প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না, বরং চায় সরকারকে উৎখাত করে কেউ ক্ষমতায় আসুক, সেই দলটিকে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচন চায় না। তারা বরং সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসতে চায়, যা তাদেরকে সেই নাগরদোলা বা পালকিতে করে নিয়ে এসে অফিসে বসাবে। এটাই তাদের আশা।’
রবিবার বন্দর নগরীর পলো গ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
১৬০ ফুটের নৌকার মঞ্চ থেকে দেয়া ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির দুটি গুণ আছে- একটি হলো ভোট কারচুপি, আরেকটি হলো মানুষ হত্যা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে গড়তে কমিশনপ্রাপ্তদের '২০৪১ সালের সৈনিক' হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তারা জানে নির্বাচন হলে জনগণ খুনিদের ভোট দেবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) জনগণের কথা চিন্তা করে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আমরা জনগণের জন্য কাজ করব।’
২০১৩-২০১৫ মেয়াদে বিএনপির করা অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিন খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে। কেন তারা অগ্নিসংযোগের মতো সহিংসতা করে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ একদিন এর হিসাব নেবে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সবচেয়ে প্রিয় তারিখ:
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্পষ্টতই ১০ ডিসেম্বরকে তাদের চূড়ান্ত বিভাগীয় সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেয়ার জন্য বিএনপির সমালোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা শুরু করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির জন্য সবচেয়ে প্রিয় তারিখ। যেহেতু তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিল, তাই তারা হয়তো এই ১০ ডিসেম্বরই ঢাকা শহর দখল করে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৩৫টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তারা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় না। তারা মনে করেছে, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে জাতির পিতাকে হত্যা এবং সংবিধান ও সেনা বিধি লঙ্ঘন করে যেভাবে ক্ষমতায় গিয়েছিল, তারাও সেভাবে ক্ষমতায় যাবে। তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পছন্দ করে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার সুবাদে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোট ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং ছয়টি প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।
৩৫টি প্রকল্পের মোট ব্যয় তিন হাজার ৩৯৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
এর মধ্যে ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৮৯৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অন্য ছয়টি প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় প্রায় এক হাজার ৫০১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের গণসমাবেশ: পোলো গ্রাউন্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী