতিতেই গাজাকে উপেক্ষা করা হবে না বলে জানান তিনি।
হুতিদের আরেক মুখপাত্র মোহাম্মদ আব্দুলসালাম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, হুতিরা সমুদ্রপথে আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে বলে ট্রাম্পের দাবি ‘মিথ্যা ও ভ্রান্ত’।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে গাজায় মানবিক সহায়তা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এর জবাবে পুনরায় জাহাজে হামলা শুরু করার ঘোষণা দেয় হুতিরা। তবে ঘোষণা দিলেও হুতিদের হামলার কোনো খবর পাওয়া না গেলেও হুতিদের ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর জবাবে পরদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল।
ওই বছরের শেষ দিক থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।
ইয়েমেনে মার্কিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম অবমাননা’ বলে অভিহিত করেছে হামাস। এছাড়াও ইয়েমেনের ‘সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার’ ওপর এই হামলাকে হুমকি বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।
৩২ দিন আগে
ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের হয়ে যেতে বললেন ইলন মাস্ক
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়া উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্ক। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় রবিবার (৯ মার্চ) এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক লেখেন, ‘এক্সিট ন্যাটো নাউ (এখনই ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাও)।’
ওই পোস্টকে সমর্থন করে মাস্ক আরেক পোস্টে বলেন, ‘ইউরোপের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সত্যিই ন্যাটো থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের পিটিশনে সই
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) ওপর শুল্কারোপ করার হুমকি দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প।
এ ছাড়াও তার পুতিন-প্রীতিও ইউরোপীয়দের শঙ্কায় ফেলেছে। শুধু তাই নয়, ন্যাটোর ছত্রছায়ায় ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে নিরাপত্তা পেয়ে থাকে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্য, ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে ইউরোপকে বাদ দিয়ে এককভাবে নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো থেকে বের হওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন ট্রাম্প ঘনিষ্ট মার্কিন ধনকুবের মাস্ক।
আগামী মাসে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)। এমন সময়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ও মাস্কের এসব পোস্ট ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে ট্রাম্প ও তার বন্ধু মাস্কের এসব বক্তব্য সত্ত্বেও এখনও যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবেই দেখছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েন।
আরও পড়ুন: ওপেনএআই কিনতে প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার প্রস্তাব মাস্কের
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৌশলে কোনো পরিবর্তন আনা হবে কিনা; জানতে চাইলে এমন সম্ভাবনা তিনি নাকচ করে দেন তিনি।
উরসুলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও বৃহৎ পরিসরে তাদের স্বার্থ মূলত এক। তিনি বলেন, ‘মতের অমিল আমাদের থাকবেই, তবে সেগুলো সমাধান করেই এগিয়ে যেতে হবে।’
ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, যে গত ২৫ থেকে ৩০ বছর যাবত ন্যাটো যে নীতিতে চলেছে, তা এখন সেই অর্থে আর প্রাসঙ্গিক নেই।’
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বাঁক বদল; ইইউ ও ন্যাটো নিয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে মার্কিন সুরে যে পরিবর্তন এসেছে, তাকে ইউরোপের জন্য একটি ‘সতর্ক বার্তা’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ইউরোপকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সজাগ হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন উরসুলা।
৩৭ দিন আগে
কানাডা-মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর, ঘোষণা ট্রাম্পের
অবশেষে প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।—খবর এপির।
তবে কানাডার তেল ও জ্বালানি পণ্য এই শুল্কের আওতায় পড়বে না বলে জানানো হয়েছে। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, গতমাসে চীনা পণ্যে আরোপিত ১০ শতাংশ শুল্ক দ্বিগুণ করার আদেশও একই সঙ্গে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের জবাবে ২১ দিনের মধ্যে ১০০ বিলিয়নেরও বেশি মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে মেক্সিকো তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায়নি।
ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কারোপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পোল্ট্রি পণ্যে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। আজ (মঙ্গলবার) দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রী জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
