ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি বলেছেন, ‘ভারত সাহায্য না করলেও বাংলাদেশ হয়ত স্বাধীন হতো।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে দু’দেশ একযোগে স্বাধীনতা যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। ভারত সহযোগিতা না করলেও হয়তো বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতা অর্জন করত। তবে সেক্ষেত্রে হয়তো আরও সময় লাগত এবং ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যাটাও হয়তো বেড়ে যেতে।’
বৃহস্পতিবার পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত আইসিইউ সম্বলিত লাইভ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও প্রতীকী চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘শুধু বাংলাদেশের নয় বঙ্গবন্ধু ভারতেরও নায়ক’
ভারতের সহকারী হাই কমিশনার বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুত্বের নির্দশন স্বরুপ দু’দেশ এক যোগে কাজ করছে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃত দেয়। ১৯৭১ সালে দু’দেশ একযোগে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। বাংলাদেশ গরীব দেশ নয়। জনসংখ্যা বেশি। এই জনসংখ্যা হচ্ছে সম্পদ। ভারতের জনসংখ্যা অনেক। এই জনসংখ্যা ও সম্পদকে কাজে লাগাতে দুই দেশ এক যোগে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘রেলমন্ত্রী পঞ্চগড়-থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণে ঘোষণা দিয়েছে। ভবিষ্যতে পঞ্চগড় থেকে কলকাতা রেল সংযোগ চালু হবে বলে আশা করেন তিনি।’
সঞ্জীব কুমার ভাটি বলেন, ‘আমরা পাশাপাশি দুটি দেশ করোনা ঝুঁকিতে আছি। টিকার কোন সমস্যা হবে না। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে দু’দেশ একযোগে স্বাধীনতা যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। ভারত সহযোগিতা না করলেও হয়তো বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতা অর্জন করত। তবে সেক্ষেত্রে হয়তো আরও সময় লাগত এবং ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যাটাও হয়তো বেড়ে যেতে।’
মেয়র জাকিয়া খাতুন সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার হোসেন, পঞ্চগড় চেম্বারের সহসভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া ইসলাম, কাউন্সিলর লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এসময় পঞ্চগড় পৌরসভার কাউন্সিলর, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট নাগরিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।