রবিবার রাত বৈরুত ও এর দক্ষিণ শহরতলিতে ইসরায়েলের একাধিক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। এসব হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬৬ জন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হারেত হরেক, বুর্জ বারাজনেহ ও হাজতসহ বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির এলাকা লক্ষ্য করে তাদের যুদ্ধবিমানগুলো হিজবুল্লাহ কমান্ড সেন্টারগুলোতে হামলা চালায়।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাদিদ জানায়, আধ ঘণ্টার মধ্যে ১২টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ফুটেজে রবিবারের আক্রমণের পর বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখা যায়।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই আদরির সতর্কবার্তা অনুযায়ী ওই এলাকায় বাসিন্দাদের কিছু ভবন সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে আহ্বান জানানো হয়েছিল।
এসব আক্রমণ শনিবার বৈরুতের বাস্তা ফওকা এলাকায় একটি আট তলা আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়। এরপরই ওই চালানো হয়।
ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, আক্রমণের লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে লেবাননের সংসদ সদস্য এবং হিজবুল্লাহর সদস্য আমিন শেরি দাবি করেন, ভবনটিতে কোনো সামরিক বা বেসামরিক ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল না।
বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায়, হিজবুল্লাহ রবিবার দক্ষিণ লেবাননে পাঁচটি ইসরায়েলি মেরকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংসের দাবি করে। তারা গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে সেসব নষ্ট করেছে।
আরও পড়ুন: বৈরুতের কেন্দস্থলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০
সংগঠনটি আরও দাবি করে, তারা উত্তরের ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি স্থানে আক্রমণ চালায়। এর মধ্যে ছিল কেরেম বেন জিমরা এবং কফার ব্লুম।
সেপ্টেম্বর ২৩ থেকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননে তাদের বিমান হামলা আরও বাড়িয়ে দেয়। অক্টোবরের শুরুতে, ইসরাইল লেবাননের উত্তর সীমান্তে একটি গ্রাউন্ড অপারেশনও শুরু করে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে যে, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩,৭৫৪ জন নিহত এবং ১৫,৬২৬ জন আহত হয়েছে।