তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে গত ১১ বছরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখসহ মোট ২০ লাখ কর্মসংস্থান আইটি সেক্টরে নিশ্চিত করা হবে।’
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজস বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘ইয়ুথক্যান’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে। দেশের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে তারাই ভবিষ্যৎ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শক্তিশালী হাতিয়ার।’
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য তরুণদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘শিশু, কিশোর ও তরুণরা যেন প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য তৈরি হতে পারে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের পরিকল্পনায় আইসিটি বিভাগ সারাদেশে স্কুলপর্যায়ে আট হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’
সারাদেশে আরও পাঁচ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে ৩০০টি স্কুলে ‘স্কুল অব ফিউচার’ স্থাপন এবং সারাদেশের ৬৪টি জেলায় ২০২৫ সালের মধ্যে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে, বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসওএস ভিলেজের সদস্যদের প্রযুক্তি জ্ঞান আহরনের লক্ষ্যে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ‘স্কুল অব ফিউচার’ ও ইনকিউবেশন সেন্টারের কাছাকাছি ৭টি এসওএস ভিলেজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দেয়া হবে।
সাড়ে ৬ লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে। আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে এসওএস ভিলেজের সদস্যদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এসওএস এর ন্যাশনাল ডাইরেক্টর ড. মো. এনামুল হক, এসওএস গ্লোবাল প্রাইভেট ম্যানেজার মি. ইউ এগার, এসওএসের ইন্টারন্যাশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ রাজনিস জেন, এইচএসবি বাংলাদেশের সিইও মাহুবুব রহমান, গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান প্রমুখ।