জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখেরও বেশি মানুষ।
এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৮৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯০ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬০ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত পৌনে ১৫ কোটি ছাড়াল
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ২২ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন।
মেক্সিকো মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৭ জন।
দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭৮ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যু ১১ হাজার ২২৮ জনে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৯ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে সোমবার অধিদপ্তর জানায়, এক দিনে মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯৭ জন মারা গেছেন এবং ৩ হাজার ৩০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ২৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ১২.৫১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২৩৪ জন। মোট সুস্থ ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৯২৭ জন। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৯ শতাংশ।