তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার (সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে) অবশ্যই সুযোগ আছে ..... এর চেয়ে পরিষ্কার করে আর কি বলবো।’
আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল রাজধানীর মতিঝিলে নিজ চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সভা থেকে মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ‘আমাদের লিখিত বক্তব্যে, আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি মানবিক কারণে খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য।’
এর আগে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সভায় খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ‘আমরা সকলেই জানি একটি উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াকে ৬৬৪ দিন ধরে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে।’
বিএনপির চেয়ারপার্সনকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আমরা তার মুক্তি দাবি করছি। ‘এটাই আমাদের সভার মূল দাবি। এ দাবি মানবিক এবং তিনি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন।’
খালেদা জিয়াকে জামিন না দেয়া হলে এবং কোনো ধরনের অন্যায়ের শিকার হলে তার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর বর্তাবে বলে ঐক্যফ্রন্টের সভা থেকে এ হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে।
গত ২৮ নভেম্বর, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আগামী ৫ ডিসেম্বরের আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সচিবালয়ে দেখা করলে তিনি খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইজি প্রিজনকে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার কথাও জানিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আমাদের করা আবেদনে আইজি প্রিজন কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। ‘তার মানে তারা আমাদেরকে খালেদার জিয়ার সাথে সাক্ষাতের কোনো সুযোগ দিতে চাচ্ছেন না।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোনো কর্মসূচি নেয়া হবে কিনা তা ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা তাদের সিদ্ধান্ত নেবেন।