এদিকে, চীনের পার্লামেন্টের মুখপাত্র লু কুয়ানজিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই বাণিজ্য যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে বানিজ্যযুদ্ধ উসকে দেওয়ার পাশাপাশি মূল্যস্ফিতিও বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদরা ট্রাম্পকে এ বিষয়ে সতর্ক করলেও তা পাত্তা দেননি তিনি। শুল্ক আরোপ করেই তিনি আমেরিকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলবেন বলে তার ধারণা। তবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরাই মনে করেন এতে সমস্যা কমার বদলে আরও বাড়বে।
এর আগে গতমাসের শুরুতে দেশ দুটির ওপর কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ১ মার্চ। পরবর্তীতে ৩০ দিনের জন্য ওই আদেশ স্থগিত করা হয়।
৪৩ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষার মর্যাদা পেল ইংরেজি
ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষার মর্যাদা দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে স্বীকৃত জাতীয় ভাষা পেল যুক্তরাষ্ট্র। এতে সেখানে ভিন্ন ভাষায় যারা কথা বলেন, তারা কোণঠাসা হয়ে যেতে পারেন বলেন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১ মার্চ) তার এই আদেশের কারণে সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো—যারা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল পায়—ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় নথি সরবরাহ ও সেবা দেবে কিনা; সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। অর্থাৎ অন্য ভাষায় যদি তারা সেবা দিতে না চান, তাহলে আইনগতভাবে তাদের বাধ্য করা যাবে না।
২০০০ সালে অ-ইংরেজিভাষীদের ভাষাগত সহায়তা করতে সরকার কিংবা সংস্থাগুলোকে বাধ্য করে দিয়ে একটি ম্যান্ডেট জারি করেছিলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। নতুন এই আদেশের মাধ্যমে সেটি বাতিল হয়ে গেছে।-খবর এপি, ওয়াশিংটন পোস্ট ও বিবিসির।
ট্রাম্পের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে কেবল যোগাযোগকেই সহজ করা হয়নি, আমেরিকার জাতীয় মূল্যবোধকেও জোরদার করা হয়েছে। একটি সুসংগঠিত ও দক্ষ সমাজ গড়তে এটি সহায়ক হবে।আরও পড়ুন: ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক: শূন্যহাতে ফিরলেও প্রশংসায় ভাসছেন জেলেনস্কি
‘এই নীতি আমাদের জাতীয় ভাষা আত্মস্থ করতে ও শেখায় নতুন আমেরিকানদের উৎসাহিত করবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র একটি অভিন্ন বসতি হিসেবে গড়ে উঠবে; পাশাপাশি আমেরিকার স্বপ্নপূরণে নতুন নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করবে,’ দাবি করা হয় নির্বাহী আদেশে।
আরও বলা হয়, ‘ইংরেজিতে কথা বলার মধ্য দিয়ে তাদের জন্য কেবল অর্থনৈতিক দরজাই খুলে যাবে না, নতুন আগন্তুকরা নিজেদের কমিউনিটির সঙ্গে আরও বেশি করে যুক্ত হতে ও জাতীয় ঐতিহ্যকে গ্রহণ করতে পারবেন। আমাদের সমাজকে তারা আরও বেশি কিছু দিতে পারবেন।’
ইংরেজিকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দিতে প্রচার চালিয়ে আসছে ইউ. এস. ইংলিশ নামের একটি গোষ্ঠী। তারা বলেন, ‘এরইমধ্যে ইংরেজিকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিয়ে ৩০টিরও বেশি অঙ্গরাজ্যে আইন পাশ করা হয়েছে। আলাস্কা ও হাওয়ায় অঙ্গরাজ্যে একাধিক আদি আমেরিকান ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।’
গেল কয়েক দশক ধরেই ইংরেজিকে রাষ্ট্রভাষা করে আইন পাশের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন দেশটির রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা। কিন্তু তারা সফল হতে পারেননি। যারা তাদের বিরোধিতা করছেন, তাদের দাবি—‘বিপুলসংখ্যক মানুষ ইংরেজিতে কথা বলছেন। কাজেই এটিকে আলাদা করে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দরকার নেই।’
এছাড়া এতে অ-ইংরেজিভাষীদের ওপর বৈষম্য চাপিয়ে দেওয়া হবে বলে মনে করেন তারা।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যারা ইংরেজিভাষী না, তাদের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘খুবই উদ্ভট বিষয় হচ্ছে, তাদের ভাষা আছে, কিন্তু এ দেশের কেউ তা শোনেননি। এটি খুবই ভয়ঙ্কর বিষয়।’
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের স্পেনিশ ভাষার সংস্করণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ধরনের পরিবর্তনে হিস্পানিকরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
তখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘তারা ওয়েবসাইটের স্পেনিশ ভাষার সংস্কারণ ফিরিয়ে আনবেন।’ যদিও এখন পর্যন্ত সেটা করা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউসের কোনো সাড়া মেলেনি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদেও হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের স্পেনিশ ভাষার সংস্করণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেটি পুনর্বহাল করা হয়েছিল।
