মঙ্গলবার তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, শ্রমিকদের মধ্যে ৪৮ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে, পাঁচজনের এখনও পরীক্ষা করা হয়নি, একজন শ্রমিক পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং অপর একজন এরই মধ্যে সেরে উঠেছেন।
৫৫ শ্রমিকের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী রয়েছেন।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীরা প্রতিবেশীদের কারণে সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশের সমৃদ্ধ এ খাত থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে। আরএমজি খাতে প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ নিযুক্ত যাদের বেশিরভাগই হলেন নারী।
বিজিএমইএ সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ স্থগিত বা আদেশ বাতিল হয়েছে। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এ খাতে নিয়োজিত প্রায় ২৩ লাখ শ্রমিক।
মার্চ মাসের শেষের দিকে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কয়েকদিন পর থেকেই পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
এসব কারখানা পুনরায় চালু করার সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত ‘অপরিপক্ব’ এবং এর ফলে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব আরও ত্বারান্বিত হতে পারে।