গাজা সংকট নিরসনে সম্পর্কিত বিষয়গুলো যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে ফাতাহর সঙ্গে আলোচনা করেছে হামাস।
জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা ওসামা হামদান সোমবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের বিভিন্ন উপদলের মধ্যে বৈঠকের পর আমরা ফাতাহতে আমাদের ভাইদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেছেন, উভয় পক্ষের নেতারা গাজার যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার দিকে মনোনিবেশ করে মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
হামদান জোর দিয়ে বলেন, ‘গাজা, পশ্চিম তীর বা দেশের বাইরে- যেখানেই হোক না কেন, ফিলিস্তিনি বিষয়গুলোর ব্যবস্থাপনা কেবল জাতীয় চুক্তির মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৌদি আরবে বৈঠক
তিনি আরও বলেন, ‘ফাতাহর সঙ্গে বৈঠকে গাজার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনের মতো ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যতদিন না পরিস্থিতি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের অনুমতি দেয়, ততদিন এভাবেই কমিটির মাধ্যমে বিষয়গুলো পরিচালিত হবে।’
এই পদক্ষেপকে তিনি ‘ইতিবাচক’ ও ‘খোলামেলা’ বলে বর্ণনা করেন। গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য হামাস ও ফাতাহর মধ্যে বৈঠকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ঘটনা এই প্রথম।
শনিবার মিশরের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম জানায়, ফাতাহ ও হামাসের প্রতিনিধিরা কায়রোতে আলোচনা করছেন।
এ ছাড়াও গাজায় ‘আগ্রাসন’ বন্ধ, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন, তাদের জন্য সহায়তা, সীমান্তে অবরোধ প্রত্যাহার, পুনর্গঠন ও একটি সত্যিকারের বন্দি বিনিময় চুক্তি নিশ্চিত করে- এমন যেকোনো প্রস্তাবের প্রতি তাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন হামদান।
আরও পড়ুন: গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সমঝোতায় পৌঁছাতে প্রস্তুত হামাস
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফলাফল যাই হোক না কেন, এটি আমাদের এই আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। মার্কিন প্রশাসন সব সময়ই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের অংশীদার ও সমর্থক।’