শনিবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
সিদ্দিকুর রহমান শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি জানান, শ্রমিকরা শনিবার টানা পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করায় আশুলিয়া ও গাজীপুরের কিছু কারখানা বন্ধ রয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতির মতে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৈরি পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার জন্য একটি মহল মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে।
নতুন মজুরি বোর্ড নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকলে কর্মবিরতি পালন না করে শ্রমিকদের কারখানা কর্তৃপক্ষ বা বিজিএমইএ’র সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিকদের মজুরি ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত টানা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩৮১ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০১৩ থেকে প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘নতুন মজুরি বোর্ডে বৈষম্য হওয়ার গুজব রয়েছে। বলা হচ্ছে প্রতিটি গ্রেডে ইনক্রিমেন্ট হয়নি। বাস্তবতা হলো প্রত্যেক শ্রমিক তাদের পদ ও গ্রেড অনুযায়ী ইনক্রিমেন্ট পাবেন। একজন শ্রমিকের নূন্যতম ভাতা ১১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮৫০ টাকা করা হয়েছে। যেসব শ্রমিকের মূল বেতন গেজেটে যা আছে তার চেয়ে বেশি, তাদের বাড়িভাড়া ভাতাও ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে,’ যোগ করেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি আরও জানান, ঘোষিত নূন্যতম মজুরি ডিসেম্বর মাসের বেতন থেকে দেয়া হবে যা পাওয়া যাবে ৭-১০ জানুয়ারি। সরকার প্রস্তাবিত বেতন পাওয়ার আগে প্রতিবাদ দেখানোর কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।