পেঁয়াজ
হিলি দিয়ে ফের পেঁয়াজ ও আলু আমদানি শুরু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনলাইনে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি বন্ধ ছিল। এ কারণে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর থেকে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
তবে অনলাইনে স্লট বুকিং আবারও চালু করায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ফের আমদানি শুরু হয়। ওই সময় পেঁয়াজবোঝাই ৫টি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এর মধ্য দিয়ে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরল। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ করলেও আলু আমদানি হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত থেকে অনলাইনে স্লট বুকিং বন্ধ থাকার কারণে একদিন পেঁয়াজ ও আলু রপ্তানি করতে পারেননি ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এতে তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। লোকসানের কারণে তারা সব পণ্য ধরনের রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু, প্রথম চালানে আসল ১৩১ টন
তিনি বলেন, গত রাতে তারা সমস্যার সমাধান করতে পারায় আজ (বুধবার) থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে এখনও আলু আমদানি করা যায়নি। সব সমস্যা কাটিয়ে দ্রুত সব ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হবে বলে আশা করছি।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫৫টি ট্রাকে ২ হাজার ২০০ টন চাল, ১৬৬টি ট্রাকে ৪ হাজার ৭০০ টন আলু এবং ৪৫টি ট্রাকে ১ হাজার ৩০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে, ভারত থেকে আমদানি বন্ধের অজুহাতে চাল, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা তোলার ফায়দা লুটেছে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা। দুই দিনের ব্যবধানে জিরাশাইল ও সম্পাকাটারী চালের দাম বেড়ে গেছে।
জিরাশাইল চাল কেজি প্রতি ২ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় এবং সম্পাকাটারী ২ টাকা বেড়েছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সময়ে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ ও আলুর দামও। পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা এবং ভারতীয় আলু কেজি প্রতি ১২ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে আমদানি পণ্য বাজারে গেলে দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
৩ সপ্তাহ আগে
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করায় ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং নিচ্ছে না ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাক। শুধুমাত্র আগের অনলাইন স্লট বুকিং থাকায় সকালে আলুবাহী একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।
এছাড়া অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ থাকায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে বন্দরের মোকামে কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়ে ৬৪-৬৫ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় আলু। গত শনিবার একই মানের আলু প্রতি কেজি ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে সোমবার পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে রপ্তানির অপেক্ষায় প্রায় ৫০-৬০টির মতো আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাক ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পড়েছে। অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ থাকার কারণে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে যেতে পারছে না।
ভারতের হিলির রপ্তানিকারক পাপ্পু আগরওয়াল বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি না করার জন্য আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ রাখে। সোমবার অনলাইনে এই দুটি পণ্যবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে ঢোকা যায়নি। আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি স্বাভাবিক রাখতে আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আবেদনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: খেজুর আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে মালদা ও বালুঘাট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মিটিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আগে যেসব আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং নেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র সেসব ট্রাক গত রবিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই মুহূর্তে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। আমাদের অনেক এলসি করা আছে। আমাদের আলু ও পেঁয়াজ আমদানি করতে সুযোগ দেওয়া হোক। না হলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ‘দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমদানিকারকরা আলু ও পেঁয়াজের আমদানি করছেন। এই দুটি পণ্য বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে আমরা খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। যাতে আমদানিকারকরা পণ্যগুলো সঠিক সময়ে গন্তব্যে নিতে পারেন। তবে রবিবার শুনেছি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই দুটি পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে না জানিয়ে সেখান থেকে অন্য রাজ্যে এবং বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি করা হচ্ছিল। ফলে সেখানে আলুসহ পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়ছে। এমন অভিযোগ তুলে ধরে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই বার্তার পরই শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নবান্নে বৈঠকে বসে টাস্কফোর্স কমিটি। মুখ্য সচিবের সঙ্গে টাস্কফোর্সের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিন্ন রাজ্যসহ বাংলাদেশে আপাতত আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
বিভিন্ন সূত্রে আরও জানা গেছে, হিলি ছাড়াও আরও ৪টি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে যেকোন পণ্য রপ্তানি করার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন দপ্তর থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য অনলাইনে স্লট বুকিং দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়। সে অনুযায়ী রপ্তানি করা পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কিন্তু গত রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রপ্তানি করা আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আমনের ফসলহানীতে সৃষ্ট ঘাটতি ঠেকাতে চাল আমদানি করা হচ্ছে: খাদ্য উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে: ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক
পেঁয়াজের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যে পেঁয়াজগুলো আমদানি করা হয়, সেগুলো যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-আলু ও কিছু কীটনাশক আমদানিতে শুল্ককর হ্রাস
তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির সময় বড় একটা অংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। পেঁয়াজ পরিবহনের জন্য উন্নত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখা হবে।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, সোনামসজিদ বন্দর পরিচালায় নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা-সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ৩০ টাকা
১ মাস আগে
ফের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এদিকে ৪ মে ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উদ্বৃত্ত সত্ত্বেও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়: কৃষিমন্ত্রী
বন্দরের আমদানিকারক আহমেদ আলী বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও রপ্তানি মূল্য ৫৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। আবার রপ্তানিতে আরোপিত ৪০ শতাংশ শুল্কও প্রত্যাহার করেনি।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি এবং রপ্তানি শুল্ক আরোপ- এই দুই কারণে লোকসান হবে এমন ভয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি। কিন্তু পেঁয়াজ কিনে রাখা ছিল। তাই বাধ্য হয়ে আমদানি করা হয়েছে। কয়েকদিনে দেশে পেঁয়াজের দাম একটু বেড়ে যাওয়ায় আমদানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানি কেজি প্রতি খরচ হচ্ছে ৭০ টাকা। এরমধ্যে সব খরচ রয়েছে। লোকসান না হলে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা হবে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী মো. ইউসুফ আলী বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আমাদের পক্ষে কোনো বিধি-নিষেধ ছিল না। ভারত সরকার তাদের অভ্যন্তরীণ ঘাটতি মোকাবিলায় রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। গত ৪ মে তারা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় দেশের প্রায় ২০ জন আমদানিকারক খামারবাড়ীতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
তিনি আরও বলেন, আবেদনের ফলে আমদানিকারকদের খামারবাড়ী থেকে অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া হয়েছে। এসব আমদানিকারকেরা প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু শুনেছি আমদানিকারকেরা লোকসান হবে বলে এতদিন আমদানি করেননি।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধার একটু আগে একজন আমদানিকারক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। পেঁয়াজ পচনশীল পন্য তাই আমরা দ্রুত খালাস করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যেন তারা তাদের গন্তব্যে নিতে পারেন।
আমদানিকারক ব্যবসায়ী সূত্র জানান, গত বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ ২০০-৩০০ ডলারে আমদানি করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই বছরের ২৮ অক্টোবর রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করে ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে। তাতেও আমদানি হচ্ছিল। একপর্যায়ে বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহতের কথা বলে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। রপ্তানি স্থগিত করে ভারত সরকার।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। এরপর থেকেই হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া আমদানি পণ্য এড়িয়ে চলার আহ্বান বিএনপির
উপজেলা নির্বাচন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৭ মাস আগে
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে আমরা পেঁয়াজ পেয়েছি। তবে দাম কমাতে খানিকটা দেরি হয়েছে। ভারতের ৮০০ ডলারের পেঁয়াজ ৪০০ ডলারে আমরা আনতে পেরেছি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পেঁয়াজ দেওয়ার জন্য ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করব। ঢাকা, চট্টগ্রামে এ বিক্রয় কার্যক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।'
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ভারত ছাড়াও মিয়ানমার, রাশিয়া, ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, এ আমদানি কার্যক্রম সরকারের সফল বাণিজ্য কূটনীতির ফল। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা হলেও বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কোটা থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার নুরুল হক ও মোহাম্মদ রবিউল মোর্শেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে আমদানির ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে পৌঁছেছে। ঢাকা মহানগরের ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরের খোলাবাজারে মঙ্গলবার থেকে ক্রেতারা ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
৮ মাস আগে
দর্শনা বন্দরে পৌঁছাল ১৬৫০ টন পেঁয়াজের প্রথম চালান
ভারত থেকে ৪২ ওয়াগনে আমদানি করা ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রথম চালান দর্শনা বন্দরে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি) এ মালামাল আমদানি করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পেঁয়াজের এই চালানটি দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে এসে পৌঁছায়।
দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের স্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবির) ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি করেছিল। তার প্রথম চালানটি রবিবার সাড়ে ৫টার দিকে ভারত থেকে রেলপথের মাধ্যমে দর্শনা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
তিনি আরও বলেন, মোট ৪২টি ওয়াগনে প্রায় ১৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ওয়াগন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর থেকে ওই রাতেই সিরাজগঞ্জ বাজারে নেওয়া হবে।