মার্কিন সেন্সাস ব্যুরোর তথ্যানুসারে, দেশটির ৩৪ কোটি বাসিন্দার মধ্যে ছয় কোটি ৮০ লাখ ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন। ১৬০টির বেশি আদি আমেরিকান ভাষা আছে।
ইংরেজির পরেই স্পেনিশ, বিভিন্ন চীনা ভাষা ও আরবি ভাষীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশের সরকারি ভাষা আছে। কোনো কোনো দেশে একাধিক ভাষাকেও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে কোনো সরকারি ভাষা নেই।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড ইলেক্টরাল অ্যাসিস্ট্যান্স জানিয়েছে, সরকারি দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় যে ভাষা ব্যবহার করা হয়, সেটিই সরকারি ভাষা। কোনো একটি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে নথিভুক্ত করার মধ্য দিয়ে একটি রাষ্ট্রের চরিত্র ও নাগরিকদের সাংস্কৃতিক পরিচয় নির্ধারিত হয়ে যায়।
এতে বিশেষ একটি গোষ্ঠী ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে যেতে পারে এবং যাদের ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয় না, তারা কোণঠাসা হয়ে যেতে পারেন বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
৪৫ দিন আগে
ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক: শূন্যহাতে ফিরলেও প্রশংসায় ভাসছেন জেলেনস্কি
ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর খালি হাতে হোয়াইট হাউস ছাড়লেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তা সত্ত্বেও নিজ দেশের জনগণের কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন তিনি। দেশের স্বার্থে নতজানু না-হওয়ার কারণে প্রশংসায় ভেসেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের প্রক্রিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ওভাল অফিসে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। এ সময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট।
শুধু ট্রাম্পই নন; যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তর্কে জড়ান। জেলেনস্কি ওভাল অফিসের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভ্যান্স।
এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে চুক্তি না-হলেও ইউক্রেনের জনসাধারণের মন জয় করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেও, দেশের স্বার্থে আপস না করায় প্রশংসায় ভেসেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: খনিজ চুক্তি সই না করেই হোয়াইট হাউস ছাড়লেন জেলেনস্কি
জেলেনস্কিকে ‘সিংহের’ সাথে তুলনা করে ইউক্রেনীয় নারী নাতালিয়া সেরহিয়েনকো (৬৭) বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সিংহের মতো লড়াই করেছেন। তাদের মধ্যে উতপ্ত বাক্যবিনিময় হলেও ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষা করেছেন তিনি।’
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের প্রধান ওলেহ সিনিহুবভ জেলেনস্কির প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমাদের নেতা চাপের মুখেও ইউক্রেন ও ইউক্রেনীয়দের স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ়তা বজায় রেখেছেন। ... নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ আমরা শান্তি চাই।’
ওভাল অফিসের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যা হয়েছে; সেটিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পুরোপরি অসম্মান হিসেবেই দেখছেন কিয়েভের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী আর্তেম ভাসিলিভ। তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি, কিন্তু আমাদের যোদ্ধা, সৈনিক ও দেশবাসীর প্রতি পাচ্ছি পুরোপুরি অবজ্ঞা।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেনের জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ ও কষ্ট বুঝতে পারছেন না বলে তার সমালোচনা করেন ভাসিলিভ। ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এটা (ইউক্রেনীয়দের কষ্ট) তিনি বুঝতে অক্ষম, তিনি কেবল একজন ব্যবসায়ী। তার কাছে টাকাই সবচেয়ে মূল্যবান।’
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খারসন শহরের প্রধান আলেকজান্ডার প্রোকুদিন বলেছেন, ‘এই ঘটনা প্রেসিডেন্ট ও আমাদের সবাইকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই এই সংকট কাটিয়ে উঠব।’
৪৭ দিন আগে
অভিবাসন নীতিতে কঠোর ট্রাম্প, তবে ধনী হলে অন্য কথা
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ধনকুবের বিদেশি ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে সেই তিনিই এবার নতুন পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘গোল্ড কার্ড’ নামে এক নতুন অভিভাসন নীতির কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তবে এই সুবিধা নিতে গুণতে হবে বিরাট অঙ্কের অর্থ, ৫০ লাখ ডলার (প্রায় ৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা)।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিস থেকে এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আমরা গোল্ড কার্ড বিক্রি করতে যাচ্ছি, যার প্রত্যেকটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ ডলার।’
