ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদেও বলেছেন এই মুহূর্তে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ জাহাজে করে আসছে। মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপসহ আরও অনেক কোম্পানি এলসি খুলেছে। জাহাজীকরণ হয়ে গেছে। আশা করি আগামী ৮/১০ দিনের মধ্যে ওই মালামাল বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে। তখন আমাদের চাহিদা পূরণ হবে।’
শুক্রবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে প্রধান অতিথি হিসাবে নগদ অর্থ, টিন ও চাল বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ৫০ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল, ১৩ জনকে ২ বান্ডিল করে টিন ও ৬ হাজার টাকা করে এবং ৩০ জনকে এক বান্ডিল করে টিন ও ৩ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।
এসময় তোফায়েল আহমেদ দাবি করেন, ‘আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।’
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারত থেকে আমরা বেশি পেঁয়াজ আমদানি করি, তারা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় তার একটা প্রভাব বাজারে পড়েছে।’
আমদানি নির্ভর দেশ হওয়ায় অন্যদেশ থেকে আমদানি করতে না পারায় এর একটা প্রভাব হয়তো পড়তে পারে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তবে ব্যবসায়ীদের আপন করে নিতে হবে। জবরদস্তি করে দাম কমাও, বা গ্রেপ্তার করে বা ক্রসফায়ার দেয়া এগুলো বাস্তবসম্মত না।’
‘আমি যখন বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন খুচরা বিক্রেতা, পাইকার, আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট সবার সাথে বসে কাজ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেছি। এবারের এ ঘটনা থেকে ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে,’ বলেন তিনি।
ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারমান হাসনাইন আহমেদ হাসানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।