তারপর ওয়াগন থেকে পেঁয়াজ খালাস করে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
দর্শনা পৌর মেয়র ও রেলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, সরকার বিশেষ করে রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে পেঁয়াজ নিয়ে বরাবরের মতো যেন কেউ গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, কেউ যেন চড়া দাম হাঁকিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে বিপুল অর্থ কামাতে না পারে, সেজন্যই সরকারের একটি সংস্থা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। তবে পর্যায়ক্রমে পেঁয়াজের আরও চালান আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত থেকে অনুমোদন পেয়েছি, দাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার রাতেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, রবিবার (৩১ মার্চ) রাতেই দেশে পৌঁছাবে ভারত থেকে আমদানি করা ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভাশেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম ট্রেনে ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। পর্যায়েক্রমে আমদানি করা বাকি পেঁয়াজও দেশে আসবে।
তিনি আরও বলেন, একদিনের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজিতে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।
জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
৮ মাস আগে
সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বন্দরের ৩১ জন আমদানিকারক এসব পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক সোমির ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমির ঘোষ জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের ৩১ জন আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তারা ৩৯ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। রোজার আগেই পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।
ভারত সরকার গত ৮ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারগুলোতে বর্তমানে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
৯ মাস আগে
রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজানের আগেই সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও এক লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা দিয়েছি। এরমধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনির প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। প্রত্যাশা করছি, চাহিদার পুরোটাই আমরা নিয়ে আসতে পারব।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোজার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। ভারত সফরে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আশ্বাস পেয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমরা একটি ভালো খবর পাব। কীভাবে, কত তারিখ থেকে আমদানি করব, সেটা অনুমোদন পেলেই আমরা বাকি পণ্যগুলোর কথা জানাতে পারব।’
টিটু আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে তাদের (ভারত) মিনিস্টেরিয়াল বৈঠক ১৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানিতে আছেন। তিনি বিদেশ থাকায় বৈঠকটি হতে একটু দেরি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
‘আশা করছি, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোনো এক সময় এই বৈঠক হবে। এখনো বিশ্বাস করি, ভালো ফল হবে।’
তিনি বলেন, শুধু একটি উৎস না, বিকল্প উৎস থেকেও আমরা চেষ্টা করছি। ভারতের আশপাশের দেশগুলো থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। নেপাল থেকে ডাল আসে, মিয়ানমারে সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো না হলেও সেখান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনার প্রক্রিয়া চলছে। সেটা দ্রুত আপনাদের জানাতে পারব।
আরও পড়ুন:
১০ মাস আগে
তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
গাইবান্ধায় পেঁয়াজের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। তিন দিনে কেজিতে ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় দাঁড়িয়েছে পেঁয়াজের দাম। গাইবান্ধার আড়ত ও খুচরা দোকানদাররা খেয়াল-খুশিমতো পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার গাইবান্ধার কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
গাইবান্ধা শহরের প্রধান বাজার পুরাতন বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়েছিলেন স্থানীয় দোকান কর্মচারী হালিম খান। তিন দিন আগে পেঁয়াজ প্রতি কেজি কিনেছিলেন ৭০ টাকা। শুক্রবার পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দেখেন পেঁয়াজ কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির বদলে আড়াইশ গ্রাম পেঁয়াজ কিনে ফেরেন হালিম খান।
তিনি বলেন, দোকানে কাজ করি, মাস গেলে যা পাই তাতে মাংস-মাছ তো দূরের কথা, আলু ভর্তা খেয়ে মাস পার করাও কঠিন।
শহরের কালিবাড়ি পাড়ার বাসিন্দা বাপ্পী দাস পুরান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে বলেন, ৭০ টাকা কেজি পেঁয়াজ এখন ১২০ টাকা কেজি। বাজারে প্রতিদিন প্রশাসনের অভিযান চালানো দরকার। তাহলে হয়তো কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। প্রতি দোকানে জিনিসের দাম লিখে রাখলেও সে অনুযায়ী দাম রাখা হয় না। প্রশাসন চলে গেলে ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধা শহরের প্রায় প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে পেঁয়াজের পরিমাণ বেশি থাকলেও দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারের আড়তের মালিকরা বলেন, পেঁয়াজের আমদানি কম। মোকামেও পেঁয়াজ নেই তাই বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
আড়তমালিক ফিরোজ কবীর বলেন, গৃহস্থরা পেঁয়াজ বিক্রি না করায় বাজারে পেঁয়াজের টান পড়েছে।
তিন দিনের ব্যবধানে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আড়ত মালিকরা বলেন, তাদের এতে কোনো হাত নেই, সারাদেশে একই অবস্থা। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
পেয়াঁজের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধির ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা বাজারদর কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, হঠাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে। সে কারণেই পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
১০ মাস আগে