‘এই গোল্ড কার্ড গ্রিন কার্ডের সুবিধা দেবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ারও পথও সুগম করবে। ধনী ব্যক্তিরা এই কার্ড কিনে যক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
দুই সপ্তাহের মধ্যে এই কার্ড বিক্রি শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, লাখ লাখ কার্ড বিক্রির আশা করছেন তারা।
ট্রাম্পের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এ সময় ইবি-৫ (গ্রিন কার্ড) প্রোগ্রামের সমালোচনা করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান ইবি-৫ ভিসা কর্মসূচির জায়গায় নতুন এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আবেদনকারীদের ভেটিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তারা বিশ্বস্ত কিনা তা যাচাই করা হবে।’
রুশ ধনকুবেররাও এ গোল্ড কার্ড পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন কি না—জানতে চাইলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, তা তো হতেই পারে! বেশ কয়েকজন রুশ ধনকুবেরকে আমি চিনি, তারা তো বেশ ভালো মানুষ।’
১৯৯২ সালে প্রথম ইবি-৫ কর্মসূচি চালু করে মার্কিন কংগ্রেস। এতে ন্যূনতম ১০ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোতে (টিইএ) কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে ৮ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের গ্রিন কার্ড পাওয়ার সুযোগ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেতেন বিদেশিরা।
ট্রাম্প ও তার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও এই কর্মসূচির সুবিধা নিয়ে বড় বড় কিছু প্রকল্পে অর্থায়ন করেছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসে এই কর্মসূচিটি নিয়ে সমালোচনা ওঠে। যে লক্ষ্যে ইবি-৫ চালু করা হয়েছিল, সেখান থেকে এটি সরে যাচ্ছে বলে সে সময় অভিযোগ করা হয়। সমালোচকরা কর্মসূচিটির সংস্কার দাবি করেন।
আরও পড়ুন: চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শি জিন পিংয়ের
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে টিইএতে ন্যূনতম বিনিয়োগ ৯ লাখ ডলার এবং অন্যান্য এলাকায় ১৮ লাখ ডলারে উন্নীত করার চেষ্টা করলেও ২০২১ সালে এক ফেডারেল জজ এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন।
এরপর ২০২২ সালে প্রোগ্রামটি আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় বাইডেন প্রশাসন। বর্তমান বিনিয়োগ শর্তাবলী বাইডেনের আমলেই কার্যকর করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেই অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের আইন বাতিল করেন, সীমান্তে জারি করেন জরুরি অবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।
এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ সময়ে অভিবাসীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণেরও অভিযোগ উঠেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই ‘গোল্ড কার্ড স্কিম’ যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রাম্প এটিকে সরকারের জন্য বিপুল রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি ধনী ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন।
তবে কংগ্রেসে এই পরিকল্পনা বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত অভিবাসন ব্যবস্থার ওপর এর প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
৪৯ দিন আগে
মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিলের পিটিশনে সই
মার্কিন ধনকুবের ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের কানাডীয় নাগরিকত্ব বাতিল করতে একটি পিটিশনে সই করেছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার হুমকি দিয়ে আসছেন। এতে দেশটির স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়েছে। একারণে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত মাস্কের জন্মসূত্রে পাওয়া কানাডার নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে এই পিটিশনে সই করেছেন দেশটির নাগরিকরা।
দ্য কানাডিয়ান প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেখক কোয়ালিয়া রিড এই পিটিশনটি কানাডার হাউস অব কমন্সে উত্থাপন করেন। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি ও মাস্কের সমালোচক চার্লি অ্যাঙ্গাসের অর্থায়নে এই পিটিশনটি হয়েছে।’
ট্রাম্পঘনিষ্ঠ মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি টেসলা, স্পেসএক্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর প্রধান। মায়ের সূত্রে কানাডার নাগরিক মাস্ক। কানাডার সাসকাচোওয়ান প্রদেশের রাজধানী রেজিনা তার মায়ের জন্মস্থান।
আরও পড়ুন: কানাডাকে ‘সত্যিকার অর্থে’ ৫১তম অঙ্গরাজ্য করতে চাচ্ছেন ট্রাম্প: ট্রুডো
