গত ৪ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধন বিল অনুমোদন দেয় দেশটির মন্ত্রিসভা। দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মের অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিক হওয়ার অনুমোদন দেবে বিলটি। তবে মুসলিমরা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করা হয়। বিলটি পাসে বিজেপি বহির্ভূত বেশ কিছু দলও সমর্থন জানিয়েছে বর্তমান সরকারকে। লোকসভায় ভোটাভুটি চলাকালীন সংযুক্ত জনতা দল, বিজু জনতা দল, শিবসেনা, এআইডিএমকে, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি প্রভৃতি দল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। বিলটি রাজ্যসভায় পাস হলে কার্যকর হবে।
সারা দিন ধরে বহু তর্কবিতর্ক চলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রত্যেক সদস্যের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় দাবি করেন, লক্ষাধিক শরণার্থীদের দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দেয়ার একমাত্র রাস্তা হলো এই বিল। এই বিলের মাধ্যমেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ অনেক সহজ হয়ে উঠবে।
তার মতে, এই বিল কোনোভাবেই অসাংবিধানিক নয় এবং ১৪ নং ধারার কোনো অবমাননা করা হয়নি।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তাদের আগের মেয়াদে লোকসভায় এই বিলটি পাস করেছিল। তবে আন্দোলনের কারণে রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়নি। বিগত লোকসভা ভেঙে দেয়ার পরে বিলটি বাতিল হয়ে যায়।