দেশটিতে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার ব্যাপক হারে বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সময়ে জাতি ভাইরাসটি আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করার কারণ রয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক-রোগ গবেষক উইলিয়াম হানাজ বলেন, ‘যখন উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং জ্ঞানের বিষয়টি আসে তখন বলতে হয় আমরা অবশ্যই আরও ভালো অবস্থানে আছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের শুরু থেকে প্রতিদিনই নতুন সংক্রমণের সংখ্যা এক লাখের বেশি।
কোভিড ট্র্যাকিং প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত ৬১ হাজার ৯৬৪ এর বেশি মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মঙ্গলবার রেকর্ড রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ইলিনয়ে ১২ হাজার ৬০০ এর বেশি, টেক্সাসে ১০ হাজার ৮০০ এবং উইসকনসিনে ৭ হাজারের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. উইলিয়াম শ্যাফনার বলেন, ‘ভাইরাসটি দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।’
গভর্নররা ভাইরাস মোকাবিলায় জনগণকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২০০ এর নীচে। তবে কিছু গবেষকের অনুমান-আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশটির সামগ্রিক মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। দেশটিতে এখন মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার।
এদিকে, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জনে।
এছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১২ লাখ ৭০ হাজার ১৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- এদিন সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৯ ব্যক্তি।