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মাস্ককে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা রিডের পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ক ‘ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে কানাডার জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত’ হয়েছেন।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করেই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কানাডার পণ্যে উচ্চ শুল্কারোপ করেন। এছাড়াও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করার হুমকি দেন। এতে কানাডার জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
পিটিশনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া মানে মাস্ক এমন এক ‘বিদেশি সরকারের সদস্য, যারা কানাডার সার্বভৌমত্ব মুছে ফেলতে চায়।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে মাস্কের নাগরিকত্ব অবিলম্বে বাতিল করার এবং তার কানাডীয় পাসপোর্ট প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে পিটিশনে। ট্রাম্প আগেও ট্রুডোকে ব্যঙ্গ করে ‘গভর্নর’ বলেছেন। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রধান নির্বাহীদের গর্ভনর বলা হয়।
গেল জানুয়ারিতে কানাডার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন ট্রুডো, এই ঘোষণার পর মাস্ক এক্সে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানিয়েছে, সাধারণত এ ধরনের পিটিশনটি স্বীকৃতি পেতে কমপক্ষে ৫০০ স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। তাহলে সেটি হাউস অব কমন্সে উপস্থাপন করা যায় এবং সরকারিভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
রিডের পিটিশন সহজেই এই শর্ত পূরণ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জানা যায়, রোববার রাত পর্যন্ত পিটিশনে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার স্বাক্ষর পড়েছে এবং ক্রমেই স্বাক্ষরের সংখ্যা বাড়ছে। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে।
কানাডার হাইস অব কমন্সের কার্যক্রম আগামী ২৪ মার্চ পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে পার্লামেন্টের সদস্যদের ফিরে আসার আগেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৫১ দিন আগে
বাংলাদেশে এমন একটি ফার্ম ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, যেখানে মাত্র দুজন কর্মী: ট্রাম্প
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত করতে একটি ফার্মকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে, যেখানে মাত্র দুজন কর্মী কাজ করেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে গভর্নরদের এক বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা বার্ষিক শীতকালীন সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটন ডিসিতে সমবেত হয়েছিলেন।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) সুপারিশে ইউএসএআইডির বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এমন একটি প্রতিষ্ঠানে গেছে সেই অর্থ গেছে, যেটির নাম কেউ কখনো শোনেনি আর সেখানে কাজ করেন মাত্র দুজন কর্মী।’
‘আপনি কী ভাবতে পারেন, আপনার একটি ছোট্ট ফার্ম আছে, আপনি এখানে ১০ হাজার ডলার পান, সেখানে ১০ হাজার ডলার পান, তারপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেলেন। সেই ফার্মে মাত্র দুজন কাজ করেন, মাত্র দুজন, আমি মনে করি, তারা খুবই সুখী, তারা খুবই ধনী,’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।আরও পড়ুন: শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
বিদ্রূপ করে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তাদের খুব শিগগিরই কোনো বিখ্যাত বিজনেস ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে দেখা যাবে—মহাপ্রতারক (গ্রেট স্ক্যামারস) হিসেবে!’
প্রেসিডেন্ট হিসেনে দায়িত্ব নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমানো এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ইলন মাস্কের নেতৃত্বে নতুন দপ্তর ‘ডিওজিই’ চালু করেন ট্রাম্প। এই দপ্তরের সুপারিশে বাংলাদেশ ও ভারতের এ দুই প্রকল্পসহ মোট ১৭টি আন্তর্জাতিক সাহায্য কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
ভারতের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘২১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতকে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য। আমাদের কি হবে! আমিও তো চাই ভোটার উপস্থিতি বাড়ুক।’
ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে নেপাল দুটি প্রকল্পের জন্য ৩৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এর মধ্যে জীববৈচিত্র্যের জন্য নেপাল পেয়েছে ১৯ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া সার্বিয়া, মলদোভাসহ আরও কয়েকটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থ পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
৫৩ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই কী ইউক্রেন জয়ের পথে রাশিয়া?
