চুয়াডাঙ্গার প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে পান। পান চাষে এই জেলার অসংখ্য চাষি স্বাবলম্বীও হয়েছেন। এ জেলার পান দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হতো। কিন্তু বর্তমানে করোনাসহ নানা কারণে এখন রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া অসময়ে বৃষ্টি, ছত্রাকজনিত নানা রোগ, কুয়াশা ও তীব্র শীতে পান পেকে যাওয়া, সার, কীটনাশক, মজুরিসহ উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে পান চাষিদের। তবে জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের পানের ন্যায্যমূল্যে নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে, অধিক খরচ আর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় দিনে দিনে পান চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার পান চাষিরা। প্রতি বছর লোকসান গুনতে গুনতে অনেকেই পানের বরজ ভেঙে অন্য ফসল চাষে ঝুঁকছেন। এরই মধ্যে নতুন করে পানের বাজারে বড় দরপতনে আবারও পান চাষ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ জেলায় প্রচুর পান হয়ে থাকে। তুলানামূলক উঁচু জমিতে পান আবাদ ভালো হওয়ায় যুগযুগ ধরে পানের আবাদ করে আসছে এখানকার চাষিরা। পানকে জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল বলা হলেও বর্তমানে তা কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। এখনকার বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। এক সময়ে এ পানের আবাদকে কেন্দ্র করেই জেলায় ঘুরেছে অর্থনীতির চাকা। ধীরে ধীরে সে চাকার গতিও কমে আসছে। পানের চাষ পরিবর্তন করে অনেকেই শুরু করেছেন ভুট্টা, ধানসহ নানা ধরনের ফসলের আবাদ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় খাল পুনঃখননে কৃষকের মুখে হাসি
তবে স্থানীয়রা পান চাষিদের অভিযোগ,‘যে দামে পান বিক্রি করতে হচ্ছে তা দিয়ে উৎপাদন খরচ উঠছে না। কষ্ট করে পানের আবাদ করি আমরা (চাষিরা) আর মুনাফা যায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের পকেটে।’