ড. কামাল হোসেন
ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
শনিবার মতিঝিলের ড. কামালের কার্যালয়ে কমিশনের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ড. কামালের অভিনন্দন
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ, মো. মুসতাইন বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
ড. কামাল হোসেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানসহ উপস্হিত সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়ায় আস্হা প্রকাশ করেন। তিনি সংবিধানকে সমসাময়িক করার কথা উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামো গঠনের পরামর্শ ড. কামালের
২ ঘণ্টা আগে
গণফোরামের সভাপতির পদ ও সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ড. কামাল
বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের প্রায় ৩০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা গণফোরামের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কারণ তিনি আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবেন না।
তবে ড. কামাল এখন থেকে দলের ইমেরিটাস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের বিশেষ জাতীয় সম্মেলনে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম আলতাফ হোসেন এ ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির পদ ছেড়ে দিচ্ছি। গণফোরামের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি
পরে গণফোরাম নেতা নুরুজ্জামান ড. কামালের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় গণফোরাম সভাপতির দায়িত্ব সক্রিয়ভাবে পালন করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় আমি সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও গণফোরামের সভাপতির পদ ত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি।’
ড. কামাল আরও বলেন, তিনি তার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে যতটা সম্ভব দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখার চেষ্টা করবেন।
তিনি গণফোরামকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
বিশেষ কাউন্সিলে মফিজুল ইসলাম খানকে গণফোরামের নতুন সভাপতি ও মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যমত্যে বিএনপি-গণফোরাম
এছাড়া দলীয় সনদ সংশোধন করে গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি পদ সৃষ্টি করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ড. কামাল আওয়ামী লীগকে ত্যাগ করে ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দলের সভাপতির পদে ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর গণফোরামে বিভক্তি দেখা দেয়। এর নেতাদের একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
১ বছর আগে
ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের কর ফাঁকির বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ
ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের কর ফাঁকির বিষয়ে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে আদালত কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করতে এবং আপিলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন।
এছাড়া এ বিষয়ে করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সরকার যেনতেন নির্বাচনের ‘পাঁয়তারা’ করছে: ড. কামাল হোসেন
রায়ের ব্যাপারে কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন বলেছেন, কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে আমরা ট্যাক্সেস আপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছিলাম।
তিনি বলেন, ডিপোজিট জমা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে আমাদের আপিল গ্রহণ করেনি আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে আমরা সেটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করি। অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া হয়েছিল, আমরা সেটাকে ডিপোজিট হিসেবে গ্রহণ করতে বলি।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট সোমবার রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন। আমরা যেটা চেয়েছিলাম, সেটাই আদেশ দিয়েছেন। আমাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করতে কর আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে আপিলটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজা ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজস্ব বোর্ডের এক ডেপুটি কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করেন কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটস।
ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর যুগ্ম কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন।
কিন্তু আইনে নির্ধারিত নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিপোজিট জমা না করার কারণ দেখিয়ে আপিল ট্রাইব্যুনাল সেই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ না করেই খারিজ করে দেয়।
পরে গত বছরের জুনে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে কামাল হোসেন এন্ড অ্যাসোসিয়েটস।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করতে চান ড. কামাল হোসেন
১ বছর আগে
গণফোরামের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
রাজধানীতে একটি গ্রুপের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে গণফোরামের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
তবে দলের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন অসুস্থ থাকায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে দলের ১৫৭ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করায় গণফোরাম বিভক্ত হয়ে পড়ে।
ড. কামাল ও মোকাব্বির খান এমপির নেতৃত্বে আরেকটি দল শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কাউন্সিল করার কথা ছিল এবং মন্টুর নেতৃত্বাধীন গ্রুপ একই সময়ে ক্লাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
মন্টুর নেতৃত্বাধীন গ্রুপের কিছু নেতাকর্মী মোকাব্বিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে কাউন্সিল ভেন্যুতে প্রবেশ করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গণফোরাম থেকে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, তারা 'পরিকল্পিতভাবে' কাউন্সিলে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মোকাব্বির।
হামলায় তাদের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
মোকাব্বির বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিল আয়োজন করেছি। এটা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। কিন্তু কিছু দুর্বৃত্ত কাউন্সিলে হামলা করে, এতে আমিসহ আমাদের অনেককে আহত করেছে।’
যোগাযোগ করা হলে মোস্তফা মহসিন মন্টু দাবি করেন, তার অনুসারীদের কেউ কাউন্সিল ভেন্যুতে প্রবেশ করেনি।
তিনি বলেন, ‘সুব্রত চৌধুরী ও আমিসহ আমাদের সিনিয়র নেতারা আজ (শনিবার) প্রেসক্লাবেও যাননি। আমাদের মহানগর কমিটি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে এবং তারা তাদের কর্মসূচী শেষে চলে যায়।’
কাউন্সিল আহ্বানকারীদের সাথে ড. কামাল হোসেনের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও মন্টু দাবি করেন।
পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
বিভক্ত হলো গণফোরাম, নতুন অংশের সভাপতি মন্টু
২ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চান ড. কামাল হোসেন
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে
গণফোরামের সব বহিষ্কার ‘অকার্যকর’: ড. কামাল
গণফোরামকে ঐক্যবদ্ধ রাখার পদক্ষেপ হিসেবে বিগত কয়েক মাসে অভ্যন্তরীণ ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটে যাওয়া সব বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কার ‘অকার্যকর’ বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
৩ বছর আগে
গণতন্ত্র অবশ্যই কার্যকর হতে হবে: ড. কামাল
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন শনিবার বলেছেন, গণতন্ত্রকে অবশ্যই কার্যকর করতে হবে যাতে দেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
৪ বছর আগে
‘নির্বাচিত সরকার ছাড়া’ বন্যা মোকাবিলা সম্ভব নয়: গণফোরাম
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণফোরাম। তারা এ জন্য যথাযথ পরিকল্পনার অভাবকে দাযী করেছেন।
৪ বছর আগে
করোনা মোকাবিলায় জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি: ঐকফ্রন্ট
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
৪ বছর আগে
গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করলেন ড. কামাল
দলীয় নেতা-কর্মীদের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
৪ বছর আগে