হয়ত এই মুহূর্তটির জন্যই অপেক্ষা করছিল রাশিয়া! ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি।’ যার সূত্র ধরে দুই প্রেসিডেন্টের দীর্ঘ ফোনালাপ এবং অবশেষে সৌদি আরবের রিয়াদে উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
২০২২ সালে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় হাজারখানেক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও টলানো যায়নি যে পুতিনকে, সেই তিনি কেন হঠাৎ সমাধান চাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে?
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর মিলবে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার চিত্র থেকে।
ইউক্রেন আক্রমণের পর এই প্রথম রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা। যে ইউক্রেনকে ঘিরে এতকিছু তাকেই রাখা হয়েছে আলোচনার টেবিলের বাইরে। আর যেখানে ইউরোপের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা সেই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন: রুশ-মার্কিন বৈঠক: যুদ্ধ বন্ধ ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্ব
যুদ্ধ চলছে ইউরোপে, বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত কিয়েভ- কিন্তু আলোচনার টেবিলে মুখ্য বিষয় ছিল রাশিয়াকে সর্বোচ্চ লাভ নিশ্চিত করে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং চলমান সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে রুশ-আমেরিকান বাণিজ্যকে আবারও বিস্তৃত করা।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ (এপি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের নেতৃত্বে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপের পর যত দ্রুত সম্ভব এবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মুখোমুখি বৈঠকের ব্যবস্থার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে দুই পক্ষ থেকেই।
চার ঘণ্টার আলোচনা শেষে মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, শুধু রাজনৈতিক না, রাশিয়ার সঙ্গে সমাধান করা হবে সব ধরনের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন। অন্যদিকে সেরগেই লাভরভ বেশ খোশ মেজাজে বলেছেন, এতদিন পর রাশিয়ার দিকটাও বুঝতে পারছে যুক্তরাষ্ট্র।
দুপক্ষের বার্তা থেকে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিজয়ের প্রথম স্বীকৃতি হয়ত যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই আসতে চলেছে।’
বাইডেন আমলে রাশিয়ার ওপর যুদ্ধাপরাধের দায় চাপানো, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি; সব ছাপিয়ে ট্রাম্প চাচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে নিরঙ্কুশ সুসম্পর্ক। এতদিন মার্কিনিরা ইউক্রেনকে দেদারসে অস্ত্র দিয়ে আসলেও এবার অন্য নীতি নিবে যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞার কারণে বড় বড় আমেরিকান কোম্পানি রাশিয়া ছাড়ায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেট খাতে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে মরিয়া ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বন্ধে ‘কার্যকর আলোচনায়’ থাকবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয়রা
এদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উদ্ভ্রান্ত দশা। রিয়াদের আলোচনায় রুশদের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে না পারায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। তিনি জানান, নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে ইউক্রেনের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে কাজ করবে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার প্রথমটিই হচ্ছে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্ক উন্নয়ন। মার্কো রুবিও জানান, মস্কোর ওপর সব ধরনের অযাচিত চাপ প্রত্যাহার করা হবে। বিনিময়ে ওয়াশিংটনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে পুতিন সরকার।
রুবিও বলেন, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন-ইউরোপের সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে রাশিয়া এগিয়ে না এলে কোনোদিনও এ যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব না। তাই রাশিয়ার দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়াকেই যথোপযুক্ত মনে করছে ট্রাম্প সরকার।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে যা কিছু করা দরকার; সবকিছুই করা হবে বলে জানান এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্যবসায়িক সুসম্পর্কের ব্যাপারে বৈঠক শেষে রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিরিল দিমিত্রিভ বলেন, ‘কোনো কাটখোট্টা আলোচনা হয়নি। দুপক্ষই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সময় ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের পুনঃনির্মাণের।'
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জেলেনস্কির পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে বেশ মজার ছলে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কি ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন- এত এত সংগ্রামের পর শেষমেশ আমেরিকার বলির পাঁঠা হতে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষত এতদিনের বড় ভরসা যুক্তরাষ্ট্রই এবার পিঠ দেখাচ্ছে ইউক্রেনকে।
এর বাইরে ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার খায়েসে ইউরোপের বাগড়া দেওয়া এবং ন্যাটো নিয়ে ঝামেলার ঝাল পুরোটাই তুলল যুক্তরাষ্ট্র। সৌদিকে কেন্দ্রে রেখে ইউরোপকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ায় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এক রকমের হতবাকই হয়েছে।
৫৬ দিন আগে